সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার ১০ টি বিশেষ উপকারিতা-বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয়
সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা এবং বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয় এই বিষয়ে সম্পর্কে
আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার
উপকারিতা এবং বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয় এই বিষয়ে আপনাদেরকে অনেক অজানা তথ্য
সম্পর্কে জানাবো।
আজকে আমরা আপনাদেরকে এ আর্টিকেলের মাধ্যমে সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা, বেশি
আঙ্গুর খেলে কি হয় এবং কালো ও লাল আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও আঙ্গুর খাওয়ার
নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি
পড়ুন।
সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার ১০ টি বিশেষ উপকারিতা
সবুজ আঙ্গুর খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার এটা আমরা অনেকে জানলেও সবুজ
আঙ্গুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন প্রথমেই জেনে নিই সবুজ
আঙ্গুরে কি কি পুষ্টি উপাদান আছে সেই সম্পর্ক। সবুজ আঙ্গুরে ১.৪ গ্রাম ক্যালোরি,
০.২ গ্রাম প্রোটিন, ২৭.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়াও সবুজ আঙ্গুরে
অন্যান্য আঙ্গুরের মতোই ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়ামের ভালো উৎস রয়েছে।
সবুজ আঙ্গুরকে ফলের রানী বলা হয়।
প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই সবুজ আঙ্গুর অনেক প্রিয় একটি ফল। খেতে সুস্বাদু বলে
অনেক মানুষ এটি খেয়ে থাকে কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। সবুজ
আঙ্গুর অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। বাংলাদেশের তিন ধরনের আঙ্গুর পাওয়া
যায়। যেমন: সবুজ আঙ্গুর, কালো আঙ্গুর এবং লাল আঙ্গুর। বাজারে অন্যান্য
আঙ্গুরের তুলনায় কালো আঙ্গুর এবং লাল আঙ্গুর এর দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি।
কিন্তু পুষ্টিগুণের বিবেচনা করতে গেলে সব আঙ্গুরেরই পুষ্টিগুণ প্রায় সমান।
তবে বিশেষ ভাবে গবেষণার মাধ্যমে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কালো ও লাল আঙ্গুরের পুষ্টি
গুনে তুলনায় সবুজ আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ একটু হলেও বেশি। তাই আপনারা আপনাদের খাদ্য
তালিকায় নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর রাখতে পারেন। চলুন জেনে নি ই সবুজ আঙ্গুর খাওয়া ১০
টি বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে
আসবে।
সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার ১০ টি বিশেষ উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
- হাড়ের সুস্বাস্থ্য গঠন
- রক্তস্বল্পতা কমায়
- ইনফেকশন প্রতিরোধে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
- চোখ ভালো রাখে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে
অন্যতম হলো এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। সবুজ আঙ্গুরে
থাকা ক্যাটেকিনস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি খুব অল্পতেই বিভিন্ন রোগে
আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য
খাবারের তালিকায় নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর রাখতে পারেন। এটা আপনি অনেক উপকার
পাবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: সুন্দর উজ্জ্বল দাগ হীন ত্বক আমাদের সবার
কাম্য। নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর খেলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়। সবুজ আঙ্গুরে থাকা
ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শুধুমাত্র খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় অনেক বিউটিশিয়ানরা মুখের ফেসিয়াল করার সময়
আঙ্গুরের রস ব্যবহার করে থাকে। এটি কারণ এটি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে এবং
ত্বক কোমল রাখে।
হাড়ের সুস্বাস্থ্য গঠন: সবুজ আঙ্গুরে উপস্থিত থাকা ভিটামিন কে আপনার
শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং হাড়ের কাটিলেজ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। তাই হাড়ের সুস্বাস্থ্য গঠনে সবুজ আঙ্গুরের গুরুত্ব অনেক
বেশি।
রক্তস্বল্পতা কমায়: আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা রক্তস্বল্পতায়
ভুগেন। আপনিও যদি রক্তশূন্যতায় ভুগেন তাহলে সবুজ আঙ্গুর আপনার জন্য। কারণ সবুজ
আঙ্গুরে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের রক্তের অভাব দূর করে এবং হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা বাড়ায়।
ইনফেকশন প্রতিরোধে: সবুজ আঙ্গুরে থাকা ভিটামিন সি উপাদান আমাদের শরীরে
ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন
করে। এটি ইনফেকশনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সবুজ আঙ্গুরের জুড়ি মেলা
ভার। নিয়মিত সবুজ আপেল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সবুজ আঙ্গুরে উপস্থিত থাকা
ফাইটোকেমিক্যাল মস্তিষ্কের বার্ধক্যকে প্রভাবিত করে যার ফলে আমাদের হৃদরোগের
ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক কষ্টকর একটি রোগ। কোষ্ঠকাঠিন্যের
ফলে অনেক সময় মলদ্বার ফেটে যায় যার ফলে রক্তপাত এবং প্রচুর পরিমাণ ব্যথা হয়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে সবুজ আঙ্গুর। সবুজ আঙ্গুর এসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের
মাত্রা কমায়।
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রেসভরেট্রল
মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়াতে কাজ করে। যার ফলে স্মৃতিশক্তি জনিত সমস্যা দূর
হয়। তাই যাদের স্মৃতিশক্তি সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত তাদের খাদ্য তালিকায়
সবুজ আঙ্গুর রাখতে পারেন ।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: সবুজ আঙ্গুরে উপস্থিত থাকা ফাইবার আমাদের ওজন
নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সবুজ আঙ্গুর
অনেক বেশি কার্যকরী। তবে শুধুমাত্র সবুজ আঙ্গুর খেলেই ওজন কমবে না সেই সাথে
আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।
চোখ ভালো রাখে: চোখ মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। চোখ হারিয়ে গেলে
মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। তাই চোখ ভালো রাখতে অবশ্যই আপনারা নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর
খাবেন। কারণ মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ আঙ্গুর আমাদের
চোখ ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রেটিনায় প্রটেকটিভ প্রোটিনের মাত্রা
বাড়াই এই সবুজ আঙ্গুর। তাই নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর খেলে আপনাদের চোখ ভালো থাকবে।
উপরের উল্লিখিত সবুজ আঙ্গুরের এই দশটি উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
তাই আপনি যদি এ সকল উপকার আপনার শরীরে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য
তালিকায় নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর রাখার চেষ্টা করুন।
লাল আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা
লাল আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। কেননা লাল আঙ্গুরেও সবুজ আঙ্গুর এবং কালো
আঙ্গুরের মতোই প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেমন: ভিটামিন কে ভিটামিন
এ ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ
পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চলুন জেনে নিই লাল আঙ্গুরের ১০ টি অজানা উপকারিতা
সম্পর্কে।
লাল আঙ্গুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
- মস্তিষ্ক ভালো রাখে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
- শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে
- হজমে সহায়তা করে
- হাড়ের সুস্থতায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
- অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
মস্তিষ্ক ভালো রাখে: লাল আঙ্গুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আলঝাইমার
এর মত রোগের ঝুঁকি কমিয়ে মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই মস্তিষ্ক ভালো
রাখতে লাল আঙ্গুরের ভূমিকা বেশ কার্যকরী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: আমাদের শরীরে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে লাল আঙ্গুর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও লাল
আঙ্গুরে থাকা রিসভারিট্রল, পলিফেনল এবং ফ্লাভানোয়েড নামক এই তিন ধরনের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লাল আঙ্গুরে থাকা
বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। লাল
আঙ্গুরে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামক উপাদান যা আমাদের শরীরের অনেক ধরনের
রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে: আপনি যদি অনেক দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে সবুজ
আঙ্গুর আপনার জন্য অনেক উপকারী। কারণ সবুজ আঙ্গুলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা আপনার
শরীরের শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সবুজ আঙ্গুর খেলে আপনি হবেন
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
হজমে সহায়তা করে: সবুজ আঙ্গুরের তুলনায় লাল আঙ্গুরে ফাইবারের পরিমাণ
অনেক বেশি থাকে। লাল আঙ্গুরের ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি আপনার হজমে সাহায্য
করবে। এটি হজমে সহযোগিতা করে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা ভরা অবস্থায় রাখতে সাহায্য
করে।
হাড়ের সুস্থতায়: লাল আঙ্গুরে থাকা ভিটামিন কে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম
এবং পটাশিয়াম আপনার শরীরে হাড় শক্তিশালী করে হাড়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: লাল আঙ্গুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর
ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনার
শরীরের হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে.
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: লাল আঙ্গুর কম গ্লাইসিমিক যুক্ত ফল
হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল।
অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করে: মানুষের শরীরে মেলোটনিক নামক হরমোন ঘুম
পাড়াতে সাহায্য করে। লাল আঙ্গুরে এই মেলাটোনইন নামক উপাদান প্রাকৃতিক ভাবেই
থাকে। তাই আপনি যদি অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায়
নিয়মিত লাল আঙ্গুর রাখুন। এটি অনিদ্রার সমস্যা দূর করবে।
আরোও পড়ুন: তালের শাঁসের উপকারিতা ও অপকারিতা
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: লাল আঙ্গুর ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। লাল আঙ্গুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার যা আপনার শরীরে
অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখবে ফলে ক্ষুধা লাগবে না। তাই আপনার বারবার খেতে হবে না ফলে
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা
উপরে আমরা এক এক করে সবুজ আঙ্গুর এবং লাল আঙ্গুর এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি।
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা কালো আঙ্গুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। ও তাই ধৈর্য
সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
সবুজ আঙ্গুর এবং লাল আঙ্গুর এই যে সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা কিন্তু নয়। কালো
আঙ্গুরেও রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান। কালো আঙ্গুরে রয়েছে ফ্যানোলিক এসিড,
ফ্লেভানয়েড এবং রেসভেরাট্রল। এই উপাদানগুলো আপনাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
চলুন জেনে নিই কালো আঙ্গুরের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে।
কালো আঙ্গুরের ৭ টি উপকারিতা
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- চোখ ভালো রাখে
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী
- চুলের জন্য উপকারী
- ত্বকের জন্য উপকারী
- হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে
- রক্তনালীর প্রতিবন্ধকতা দূর করে
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কালো আঙ্গুর খেলে
ব্রেস্ট, লাং এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
চোখ ভালো রাখে: চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত কালো আঙ্গুর খাওয়ার
পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী: কালো আঙ্গুর নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের
ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।
চুলের জন্য উপকারী: কালো আঙ্গুরের বীজ চুলের জন্য বেশ উপকারী। কালো
আঙ্গুরের বীজ পেস্ট করে অলিভ অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে দিলে চুল পড়ার
সমস্যা দূর করে এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও কালো আঙ্গুরে
থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'ই' যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী।
ত্বকের জন্য উপকারী: কালো আঙ্গুরে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
আপনার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন এর মাত্রা ঠিক রাখে। তাই ত্বকের বলি রেখা, কালো ছোপ,
ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি থেকে ত্বককে ভালো রাখতে নিয়মিত কালো আঙ্গুর খান এবং
আপনার ত্বকে মাখুন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবধান বুঝতে পারবেন।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে: নিয়মিত কালো আঙ্গুর খেলে হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল ঠিক
থাকে। কালো আঙ্গুরে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পিসিকে সুস্থ রাখে পাশাপাশি
আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
রক্তনালীর প্রতিবন্ধকতা দূর করে: কালো আঙ্গুরে থাকা নাইট্রিক অক্সিডেন্ট
আমাদের শরীরে রক্তনালীর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্ট
অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকাংশই কমে যায়। তাই নিয়মিত কালো আঙ্গুর খেলে আমাদের
শরীরের রক্তনালীর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাহায্য করে।
কোন আঙ্গুর খাওয়া ভালো-সবুজ, লাল না কালো ?
আমাদের মনের মধ্যে সব সময় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে যে কোন আঙ্গুর খাওয়া
ভালো-সবুজ আঙ্গুর লাল আঙ্গুর নাকি কালো আঙ্গুর। আপনিও যদি এই প্রশ্নের উত্তর
খুঁজে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য। এই অংশটি পড়ে আপনি
জানতে পারবেন কোন আঙ্গুরের উপকার বেশি।
বাজারে সবুজ, লাল এবং কালো এই তিন ধরনের আঙ্গুর পাওয়া যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন
যে সবুজ, কালো এবং লাল তিন রংয়ের আঙ্গুরই খাদ্য উপাদানে প্রায় সমান সমান। তিন
রঙের আঙ্গুরেই ক্যালোরি, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ সমান। তবে
প্রোটিনের পরিমাণের দিক থেকে সবুজ আঙ্গুর একটু এগিয়ে। আবার শরীরের অন্যান্য
উপকারে সবুজ আঙ্গুর একটু পিছিয়ে।
তিন ধরনের আঙ্গুরেই ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে এর যোগান দেয়। কালো ও লাল আঙ্গুরের
বাইরে ও আছে তিন ধরনের পলিফেনলস। যেমন: ফেনোলিক অ্যাসিড, ফ্লেভানয়েড এবং
রেসভেরাট্রল। এই তিন উপাদানের মধ্যে রেসভেরাট্রল শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
আর এই উপাদান লাল ও কালো আঙ্গুরে বেশি থাকায় এই দুই আঙ্গুরকে পুষ্টিগুনে খানিকটা
এগিয়ে রাখতে হয়।
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন ব্যবধান খুব একটা বড় নয় যাকে বলে উনিশ-বিশ। তাই
আঙ্গুর খাওয়ার সময় আপনি আপনার রুচি এবং পছন্দ অনুযায়ী তিন ধরনের আঙ্গুরের
মধ্যে যেকোন একটা বেছে নিলেই চলবে। কারণ প্রতিটা আঙ্গুরই উপকারী ফল। সেই ক্ষেত্রে
আঙ্গুরের রং কোন ব্যাপার না। আপনার হাতের কাছে যে রঙের আঙ্গুর সুবিধামতো পাওয়া
যাবে আপনি সেই আঙ্গুরই কিনে খাবেন।
বেশি পরিমাণে আঙ্গুর খেলে কি হয়
আপনারা সকলেই জানেন যে কোন জিনিস বেশি পরিমাণের খাওয়া ঠিক নয়। আমরা জানি আঙ্গুর
অনেক উপকারী একটি ফল। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর
একটি খাবার। তাই আঙ্গুরকে ফলের রানী ও বলা হয়। আঙ্গুরের পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি
বলে যে আপনি এটি পরিমাণে অনেক খাবেন সেটা কিন্তু ঠিক নয়।
আঙ্গুরের পুষ্টি উপাদানের কথা বিবেচনা করে অবশ্যই এটি আপনারা প্রায় প্রতিদিন
নিয়মিত খাবেন। সেই সাথে মনে রাখবেন একেবারে আঙ্গুর বেশি পরিমাণের খাওয়া যাবেনা।
এটি অল্প পরিমাণের খেতে হবে। আঙ্গুর একসাথে অনেক বেশি পরিমাণে খেলে উপকারের বদলে
ক্ষতি পরিমাণ বেশি হবে। চলুন জেনে নিই আঙ্গুর বেশি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক
সম্পর্কে।
- আঙ্গুরে থাকা ক্যালরি আপনার ওজনকে বাড়িয়ে দিবে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে বেশি পরিমাণের আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আঙ্গুর বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ আঙ্গুরে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি এবং সেলেসিলিক অ্যাসিড যা আপনার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আঙ্গুরে এক ধরনের বিশেষ যৌগ থাকে যা গর্ভে থাকা সন্তানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খেলে নবজাতক শিশুর পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- যারা ডায়াবেটিসের জন্য সুগারের ওষুধ খান তারা আঙ্গুর ফল এড়িয়ে চলবে। কারণ আঙ্গুর সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- আপনি যদি কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আঙ্গুর থেকে বিরত থাকুন। কারণ আঙ্গুর কিডনির সমস্যা আরো বৃদ্ধি করে। এমনকি কিডনির অসুখের জন্য যে ওষুধ খাওয়া হয় সেই ওষুধের অ্যাকশন আঙ্গুর কমিয়ে দিতে পারে।
- আঙ্গুরে থাকা তরল প্রোটিন আপনার শরীরে এলার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই আপনি যদি এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আঙ্গুর এড়িয়ে চলবেন।
- একসাথে বেশি পরিমাণ আঙ্গুর খেলে পেটের নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। আঙ্গুর বেশি খেলে পেট ফুলে যায়, গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়, পেট ব্যথা হয় এবং বমি বমি ভাব হয়। তাই অবশ্যই আঙ্গুর পরিমিত মাত্রায় খাবেন।
আঙ্গুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আঙ্গুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আঙ্গুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং পুষ্টিকর একটি ফল। উপরের আলোচনায়
আমরা এক এক করে সবুজ আঙ্গুর, লাল আঙ্গুর এবং কালো আঙ্গুরের উপকারিতা সম্পর্কে
জেনেছি। এই তিন ধরনের আঙ্গুরই আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
আঙ্গুর আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বলে যে এটি পরিমাণের বেশি খাব তা কিন্তু নয়।
আঙ্গুর পরিমাণে বেশি খেলে আমাদের কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা উপরের আলোচনায়
বিস্তারিত বলা হয়েছে। তাই এখন আমরা আঙ্গুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব।
আপনি যদি ব্লাড সুগারের পেশেন্ট না হয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন অন্তত ২০০
গ্রাম আঙ্গুর খেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ১০০ গ্রাম সবুজ
আঙ্গুর এবং বাকি ১০০ গ্রাম লাল এবং কালো আঙ্গুর মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া
যাবে। আর আপনি যদি ডায়াবেটিস এর প্রেসেন্ট হন তাহলে অল্প পরিমাণে তিন ধরনের
আঙ্গুর একসাথে মিশিয়ে খাবে।
আঙ্গুর কখনোই নিজের ইচ্ছামত বেশি করে খাবেন না তাহলে উপকারের বদলে অপকার বেশি
হবে। আপনি কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে আঙ্গুর খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী আঙ্গুর খাবেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী খেলে
কোনরকম দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না।
গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় নারীরা খাবার নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভোগে। গর্ভাবস্থায় কোন খাবার
খেলে মা ও শিশু উভয়ের জন্য উপকারী এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া নিষিদ্ধ সেই সব
নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই। গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল খাওয়া
যাবে কিনা এই ব্যাপারে আপনি যদি খুব চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই
অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন
নিঃসন্দেহে আঙ্গুর একটি পুষ্টিকর ফল। আঙ্গুরের উপকারিতা অনেক। কিন্তু এটি গর্ভবতী
নারীদের জন্য নয়। গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশেষ করে শেষের
তিন মাস আঙ্গুর একেবারেই খাওয়া যাবে না। কারণ আঙ্গুরে থাকে রেসভেরাট্রল নামক এক
ধরনের যৌগ যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। আঙ্গুর অত্যন্ত গরম একটি ফল যা
গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরোও পড়ুন: ভিডিও দেখে প্রতিদিন ৫০০ ১০০০ টাকা করার উপায়আয়
গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মা যদি আঙ্গুর খায় তাহলে নবজাতকের নানা ধরনের পেটের
সমস্যা হয়। নবজাতক শিশুর পেট ফুলে যায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় শিশু নানা
ধরনের পেটের অসুখে ভুগে। তাই অবশ্যই মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের
জন্য আঙ্গুর খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ।
খালি পেটে আঙ্গুর খেলে কি হয়
আমাদের বাংলায় একটি প্রবাদ আছে
"খালি পেটে জল
ভরা পেটে ফল"
অনেক সময় আমরা না বুঝে শুনে খালি পেটে আঙ্গুর খেয়ে ফেলি। অনেকেই তো আবার সকালে
নাস্তার তালিকায় প্রথমেই আঙ্গুর ফল রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর।
আঙ্গুর উপকারী ফল হলেও সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে সেটা আমাদের উপকারের বদলে
ক্ষতি বেশি করে। শুধুমাত্র আঙ্গুর ফলই নয় যেকোনো ফলই হোক না কেন তা খালি পেটে
খাওয়া যাবেনা। ফল অবশ্যই ভরা পেটে খেতে হবে। খালি পেটে ফল খেলে অনেক ধরনের
অসুবিধা হয় যেমন:
- হজমের সমস্যা
- এলার্জি সমস্যা
- ডায়রিয়া হওয়া সম্ভাবনা
- পেট খারাপ হয়
- শরীরের ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে
হজমের সমস্যা: আঙ্গুরের থাকা স্যালিসিলিক নামক এসিড আমাদের হজমের সমস্যায়
বাধা দেই। তাই খালি পেটে আঙ্গুর খেলে আপনি হজমের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এলার্জি সমস্যা: আঙ্গুর ফলে থাকা তরল প্রোটিন এলার্জির সমস্যা বাড়িয়ে
দেয়। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের খালি পেটে আঙ্গুর খাওয়া একেবারেই
চলবে না।
ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা: খালি পেটে আঙ্গুর ফল খেলে নানা ধরনের সংক্রমণে
আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা থাকে। আঙ্গুর একটি গরম হল। এটি খালি পেটে খেলে ডায়রিয়া
হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনার যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই
আঙ্গুর ফল এড়িয়ে চলবেন।
পেট খারাপ হয়: বিশেষজ্ঞরা বলেন আঙ্গুর ফলে থাকা গ্রেপস অ্যালকোহল আমাদের
পেটের যেকোনো সমস্যার জন্য প্রধান কারণ। তাই যাদের ঘন ঘন পেট খারাপ জাতীয় সমস্যা
থাকে তাদেরকে চিকিৎসকরা আঙ্গুর ফল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
শরীরে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে: আঙ্গুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি
যা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী
হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সকালে খালি পেটে আঙ্গুর ফল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
শেষ কথা: সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা-বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয়
আজকের এই আর্টিকেলে সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা-বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয় সেই
সাথে আঙ্গুরের অনেক অজানা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে
www.digitalabida.com এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url