শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজনের অনুপাত। শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত?

 

সদ্যনাথ শিশুর যেকোনো বিষয় নিয়ে বাবা-মা অনেক চিন্তায় থাকে। কোন কিছুই তাদের নজর এড়ায় না। এমনকি শিশু রোগা বা মোটা হয়ে গেল নাকি তা নিয়েও সব সময় চিন্তিত। তবে শিশুর ওজন বয়সের তুলনায় ঠিক আছে কিনা সেটা নজরে রাখা প্রয়োজন। শিশুর আদর্শ ওজনকে ১০০ শতাংশ ধরে ঐকিক নিয়মে যে কেউ শতাংশ বের করতে পারবেন। শিশুর ওজন আদর্শ ওজনের ৮০ শতাংশের কম হলে তাকে মোটামুটি অপুষ্টি বলে আর ৬০ শতাংশের কম হলে মারাত্মক অপুষ্টি বলে ধরে নিতে হবে। 


পেজের সূচিপত্র: 

ভূমিকা 

কি বলছেন চিকিৎসকরা 

শিশুদের স্থূলতা এই সমস্যার জন্য দায়ী কে 

বয়স অনুযায়ী বাচ্চাদের ওজনের তালিকা 

শিশুদের স্থূলতা প্রতিরোধের উপায় 

শেষ কিছু কথা

ভূমিকা 

২০৩০ সালের মধ্যে শিশুদের স্থূলতার পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য অভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে শিশুদের স্থূলতা দেখা যায়। শিশুদের স্থূলতা সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে। 

কি বলছেন চিকিৎসকরা 

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিলে তা দূর করতে অবিলম্বে সক্রিয় করতে হবে। এ বয়সে ক্যালোরি বেশি খরচ হয় কিন্তু শক্তি খরচ কম হয়। এই কারণে বাচ্চাদের ওজন বাড়তে শুরু করে। 

শিশুদের স্থূলতা এই সমস্যার জন্য দায়ী কে 

স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, অস্টিওআর্থারাইটিস, গলব্লাডার, শ্বাসকষ্ট, হার্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি ইত্যাদি রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমনকি শুধু তাই নয়, শিশুদের ক্যান্সারও এই স্থূলতার কারণে হতে পারে। 

বয়স         ওজন ছেলেদের       ওজন মেয়েদের

৬ মাস         ৭.৮ কেজি             ৭.২ কেজি 

১ বছর        ১০.২ কেজি            ৯.৫ কেজি

২ বছর        ১২.৩ কেজি            ১১.৮ কেজি 

৩ বছর        ১৪.৬ কেজি            ১৪.১ কেজি

৪ বছর।       ১৬.৭ কেজি            ১৬ কেজি 

৫ বছর        ১৮.৭ কেজি            ১৭.৭ কেজি 

৬ বছর        ২০.৬৯ কেজি          ১৯.৫ কেজি 

৭ বছর         ২২.১ কেজি           ২১.৯ কেজি 

৮ বছর         ২৫.৩ কেজি           ২৪.৮ কেজি 

৯ বছর         ২৮ কেজি              ২৬ কেজি 

১০ বছর        ৩২ কেজি             ৩২ কেজি

১১ বছর        ৩৬ কেজি             ৩৫ কেজি

১২ বছর        ৪৫ কেজি             ৪৪ কেজি 


শিশুদের স্থূলতা প্রতিরোধের উপায় 

পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে খাদ্য তালিকায় ফল ও সবজি বাড়ান 

জাঙ্ক ফুড, পিজ্জা, বার্গারের মতো জিনিস থেকে দূরে থাকুন 

মিষ্টি ঠান্ডা পানীয় বন্ধ করুন 

সেই সঙ্গে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ 

শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে 

বাচ্চাদের প্রতিদিন মাঠে খেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন 

মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এই ধরনের ডিভাইস থেকে দূরে রাখুন। 

শেষ কিছু কথা

মনে রাখবেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের সকলের উচিত। শিশুদের বাড়ন্ত বয়সে বাবা মাকে সচেতন হতে হবে বেশি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url