ড্রাগন ফলের কার্যকরী ২০ টি উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
বর্তমানে ড্রাগন ফল প্রতি সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। আগে এই ফলটি শুধুমাত্র বিদেশে চাষ হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এই ফলের চাষ হচ্ছে। এটি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় পাহাড়ি এলাকায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। এটি একটি ক্যালরিযুক্ত ফল হওয়ায় ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারে নেই। এতে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ফ্যাটি এসিড বিটাকিন ম্যাগনেসিয়াম ও লাইকোপেন এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এছাড়াও এতে থাকা ভাইবার ও আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
ড্রাগন ফল খাওয়ার কার্যকরী ২০ টি উপকারিতা
ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল এটা জানলেও এই ফলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এটি একটি বিদেশি ফল হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই ফল চাষাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় ড্রাগন ফল এর চাষাবাদ বেশি ভালো হয়।
আরোও পড়ুন: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় সকল মানুষেরই ড্রাগন ফল অনেক জনপ্রিয় একটি ফল হয়ে উঠেছে। খেতে সুস্বাদু এই ফল এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশে সাদা, গোলাপি, লাল, হলুদ রংয়ের ড্রাগন পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে সব রংয়ের ড্রাগন ফলই প্রায় একই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল।
আপনি যদি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে ড্রাগন ফলের বিশেষ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। এই ফল আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা জানলে আপনিও অবাক হবেন। আসুন ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
ড্রাগন ফল খাওয়ার কার্যকরী ২০টি উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- রক্তের চর্বি কমায়
- হজমে সহায়তা করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধী
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
- হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে
- হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
- শরীরের ওজন কমায়
- শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- হার্ট সুস্থ রাখে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
- ত্বকের জন্য উপকারী
- চুল ভালো রাখে
- ফাইবার সমৃদ্ধ
- ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ ফল
- কিডনি সুস্থ রাখে
- ঘুম ভালো হয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
রক্তে চর্বি কমায়: ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ এর আঁশ। যা আমাদের শরীরে থাকা রক্তের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
হজমে সহায়তা করে: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের হজমের সমস্যা হয়। ড্রাগন ফলে থাকা আঁশ হজমে সহায়তা করে যার ফলে পেট সুস্থ থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার খাবারের যুক্ত করুন ড্রাগন ফল। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধী: গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা লাইকোপেন আমাদের শরীরে ক্যান্সার বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: ড্রাগন ফল উচ্চ বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে এবং চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।
হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে: ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে সহায়তা করে। বিশেষভাবে নারীদের জন্য এই ফল অনেক উপকারী।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: ড্রাগন ফল আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। তাই কিশোর-কিশোরী এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।
শরীরের ওজন কমায়: ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন ফাইবার এবং জলীয় অংশ। আর এগুলো আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে: আমাদের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের ক্ষতিকর এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সঠিক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: উচ্চচাপের রোগীরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে সুস্থ থাকে। কারণ ড্রাগন ফল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: আমাদের শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রেখে ডায়াবেটিসে ঝুঁকি কমাতে ড্রাগন ফলের জুড়ি মেলা ভার। ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হার্ট সুস্থ রাখে: ড্রাগন ফল হার্টের জন্য অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে থাকা ওমেগা ৩ এবং ওমেগা নাইন ফ্যাটি এসিড হার্টের জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে হার্ট সুস্থ থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভূমিকা অনেক।
ত্বকের জন্য উপকারী: সুন্দর উজ্জ্বল দাগহীন ত্বক আমাদের সকলের কাম্য। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনে, ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে করে কোমল ও সুন্দর। বিভিন্ন বিউটিশিয়ানরা মুখের ফেসিয়াল করার জন্য ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকে।
চুল ভালো রাখে: সুন্দর ঝলমলে চুলের জন্য ড্রাগন ফল অনেক উপকারী। এটি আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ ফল: ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার ও ফ্যাট ফ্রী। তাই যারা ডায়েট করে তাদের জন্য এটি আদর্শ একটি খাবার। তারা নিশ্চিন্তে তাদের ডায়েটলিস্টে ড্রাগন ফল রাখতে পারে। ড্রাগনে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের কোলন ক্যান্সার ও পাইলসের সমস্যা দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ ফল: ওমেগা ৩ এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরে নিজে নিজে তৈরি হয় না। এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ওমেগা ৩ আছে এমন ধরনের খাবার থেকে পূরণ করতে হয়। মাছ থেকে আমরা কিছু পরিমাণ ওমেগা ৩ পাই। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩। পুরুষদের মত মেয়েদের পিসিওএসের সমস্যার জন্য ওমেগা তিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওমেগা ৩ এর গুরুত্ব অনেক।
কিডনি সুস্থ রাখে: নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে আমাদের কিডনি সুস্থ থাকে। ড্রাগন ফল কিডনির নানা রকম জটিলতা দূর করে।
ঘুম ভালো হয়: নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়, মনোবল বারে এবং ঘুম ভালো হয়। তাই যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ড্রাগন ফল রাখতে পারেন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
বর্তমানে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতার জন্য বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ফলটি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। ছোট বড় প্রায় সকলের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়েছে এই ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত।
আরোও পড়ুন: কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও এর পুষ্টিগুণ। কোন ডিমে পুষ্টি বেশি
ড্রাগন ফল মূলত একটি বিদেশি ফল হলেও বর্তমানে সব দেশেই এটি পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশেও এর ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। ড্রাগন ফলে রয়েছে আশ্চর্যজনক কিছু গুনাগুন যার কারণে পুষ্টিবিদরা এই ফল খেতে বলেন সকলকে। আসুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
প্রতি একশ গ্রাম ড্রাগণ ফলে রয়েছে শর্করা ৯-১০ গ্রাম, প্রোটিন ০.১৫-০.৫ গ্রাম, আয়রন ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৬-৩৫ গ্রাম, জলীয় অংশ ৮০ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৩৫-৫০ কিলোক্যালরি, ভিটামিন বি৩ - ০.২-০.৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬-১০ মিলিগ্রাম, ০.১০-০.৬ মিলিগ্রাম, আঁশ ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম, অল্প পরিমাণের ভিটামিন এ, থায়ামিন, কেরোটিন এবং রিবোফ্লেমিন রয়েছে রয়েছে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ড্রাগন ফল অনেক উপকারী একটি ফল হওয়ায় এটি খাওয়ার তেমন বিশেষ কোন নিয়ম নেই। ফল সাধারণত সকালে খাওয়া উত্তম। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ফল খেলে পরিপাকতন্ত্র ফলের চিনি কে দ্রুত ভেঙে দেয় এবং এটি আমাদের সমস্ত শরীরে খুব সহজে পুষ্টি সরবরাহ করে।
ড্রাগন ফল ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে তাই রাতে ড্রাগন ফল বা এর জুস করে খেতে পারেন। তবে ড্রাগন ফলটির দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়। সকালের নাস্তায় কিংবা মধ্য খাবার হিসেবেও খাবারের তালিকায় এই ফলটি রাখা যায়। এটি অনেক পুষ্টিকর একটি ফল।
এই ফলের জুস বানিয়ে অথবা আপেলের মতো করে চার ভাগ করে কেটে খোসা ছাড়িয়েও খেতে পারেন। অনেকেই আবার ড্রাগন ফলকে সালাত হিসেবেও খায়। তবে এই ফল রান্না করে খাওয়া উচিত নয় কারণ রান্নার তাপে এর পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
সাধারণত গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মায়েদের খাদ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন অভাব থাকে না। কোন ফল খেলে তাদের পেটের শিশুটি সুস্থ থাকবে সেই বিষয়ে সব সময় অনেক বেশি চিন্তা করে। আপনি যদি পোস্টের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার জাদুকারি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ড্রাগন ফল এমন একটি খাবার যেখানে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে এর কোন ক্ষতিকর বা অনিরাপদ এমন কিছুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গর্ভাবস্থায় এই ফলটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য কতটা উপকারী তা জানলে আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন। কারণ গর্ভ অবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা অবাক করার মতোই।
ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি, আয়রন এবং ফোলেট গর্ভবতীদের জন্য একটি আদর্শ খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি দূর করে এবং গর্ভে থাকা নবজাতককে শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রুনের হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মহিলাদের পোস্টমেনোপজাল বিভিন্ন জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ওমেগা ৩ এর ঘাটতি দেখা যায়। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে আয়রন এবং ওমেগা ৩ এর চাহিদা পূরণ হয়। ড্রাগন ফলে থাকা খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়েদের হজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া কতটা উপকারী আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন। গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভে থাকা নবজাতকের সুস্থতায় অবশ্যই তার খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখবেন। এতে করে শারীরিকভাবে মা এবং শিশু উভয়ই ভালো থাকবে।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফল অনেক উপকারী একটি ফল। বাচ্চাদের বিভিন্ন শাকসবজি দেওয়ার পাশাপাশি ড্রাগন ফল দেওয়া যেতে পারে। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৩, ভিটামিন সি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশুদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই ছয় মাস বয়সের পর থেকেই একটু একটু করে বাচ্চাদেরকে ড্রাগন ফল দেওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে কিনা। চলুন জেনে নি বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল: ড্রাগন ফলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার বাচ্চার কোষ গুলোকে সুরক্ষা দেই এবং দেহের বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবং সেই সাথে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।
হাটকে সুরক্ষায়: ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হার্টের উন্নতি করে। আপনি যদি আপনার শিশুকে জীবনের শুরু থেকে ড্রাগন ফল নিয়মিত দেন তাহলে জীবনের শেষ পর্যায়ে হৃদরোগের সমস্যা কম হবে। অর্থাৎ শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত ড্রাগন ফল দিলে বাচ্চার হার্ট সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠবে।
হাড় শক্তিশালী করে: ড্রাগন ফলে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শিশুর হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ফিনোলিক এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ মিশ্রিত ফসফরাস বাচ্চাদের হাড়ের ঘনত্বকে শক্তিশালী করে। এটি শৈশবে রিকেট এবং আর্থ্রাইটিস এর মত জটিল রোগ গুলোর হাত থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল: ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি বাচ্চাদের অনেকগুলো শারীরিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। বাচ্চাদের হার্ট, পেশি, ত্বকের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নয়ন ঘটাতে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অনেক। এছাড়াও ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্কার্ভি জাতীয় রোগজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ফাইবার যুক্ত শাঁস: ড্রাগন ফল ফাইবার যুক্ত হওয়ায় এটি আপনার সন্তানের অন্ত্রের চলাচল এবং পচনতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের চিনিসামগ্রী কেউ স্থিতিশীল করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত স্থূলত্ব এড়াতে সাহায্য করে।
অন্ত্রের জন্য ভালো: বাইরের দোকানে পাওয়া মুখরোচক অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর কারণে অনেক সময় বাচ্চাদের পেট ফেপে যায় এমন। ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার সামগ্রীগুলো বাচ্চাদের অন্ত্রের মসৃণ চলাচলে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবারের উপাদান গুলো বাচ্চাদের খুব কঠিন কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনার বাচ্চার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ড্রাগন ফল রাখুন।
স্নায়ুর জন্য ভালো: ড্রাগন ফলে থাকা ফসফরাস, সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের মোটর এবং সংবেদনশীল দক্ষতা উন্নতি করে।
কিডনি সুস্থ রাখে: ড্রাগন ফলে থাকা ডিটক্সিফিকেশন এর প্রভাবে বাচ্চাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলো থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এবং এটি বাচ্চাদের ইউরিনারি সিস্টেম স্বাস্থ্যকর ভাবে পরিচালনা করে থাকে।
আয়রনের ভালো উৎস: ড্রাগন ফলে থাকা লৌহ এবং আয়রন লোহিত রক্ত কণিকার গণনা বাড়াতে সক্ষম। শিশুদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অনেক।
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানোর আগে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাকে যে কোন খাবার প্রথমে অল্প অল্প করে শুরু করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোন কিছু বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই সেটার প্রতিকার করতে হবে। চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের ড্রাগন ফলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিক।
- ড্রাগন ফলে বাচ্চার এলার্জির সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটি খেয়াল করবেন।
- ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে বাচ্চার মুখে বা ঠোঁটে ফোলা ভাব হচ্ছে কিনা সেগুলো খেয়াল করুন।
- ড্রাগন ফলে বাচ্চার হজমের সমস্যা বা ডায়রিয়ার সমস্যা হচ্ছে কিনা নজরে রাখুন।
- ড্রাগন ফল কাটার পূর্বে প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে তারপরে কাটবেন। না হলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
- যেহেতু ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে সেহেতু ড্রাগন ফল খেয়ে বাচ্চার এসিডিটির সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল করবেন। কারণ এসিডিটির কারণে অনেক সময় বাচ্চাদের পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ড্রাগন ফলের পিউরি তৈরির নিয়ম
ড্রাগন ফলের পিউরি বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ড্রাগন ফলের পিউরি তাদের অন্ত্রের চলাচল সহজ করার জন্য অনেক পুষ্টিকর এবং আদর্শ একটি খাবার। কিন্তু অনেক মায়েদের দুশ্চিন্তা থাকে এই পিউরি তৈরি করার নিয়ে। চলুন আজ আপনাদের বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর উপায়ে ড্রাগন ফলের পিউরি তৈরির নিয়ম শিখিয়ে দি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- এক কাপ ড্রাগন ফলকুচি
- ১-২ টেবিল চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- প্রয়োজনমতো ঠান্ডা পানি বা আইস কিউব
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে ড্রাগন ফল কুচি গুলো একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালোভাবে মসৃণ করে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করার পর যদি কোন বড় বীজ থাকে তবে সেগুলো চালোনি দিয়ে ছেকে নিন। এবার ব্লেন্ড করা ড্রাগন ফলের সাথে চিনি লেবুর রস ঠান্ডা পানি এবং সেই সাথে আইস কিউব মিশিয়ে ভালোভাবে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন ড্রাগন ফলের পিউরি।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
আমরা সবাই জানি ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু ড্রাগন ফলের খোসাও যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই না জেনে না বুঝে আমরা ড্রাগন ফলের খোসা ডাস্টবিনে ফেলে দি। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি আর একটুও বাইরে ফেলে দিবেন না। চলুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে অবশ্যই ড্রাগন ফলের খোসার জুস বানিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
হৃদরোগ এড়াতে: ড্রাগন ফলের খোসার জুস হৃদরোগ এড়াতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ড্রাগন ফলের খোসার জুস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই জুস সম্পূর্ণ সুগার ফ্রী থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পান করতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: ড্রাগন ফলের খোসার জুসে থাকা বিটা ক্যান্টিন আপনার দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা
সুন্দর ত্বক চান না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা সবায় সুন্দর উজ্জ্বল একটি ত্বক চায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনেক। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার পাশাপাশি এটি দিয়ে আপনি রূপচর্চা করতে পারেন। চমৎকার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি আপনি আপনার রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন।
ড্রাগন ফল ত্বকের যেসব উপকার করে
- ত্বকের আদ্রতা দূর করে ত্বককে করে নরম এবং কোমল।
- ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি, জিংক এবং নিয়াসিনামাইড আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি মেলেনিন সংশ্লেষণ হাস করে এবং কোলাজেন উপাদান বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে এটি ত্বকের লাল ভাব এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে ত্বককে করে উজ্জ্বল।
- ড্রাগন ফলে থাকা এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের ক্লান্ত ভাবকে দূর করে ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে যার ফলে সহজে ত্বকের বলিরেখা পরেনা।
- রোদে পোড়া ভাব, ত্বকের লালচে ভাব দূর করে ত্বকে প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে ড্রাগন ফলের জুড়ি মেলা ভার।
ড্রাগন ফল ত্বকের জন্য যেভাবে ব্যবহার করবেন
- ড্রাগন ফল টুকরো টুকরো করে কেটে এটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট একটি তুলার সাহায্যে ব্রণের দাগ বা ব্রণের উপর ঘুসুন। ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারের পর দেখবেন ব্রণ দূর হয়ে গেছে।
- অল্প একটু ড্রাগন ফল ভালোভাবে চটকে তার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকের উপর ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল হবে।
- ত্বক হাইড্রেট করতে ড্রাগন ফলের সাথে এক চা চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের যত্নে এই ড্রাগন ফল বিভিন্ন বিউটিশিয়ানরা রূপচর্চার কাজে বিভিন্ন ফেসপ্যাক তৈরি করেও ব্যবহার করেন। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকার করে। তাই রূপচর্চার কাজে আপনিও উপরোক্ত নিয়মগুলো ব্যবহার করে ড্রাগন ফল ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রাগন ফল কোন ঋতুতে চাষ করা ভালো
ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় এর চাষ অনেক বেড়েছে। আগে এটি শুধু বিদেশে চাষ করা হলেও বর্তমানে এই ফল আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে চাষাবাদ করা হচ্ছে। ড্রাগন ফল সাধারণত সারা বছরই চাষ করা যায়। এটি মোটামুটি শক্ত প্রজাতির গাছ হওয়ায় প্রায় সব ঋতুতেই এই গাছের চারা রোপন করা যায়। তবে আপনি যদি টবের ড্রাগন ফল চাষ করতে চান তাহলে ভালো ফলন পেতে অবশ্যই এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ড্রাগন চারা রোপন করুন। এতে ফলন ভালো হবে ফলে আপনি সুফল পাবেন।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফল অনেক উপকারী ফল হলেও পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। আপনি নিশ্চয় জানেন কোন কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা উপকারের বদলে অপকার বেশি করে। আর্টিকেলের এই অংশে আসুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের কিছু ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
- ড্রাগন ফল পুষ্টিকর খাবার হলেও এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে প্রসাবের রং লাল হতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত মাত্রায় না খেয়ে পরিমাণমতো খাবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণ ড্রাগন ফল খেলে আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে যার ফলে আপনি হাইপ্রোটেশন যুক্ত সমস্যায় ভুগবেন।
- ড্রাগন ফলের পরিমাণ বেশি পরিমাণ চাষ করার আশায় এতে প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করছেন। যার ফলে ওই ড্রাগন ফল খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি করছে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কিছুক্ষণ পানিতে ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখার পরে খেতে হবে।
- ড্রাগন ফলে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ড্রাগন ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। বেশি পরিমাণ ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাবে।
ড্রাগন ফল পরিমাণ মতো খাওয়া উত্তম। অবশ্যই অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের শরীরে ঠিক যতটুকু ড্রাগন ফল খেলে কোন ক্ষতি বা অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না ঠিক ততটুকু পরিমাণের খাবেন। অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরোও পড়ুন: চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
শেষ কিছু কথা
আজ আমরা আপনাদের ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সহ ড্রাগন ফলের বিভিন্ন অজানা তথ্য সম্পর্কে জানিয়েছে। আপনি যদি ওপরের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো পোস্ট পেতে অবশ্যই www.digitalabida.com এর সাথে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url