বরবটি খাওয়ার উপকারিতা। বরবটির স্বাস্থ্য উপকারিতা। বরবটি কেন খাবেন
চিকিৎসকদের মতে সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন বাঁচতে চাইলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।
আর এই স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রথমেই থাকে বরবটির নাম। দীর্ঘ জীবন সুষ্ঠুভাবে
বাঁচতে চাইলে আপনার খাবারের তালিকায় প্রায় প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ বরবটি রাখা
আবশ্যক।
আপনি যদি বরবটি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার
জন্য। বরবটিতে থাকা পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার আপনাকে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে
এবং দীর্ঘ সময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন
বরবটি।
পেজের সূচিপত্র
- বরবটি খাওয়ার উপকারিতা
- বরবটির উপকারিতা জানা কেন জরুরী
- বরবটির পুষ্টিগুণ
- বরবটির অপকারিতা
- বরবটি খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় বরবটি খাওয়া যাবে কি
- বরবটির চাষপদ্ধতি
- বরবটি গাছের পরিচর্যা
- ফসল সংগ্রহ ও ফলন
- শেষ কিছু কথা
বরবটি খাওয়ার ১২টি উপকারিতা
- আয়রনের ঘাটতি মেটায়
- হার্টের সুরক্ষা দেই
- অস্থি সন্ধির ব্যথা কমায়
- চর্বি কমাতে সহায়তা করে
- হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
- খাবার হজমে সহায়তা করে
- ডায়াবেটিস থেকে বাঁচায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
- ওজন কমাতে সহায়তা করে
- আমিষের চাহিদা পূরণ করে
- দূর করে নানা অসুখ
আসুন জেনে নি ই বরবটি খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা এবং এর বিশ্লেষণ সম্পর্কে।
আয়রনের ঘাটতি মেটাই
বরবটিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যাদের শরীরে
আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। তাই আপনারা যদি নিয়মিত বরবটি খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই
ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন। এছাড়াও মনে রাখবেন বরবটিতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় আয়রন পরিশোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হার্টের সুরক্ষা দেই
শরীর সচল রাখতে হার্ট আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। বরবটিতে থাকা
ডায়েটারি ফাইবার এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে হার্টের সুরক্ষা
নিশ্চিত করে। এছাড়াও এটি বুক জ্বালাপোড়া, উচ্চ রক্তচাপ এসব সমস্যা দূর করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অস্থি সন্ধির ব্যথা কমায়
শরীরে ভিটামিন কে এর চাহিদা মেটাতে পারে বরবটি। বরবটিতে যে পরিমাণ ভিটামিন কে
রয়েছে তা অস্টিওথেরাইটিস বা বাতের সমস্যা থেকে অস্থি সন্ধির উপকারে আসে। এছাড়াও
রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে এর ভূমিকা অপরিসীম।
চর্বি কমাতে সহায়তা করে
বরবটি এমন একটি খাবার যেখানে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং অধিক ফাইবার সমৃদ্ধ। যার ফলে
এটি শরীরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। বরবটিতে প্রচুর পরিমাণ এর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীর থেকে দূষিত যৌগ গুলোকে বের করে দেই। এর ফলে
শরীরে চর্বি গুলো সহজে জমতে পারে না।
হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
বরবটিতে থাকা সিলিকন হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়াও এর বীজে রয়েছে
ক্যালসিয়াম যা হার শক্ত করতে সাহায্য করে। নারীদের স্বাস্থ্য উপকারেও
ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায় হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে
বরবটির জুরি মেলা ভার।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
বরবটিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান ক্যাম্পফেরল ও কুয়ারসেটিন থাকে যা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ক্যান্সার
হওয়া সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন এই দুটি উপাদান
ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে জাদুর মত কাজ করে।
খাবার হজমে সহায়তা করে
বরবটি একটি আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য। আমরা জানি আঁশ আমাদের শরীরে খাদ্য সহজে হজমে সহায়তা
করে। তাই প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় বরবটি থাকলে এটি আমাদের খাদ্য হজমে
সহায়তা করবে যার ফলে পেটের সমস্যা হবে না। এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও
সামগ্রিক পরিপাক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচায়
বরবটি এমন একটি খাদ্য যা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে
একই সঙ্গে চুল পড়ার ঠেকাতেও বরবটির ভূমিকা অনেক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
বরবটি উপকারী এবং অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে বরবটি বেশ উপকারী সবজি। বরবটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এবং শরীরের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে
বরবটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য
ও ফ্যাট কোলেস্টেরল না থাকায় বরবটি ওজন নিয়ন্ত্রক সবজি হিসেবে বিশেষভাবে
পরিচিত।
আমিষের চাহিদা পূরণ করে
বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ সবজি হওয়ায় পুষ্টিবিদরা এটিকে
গরিবের মাছ মাংস হিসেবে তুলনা করেছেন। প্রায় সারা বছরই এটি ফলানো যায়। তবে
গ্রীষ্মকালে এর ফলন ভালো হয়। প্রচন্ড শীতে এর ফলন খুব বেশি ভালো হয় না।
দূর করে নানা অসুখ
বিভিন্ন ধরনের অসুখে জর্জরিত বর্তমানে প্রায় সব মানুষ। এর জন্য দায়ী আমাদের
প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস। তাই বরবটি হতে পারে এর একটি সুন্দর সমাধান। বরবটিতে
থাকা প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং বয়স বাড়তে শুরু
করলে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও বরবটি আমাদের ডিপ্রেশন, হাইপারটেনশন,
ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা ধরনের অসুখকে দূরে রাখে।
রবটির উপকারিতা জানা কেন জরুরী
বরবটির উপকারিতা সম্পর্কে গবেষকরা বিভিন্নভাবে গবেষণা করে দেখেছেন যে, দীর্ঘদিন
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন প্রায় এক কাপ পরিমাণ বরবটি খাওয়া আবশ্যক।
বরবটিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন এবং ফাইবার। এর মধ্যে কোনরকম ফ্যাট নেই।
সেরোলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা অনুসারে, ভাইভা সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা
সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে এবং দীর্ঘসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই বরবটির
উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত।
বরবটির পুষ্টিগুণ
খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম বরবটিতে রয়েছে জলীয় অংশ ৮৭.৫ গ্রাম, শর্করা ৯.০
গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, আমিষ ৩.০ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ০.৮ গ্রাম,
আয়রন ৫.৯, ভিটামিন বি১ ০.১৪, ভিটামিন বি২ ০.৩০ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ১৮
ক্যালোরি, ভিটামিন সি খুব অল্প। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে বরবটি জাত ও স্থানের
পরিবর্তনের সঙ্গে পুষ্টিমানের পরিবর্তন হতে পারে।
এছাড়াও বরবটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল,
এন্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টেক্যান্সার প্রোপার্টিস, এতে আরও রয়েছে ক্লোরোফিল,
রিবোফ্লাভি, ফসফরাস, থায়ামিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন মিনারেল।
বরবটির অপকারিতা
বরবটিতে উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। সাধারণত বরবটি একটি নিরাপদ
সবজি। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর নির্দিষ্ট কিছু অপকারিতা লক্ষ্য করা যেতে পারে। চলুন
জেনে নেওয়া যাক বরবটির কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
- অতিরিক্ত বরবটি খেলে শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পেট ফুলে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।
- যেহেতু বরবটি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল একদম কমিয়ে ফেলে যা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর।
- আপনাদের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে বরবটি সিমই তো পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ এতে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি থাকে যা কিডনিতে পাথর হওয়া ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- যেহেতু বরবটিতে ভিটামিন কে বেশি থাকে যা রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে সেহেতু আপনি যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বরবটি খান।
- এছাড়া কেউ কোন জটিল অসুখে ভুগে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বরবটি খাবেন।
বরবটি খাওয়ার নিয়ম
সবজি হিসেবে
বরবটি সবজি হিসেবে আমাদের দেশে খাওয়ার বেশ প্রচলন রয়েছে। বরবটি ভাজি করে বা
বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করে খাওয়া হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং খেতেও বেশ
সুস্বাদু এই সবজি।
সালাদ হিসেবে
আপনারা যারা ডায়েট করে থাকেন তাদের জন্য বরবটির সালাদ খুব ভালো একটি খাদ্য।
বরবটি সালাদ হিসেবে আদর্শ একটি খাবার। আমরা অনেকেই কচি বরবটি কাঁচা অবস্থায়
সালাদ হিসেবে খেয়ে থাকি।
ভর্তা হিসেবে
বরবটি হালকা আছে সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবেও খাওয়া যায়। অনেক মানুষ এটিকে ভর্তা
হিসেবে পছন্দ করে খেয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় বরবটি খাওয়া যাবে কি
মায়ের পেটে যখন বাচ্চা থাকে তখন একজন মায়ের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়। এই সময় বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের অনেক ত্রুটি দেখা যায়। এসব ত্রুটি
এড়াতে গর্ভ অবস্থায় মায়ের খাবারের দিকে যথেষ্ট নজর দিতে হবে। বরবটিতে রয়েছে
প্রচুর পরিমানের ফলিক এসিড যা গর্ভাবস্থায় একটি আদর্শ খাবার।
এছাড়াও বরবটি লাল রক্ত কণিকা তৈরি করতে এবং গর্ভাবস্থায় একটি ব্রুনের নিউরাল
টিউব ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে থাকে যা গর্ভাবস্থায় অনেক কার্যকরী।
গর্ভাবস্থায় ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ঘুম কম হয়। বরবটি এই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব পূরণ করে
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই বলা যায় গর্ভাবস্থায় বরবটি একটি
আদর্শ খাবার।
বরবটি চাষ পদ্ধতি
বরবটি চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযোগী। সাধারণত বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে
বীজবপন করা হয়। এছাড়াও আশ্বিন-অগ্রহায়ণ মাসেও বীজ বপন করা হয়। অন্যান্য সময়ও
বোনা যেতে পারে। প্রতি শতকে ১০০-১২৫ গ্রাম, প্রতি হেক্টরে ৮ থেকে ১০ কেজি।
গোবর, টিএসপি সম্পূর্ণ পরিমান ও অর্ধেক এমওপি স্যার জমি চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ
করতে হবে। পরে বীজ বোনার ২০ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি ৭
জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
সাধারণত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে সারি করে ২৫ থেকে ৩০ সেমি দূরে বীজ বুনতে হয়।
জাত হিসেবে সারির দূরত্ব এক মিটার বাড়ানো বা কমানো যায়। যারা বড় হলে মাচা
বাউনি দিতে হবে।
জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজন অনুসারে সব সময় সেচের ব্যবস্থা
রাখতে হবে। আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পোকামাকড় ও রোগ বালাই এর হাত থেকে
রক্ষা করতে হবে। জাব পোকা, ফল ছিদ্রকারি পোকা ও মোজাইক রোগ বরবটি চাষের বড়
সমস্যা।
বরবটি গাছের পরিচর্যা
চারা গাছ বড় হলে মাচা বা বাওনি দিতে হবে। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের সেচের
ব্যবস্থা, সার প্রয়োগ, পোকা দমন এই সব দিকে সবসময়ই নজর রাখতে হবে। তবেই ফলন
ভালো হবে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
বীজ বোনার ৫০-৬০ দিন পর থেকেই বরবটি সংগ্রহ করা যায়। প্রতি শতকে ফলন ৩০-৬০ কেজি
এবং প্রতি হেক্টরে ১০-১২ টন বরবটি হয়ে থাকে। এটি আমরা সচারচার যে কোন সবজির
দোকানে খুব সহজে পেয়ে থাকি।
শেষ কিছু কথা
বরবটি একটি অতি সুস্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্য। এটি অনেক সহজলভ্য
প্রায় সারা বছরই আমরা এই খাদ্য পেয়ে থাকি। সুস্থ থাকার জন্য বরবটির জুরি মেলা
ভার। এটি আমরা সবজি হিসেবে, সালাদ হিসেবে, বা হালকা ভাব দিয়ে সিদ্ধ করে ভর্তা
হিসেবেও খেতে পারি। সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন বরবটি রাখা
উচিত।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url