তালের শাঁসের উপকারিতা ও অপকারিতা
গরমের সময় প্রাণ জুড়াতে রসে ভরপুর কচি তালের শাঁসের জুড়ি মেলা ভার। কচি তাল
শাঁসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এছাড়াও
তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশই জলীয়। ফলে শরীরের পানি শূন্যতা পূরণে তাল চাষের ভূমিকা
বেশ কার্যকরী।
অধিক পরিমাণে ভরপুর এই তালের শাঁস গরমে শরীরের বাড়তি পানির চাহিদা মেটাতে
সাহায্য করে। তাই পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সুমিষ্ট ফল গ্রীষ্মের
প্রচন্ড গরমে ভীষণ উপকারী। আজ আপনাদের কে তালের শাঁসের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা
সম্পর্কে জানাবো।
পেজের সূচিপত্র: তালের শাঁসের উপকারিতা ও অপকারিতা।
- তালের শাঁসের উপকারিতা
- তালশাঁসের পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
- তালের শাঁস খাওয়ার নিয়ম
- তালের শাঁসের অপকারিতা
- তাল শাঁস কখন পাওয়া যায়
- শেষ কিছু কথা
তালের শাঁসের উপকারিতা
- দেহকে ক্লান্তিহীন রাখে
- পানি শূন্যতা দূর করে
- মুখের রুচি বাড়ায়
- দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে
- ত্বকের যত্নের সহায়তা করে
- রক্তশূন্যতা দূর করে
- লিভারের সমস্যা দূর করে
- হাঁড়ের গঠন ঠিক রাখে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- পানি পানের তৃপ্তি বাড়াই
- বমি বমি ভাব দূর করে
- হজমে সহায়তা করে
- এলার্জি সমস্যা দূর করে
- শরীর ঠান্ডা রাখে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
তালের শাঁসের উপকারিতা অনেক বেশি। এটি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয় এর রয়েছে
অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। এখন আমরা আপনাদের তালের শাঁসের
উপকারিতা ও এর বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানাবো।
দেহকে ক্লান্তিহীন রাখে
তালের শাঁস এমন একটি খাদ্য যা প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন।
উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম মেলে তালের শাঁসে, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট
ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে গরমের ক্লান্তি দূর হয় শরীর সতেজ রাখে।
পানি শূন্যতা দূর করে
গরমের সময় তালের শাঁসে থাকা ৯৩ শতাংশ জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে। এতে অধিক
পরিমাণের পানি থাকায় আমাদের শরীরে বাড়তি পানির চাহিদা পূরণ করে পানি শূন্যতা
দূর করে।
মুখের রুচি বাড়ায়
তালের শাঁস মুখের রুচি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি মুখে
রুচির পরিমাণ কমে যায় যার ফলে খাবার খেতে না পারেন তাহলে নিয়মিত তালে শাঁস খেতে
পারেন। এতে আপনার মুখের রুচি বাড়বে।
দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে
তালের শাঁসে রয়েছে অধিক পরিমাণ ভিটামিন 'এ'। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে প্রখর করতে
সহায়তা করে। এছাড়াও তালের শাঁসে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সালফার,
ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অনেক
উপকারী। তালের শাঁস চোখের এলার্জি সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে অনেক
কার্যকরী।
ত্বকের যত্নে সহায়তা করে
তালের শাঁসে থাকা উপকারী উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে সক্ষম।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুল পরা রোধ করতে সাহায্য করে এই ফলটি।
রক্ত শূন্যতা দূর করে
তালের শাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা বা
অ্যানিমিয়া দূরীকরণে দারুন ভূমিকা রাখে।
লিভারের সমস্যা দূর করে
কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি লিভার
থেকে ক্ষতিকর ও দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরম,
জ্বালাপোড়া ইত্যাদি কমাই এই ফল। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তারণের মত কাজ করে।
হাঁড়ের গঠন ঠিক রাখে
তালের শাঁসে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের হাঁড় গঠনে দারুন ভূমিকা পালন করে।
এটি দাঁত ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তালের শাঁসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা
করে। এছাড়াও এই ফল আমাদের বিভিন্ন রকম মৌসুমী অসুখ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা
করে।
পানি পানের তৃপ্তি বাড়াই
তালের শাঁসে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স আপনার পানি পানির তৃপ্তি কে বাড়িয়ে
দেয়। আর গরমের সময় পানি বেশি খাওয়া ভালো। পানি বেশি খেলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই এই গরমের সময় প্রত্যেককেই প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
বমি বমি ভাব দূর করে
তালের শাঁস বমি বমি ভাব আর বিষাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীর খারাপ করে বমি বমি ভাব হয়। এরকম সমস্যা সমাধানে তালের শাঁস বেশ কার্যকরী।
হজমে সহায়তা করে
আঁশ সমৃদ্ধ তালের শাঁস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গন্ডগোল থেকে দূরে থাকা যায়।
পাশাপাশি ভালো থাকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভুগি। গরমের কারণে খাবার সহজে হজম হয় না। যার ফলে পেট ফুলে যায়, অস্বস্তি বোধ হয়। আর এই হজমের কাজকে সহজ করে দেই এই তালের শাঁস।
এলার্জি সমস্যা দূর করে
তালের শাঁস এলার্জি সমস্যা দূর করে থাকে। প্রচন্ড গরমে হাতে পায়ে চুলকানি কিংবা
এলার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি
ঘটে। এই সমস্যার সমাধান রয়েছে এই তালের শাঁসে। তাই গরমে দৈনিক খাদ্য
তালিকায় রাখুন তালের শাঁস যা আপনাদের শরীরে অনেক উপকারে আসবে। ভয়ংকর চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করবে।
শরীর ঠান্ডা রাখে
তালের শাঁস এমন একটি ফল যা আপনার শরীরে শক্তি যোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে
দেয়। ফলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে। গরমের হাত থেকে রক্ষা করে ফলে অতিরিক্ত
গরম কম লাগে। শরীর সুস্থ রাখে। শরীর ও মন সতেজ রাখে। হাত পায়ের জ্বালাপোড়া ভাব কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি। যার সঠিক কোন চিকিৎসা এখনো বের হয়নি। আর যেটা
বের হয়েছে সেটা অনেক ব্যয়বহুল। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব প্রায়। তাই
ক্যান্সার হওয়ার আগেই এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। তালের শাঁসে রয়েছে এমন কিছু
উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। তাই এটি নিয়মিত খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা।
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ
মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা সুস্বাদু এই ফলের প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে
রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, আমিষ 0.৮ গ্রাম, জলীয় অংশ ৮৭.৬
গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম,
ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফ্লেভিন.০২
মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এ সকল উপাদান আপনার শরীরকে নানা
রোগ থেকে রক্ষা করা সহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়া কতটা উপকারী
সেই সম্পর্কে। তাই এই পোস্টটি আপনার জানা অত্যন্ত জরুরী। আশা করছি আপনারা যারা
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তারা ধৈর্য সহকারে
মনোযোগ দিয়ে পোস্টের এই অংশটুকু পড়ুন অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আমরা জানি গর্ভবতী নারীদের গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের
খাবারের প্রতি যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরী। অনেক খাবার আছে যা গর্ভাবস্থায়
খাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু জেনে খুশি হবেন যে গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার
উপকারিতা অনেক বেশি। গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খেলে গর্ভবতীদের বমি বমি ভাব দূর
হয়, ঘুমের সমস্যা সমাধান হয়, এবং আরো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে মা এবং গর্ভে থাকা শিশু দুজনই সুস্থ থাকে।
তাই আমরা সবসময়ই গর্ভবতী মাকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার চেষ্টা করব। পুষ্টিকর
খাবার গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখব
কোন কিছুই যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়ে যায়। কারণ পরিমিত মাত্রায় সবকিছু ভালো
হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই আমরা অবশ্যই গর্ভবতী মাকে তালের শাঁস পরিমিত মাত্রায় দেব। গর্ভাবস্থায়
অতিরিক্ত তালের শাঁস খেলে শারীরিক অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিব।
তালের শাঁস খাওয়ার নিয়ম
তালের শাঁসের উপরের খোলস টা খুলে আপনি চাইলে শুধু খালি মুখে খেতে পারেন। আবার
চাইলে শরবত বানিও খেতে পারেন।
শরবত বানানোর নিয়ম
উপকরণ: নরম তালশাঁস, ডাবের পানি, স্বাদমতো চিনি, এক চিমটি লবণ, পরিষ্কার
ঠান্ডা খাবার পানি, বরফ কুচি।
প্রস্তুত প্রণালী
তালের শাঁস ছোট কিউব করে কেটে নিতে হবে। এবার ব্লেন্ডারে এক এক করে তালের শাঁস,
ডাবের পানি, চিনি, লবণ, খাবার পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে
হবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটা পরিষ্কার পাত্রে সেগুলো নামিয়ে কিউব করে কেটে
রাখা তাল শাঁস এবং বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
তালের শাঁসের অপকারিতা
আমরা জানি প্রতিটা জিনিসের উপকারের পাশাপাশি কিছুটা হলেও অপকার আছে। তালের শাঁসে
উপকারের পরিমাণ অনেক বেশি কিন্তু অল্প কিছু অপকারিতাও আছে। এখন আপনারা তালের
শাঁসের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- তালের শাঁসে রয়েছে অতিরিক্ত ক্যালরি যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের এটি না খাওয়াই ভালো।
- তালের শাঁস বেশি পরিমাণে খেলে পেট গরম হয়ে পেট ব্যাথা, বমি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত তালের শাঁস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা তাল শাঁস খেলে শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যেতে পারে। তাই কিডনি রোগীরা খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন।
তাল শাঁস কখন পাওয়া যায়
এখানে আমরা তালের শাঁস কখন পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই
আছে যারা তালের শাঁস খেতে অনেক পছন্দ করেন কিন্তু এই তালের শাঁস কখন পাওয়া যায়
তা জানে না। আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়ে আপনারা জানতে পারবেন তালের শাঁস কখন কোন
সময় পাওয়া যায়। চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই তালের শাঁস কখন পাওয়া যায়।
দেশীয় গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে কাঁচা তাল অন্যতম, যা বছরের অল্প সময় পাওয়া
যায়। এটি সাধারণত বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এই কথা সত্য যে
আবহাওয়া এবং গাছের জাত অনুযায়ী এই তালের শাঁসের সময়কাল কিছুটা এগিয়ে বা
পিছিয়ে যেতে পারে। কোন কোন এলাকায় আবার ফাল্গুন মাসের শেষের দিকেও এই তালের
শাঁস পাওয়া যায়।
কাঁচা তালের মধ্যে থাকা সুস্বাদু নরম জলীয় অংশ তাল শাঁস নামে পরিচিত। সাধারণত
তাল শাঁস নরম, হালকা নরম এবং একটু শক্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে এটি একটি
জনপ্রিয় খাবার। যেকোনো রাস্তার ধারে, মোরে, হাটবাজারে গ্রীষ্মকালে প্রায় সব
জায়গাতেই এই ফল পাওয়া যায়। এটির দাম কম এবং সহজলভ্য হওয়ায় সব শ্রেণীর মানুষ
এটি খেতে পারে।
শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি তালের শাঁসের উপকারিতা এবং
অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url