মরিঙ্গা পাউডার এর ২০ টি উপকারিতা
যদি মরিঙ্গা পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।এখানে আমরা মরিঙ্গা পাউডার এর জানা অজানা অনেকগুলো উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানব। যা সঠিক নিয়মে খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হবে। এখন আমরা মরিঙ্গা পাউডারের ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
পেইজ সূচিপত্র:
ভূমিকা
মরিঙ্গা পাউডার কি
মরিঙ্গা পাউডার এর পুষ্টি উপাদান
মরিঙ্গা পাউডারের উপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ভূমিকা
মরিঙ্গা পাউডার এর উপকার অনেক। তাই প্রতিটা মানুষেরই এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানা উচিত। এই মরিঙ্গা পাউডারের রয়েছে অনেক উপকার কিন্তু আমাদের অনেকেরই তা অজানা। তাই আমি আপনাদেরকে এখানে মরিঙ্গা পাউডারের অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জানাবো। সেই সাথে মরিঙ্গা পাউডারের ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
মরিঙ্গা পাউডার কি
মরিঙ্গা পাউডার অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। যা সজনে নামক একটি ভেষজ উদ্ভিদ এর পাতা থেকে তৈরি। সজনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মরিঙ্গা ওলেইফে। সজনে আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের অতি সাধারণ একটি উদ্ভিদের নাম। সজনে ডাটা আমাদের দেশে সবজি হিসেবে খাওয়া হয় এবং এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এই সজনে উদ্ভিদের পাতাকে শুকিয়ে গুড়া করে মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করা হয়।
মরিঙ্গা পাউডার এর পুষ্টি উপাদান
মরিঙ্গা বা সজনে কে একটি মাল্টিভিটামিন সুপার ফুড বলা হয়। এই গাছ মিরাকেল ট্রি হিসেবে। সজনে পাতার গুড়োই রয়েছে বিশেষ গুনাগুন। জেনে অবাক হবেন এতে রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি পটাশিয়াম, দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এতে আয়োডিন ও ভিটামিন বি9, ভিটামিন এ এবং জিংক রয়েছে। মানুষের শরীরে আটটি অতি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড দরকার। মরিঙ্গা পাউডারে এই আটটি অ্যামিনো এসিড একত্রে রয়েছে। প্রকৃতিতে খুব কম সংখ্যাক গাছেই এ সকল এসিড একত্রে থাকে।
এই মরিঙ্গা পাউডার শ্রমজনিত ক্লান্তি ও শরীরের ব্যথা থাকলে তা সহজেই দূর করে। মরিঙ্গা কাজ করার শক্তি বাড়ায়, নানা রোগ ঠিক করতে এবং রোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে। মন মেজাজ সতেজ রাখতে এই পাউডারের জুরি মেলা ভার।
মরিঙ্গা পাউডারের ২০ টি উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- শরীরের ব্যথা উপশমে
- গ্যাস হওয়া থেকে রক্ষা করে
- জ্বর ও সর্দি উপশম করে
- বহুমূত্র রোগে কার্যকরী
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে মরিঙ্গা
- হজম বৃদ্ধিতে
- গেটে বাত প্রতিরোধে
- হৃদরোগের সমস্যা সমাধানে
- হাড় মজবুত করতে
- চুল পড়া রোধ করে
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
- রক্তস্বল্পতা দূর করতে
- রক্তে সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়
- কোলেস্টেরল কমাতে
- ত্বকের যত্নে
- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে
- লিভার সুস্থ রাখে
- পেটের সমস্যা সমাধানে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মরিঙ্গা পাউডারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নামক উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এতে থাকা অ্যামাইনো এসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে থাকে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারী ধাতু অপসারণ করে দেয়। ক্যান্সার রোগীদের শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে।
২. শরীরের ব্যথা উপশমে
মরিঙ্গা পাউডার শরীরের ব্যথায় ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এছাড়াও শরীরের কোন স্থান ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে মরিঙ্গা শিকড়ের প্রলেপ দিলে ব্যথা ও খোলা সেরে যায়। এটি একটি প্রদাহ বিরোধী উপাদান।
৩. গ্যাস হওয়া থেকে রক্ষা করে
বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর করতে মরিঙ্গা একটি ভালো সমাধান। মরিঙ্গা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে গ্যাস দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেলে ছোট বড় প্রত্যেকেই গ্যাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৪. জ্বর ও সর্দি উপশমে
মরিঙ্গা পাতাকে শাকের মতো রান্না করে খেলে যন্ত্রণাদায়ক জ্বর ও সর্দি দূর হয়। এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার নিয়মিত খেলে অনেক পুরাতন ঘুসঘুসে জ্বর ভালো হয়।
৫. বহুমূত্র রোগে কার্যকরী
মরিঙ্গা পাতার রস বহুমূত্র রোগে বিশেষ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। মরিঙ্গা পাউডারের থাকা ক্লোরোজেনিক নামক এক ধরনের এসিড এবং ফাইটোকেমিক্যাল নামক উপাদান শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে মরিঙ্গা
মরিঙ্গার ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. হজম বৃদ্ধিতে
মরিঙ্গা পাউডার হজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে থাকা দ্রবণীয় এবং দ্রবণীয় খাদ্য আঁশ হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী এনজাইম গুলোকে সচল করে। এর ফলে লিভারের স্বাস্থ্য যেমন ঠিক থাকে তেমনি হজম প্রক্রিয়াও সুস্থ ভাবে সম্পন্ন হয়। এছাড়াও মরিঙ্গার ফুল দুধের সাথে রান্না করে নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি ঘটে।
৮. গেটে বাত প্রতিরোধে
মরিঙ্গার ফল নিয়মিত খেলে গেটে বাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পেশির ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা নিরাময় করতে মরিঙ্গা পাউডার কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে থাকা উচ্চ ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের সকল ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
৯. হৃদরোগের সমস্যা সমাধানে
হৃদরোগের সমস্যায় মরিঙ্গা খুবই কার্যকর। মরিঙ্গা পাতার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়
১০. হাড় মজবুত করতে
মরিঙ্গা পাউডারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে যা আমাদের দেহের বিভিন্ন কর্মক্ষমতা পরিচালিত করে থাকে। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম নামক উপাদান আমাদের দেহের হাড় সুগঠিত করতে সহায়তা করে। শরীরের কোন অঙ্গ মুচকে গেলে আদা ও মরিঙ্গার ছাল এর প্রলেপ দিলে ব্যথা উপশম হয়।
১১. চুল পড়া রোধ করে
চুল পড়া রোগের চিকিৎসায় মরিঙ্গা পাউডার কার্যকারী ভূমিকা রাখে। মাথায় খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। চুলের গোড়া মজবুত করে।
১২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
খাবার লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অন্যদিকে পটাশিয়াম লবন কোন ক্ষতি করে না। মরিঙ্গার ডাটাতে সোডিয়াম ক্লোরাইড নেই বললেই চলে। কাজেই এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
১৩. রক্তস্বল্পতা দূর করতে
শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে পানি দিয়ে মরিঙ্গার ডাটা সিদ্ধ করে খেলে এবং ডাটা চিবিয়ে বেশ কিছুদিন নিয়মিত খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
১৪. রক্ত সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়
মরিঙ্গা পাউডার সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। মরিঙ্গার কচি পাতার রস নিয়মিত খেলে রক্তের উচ্চচাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর পাকা পাতার টাটকা রস দুবেলা আহারে ঠিক আগে এক বা দুই চামচ করে খেলে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা খাবেন না।
১৫. কোলেস্টেরল কমাতে
আমরা জানি এল ডি এল কোলেস্টেরল হার্টের অনেক ক্ষতি করে। মরিঙ্গা পাউডার আমাদের শরীরের মধ্যে রক্তে থাকা এলডিএল ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে এবং উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
১৬. ত্বকের যত্নে
সুন্দর দাগ হীন ত্বক কে না চায়। নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করে ত্বকের কালো দাগ, বয়সের ছাপ দূর করে। এছাড়াও ত্বকের বলিরেখা দূর করে এবং ব্রনের দাগ দূর করে ত্বককে পরিষ্কার করতে এক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর সাথে এই মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১৭. শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে
শারীরিক দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পুষ্টির অভাব। মরিঙ্গা পাউডারের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকায় সঠিক পদ্ধতিতে খাঁটি মধুর সাথে এটি মিশিয়ে খেলে শরীরে খুব সহজে শক্তি ফিরে পাবে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে।
১৮. লিভার সুস্থ রাখে
সাধারণত আমরা জানি ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর পদার্থ। তাই এই মরিঙ্গা পাউডার নিয়মিত খেলে লিভারের কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার জমা বন্ধ করে। এছাড়াও এই পাউডার লিভার সিরোসিস সহ লিভারের অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
১৯. পেটের সমস্যা সমাধানে
পেটের সমস্যা দূরীকরণে মরিঙ্গা পাউডার এর জুরি মেলা ভার। মরিঙ্গা পাউডারের এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল নামক দুটি উপাদান থাকে। এই দুটি উপাদান আমাদের পেট ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই বলা যায় পেটের সমস্যা সমাধানে মরিঙ্গা পাউডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২০. ক্যান্সার প্রতিরোধে
ক্যান্সার একটি মারাত্মক মরণব্যাধি রোগ। এর সঠিক কোন চিকিৎসা নেই আর থাকলেও অনেক ব্যয়বহুল যা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অসম্ভব প্রায়। তাই এটিকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। সুস্থ থাকতে হলে ক্যান্সারের কোষ গঠন হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতে হবে। মরিঙ্গা পাউডারে নিয়াজিমিসন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাধার সৃষ্টি করে প্রতিরোধ করে।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ভর খাদ্য উপাদান হওয়ায় একে সুপার ফুট বলা হয়ে থাকে। কারণ এতে শরীরের জন্য উপকারী প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা এই পাউডারের গুনাগুনের উপর বিচার বিবেচনা করে নিয়মিত প্রতিদিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে দুপুর ও রাতে যে কোন সময় এ খাবার খাওয়া যায়। খালি পেট বা ভরা পেট সব ক্ষেত্রে এটি খাওয়া যায়।
সকাল বেলা
সকালে খালি পেটে মরিঙ্গা পাউডার খেলে সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পুষ্টি যোগায় আর ভরা পেটে খেলে অন্য খাবারের সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে পড়ে এবং দেহের সব জায়গায় পৌঁছাতে দেরি হয়।
রাতের বেলা
সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমরা রাতে ঘুমাই। এ সময় শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু মরিঙ্গা পাউডারে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাই এটি রাতে খাওয়া ভালো। রাতে এটি দ্রুত হজম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে ঘুম ভালো হয়।
স্মুদি হিসেবে
স্মুদি আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। এই খাবারের সাথে এক দুই চামচ মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেলে তা আরো পুষ্টিকর হয়ে যায়। তাই এটি স্মুদির সাথে খাওয়া যায়।
চায়ের সাথে
মরিঙ্গা গুরা খাওয়ার সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে চা। আর এই চা আমরা কম বেশি সকলেই পছন্দ করে থাকি। চায়ের সাথে মরিঙ্গা গুড়া মিশালে এটি শরীরের সব জায়গাতেই সহজে পৌঁছাতে পারে এবং পুষ্টি উপাদান আরো বাড়িয়ে তোলে।
বড়ি বানিয়ে
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার আরো একটি সহজ উপায় হচ্ছে বড়ি বানিয়ে রেখে খাওয়া। মরিঙ্গা পাউডারকে বড়ি বানিয়ে রেখে ওষুধের মত করে সকালে ও রাতে খেতে পারেন। এতে ঝামেলা অনেক কমে যায়।
মরিঙ্গা পাউডারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যেকোনো জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও থাকে। আর মরিঙ্গা পাউডারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। যদিও এই খাবারে অনেক উপরের কারিতা রয়েছে তার পাশাপাশি অল্প কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। নিচে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
- বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭০ গ্রামের বেশি মরিঙ্গা পাউডার খেলে এটি দেহে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল এর সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। তাই এটি বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।
- যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা এই পাউডার থেকে দূরে থাকাই ভালো। যদিও এটি অনেক উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার তবুও কিডনি রোগীরা এটি বেশি মাথায় খেলে কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
- মরিঙ্গা পাউডার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হজমে অসুবিধা করে, বমি বমি ভাব হয়, ক্ষুধামন্দা হয়, পেটের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই গর্ভাবস্থায় এটি না খাওয়ায় ভালো।
- ব্লাড প্রেসারের রোগীরা নিয়মিত ওষুধ খেলে মরিঙ্গা পাউডার খাবেন না। এতে ব্লাড প্রেসারের মাত্রা কমে যে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
- কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলোর সাথে মরিঙ্গা পাউডার দিমুখী আচরণ করে। যার ফলে শরীরে ক্ষতি হয়। তাই কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ খেয়ে থাকলে তার সাথে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবে কিনা তা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url