বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে খিদে বাড়ে
বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে তাদের বাবা-মা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকে। কারণ বর্তমান সময়ের বাচ্চারা খেতে চায় না। বাচ্চারা খাওয়ার নিয়ে খুব সমস্যা করে। বাচ্চারা খেতে চায় না বলে তাদেরকে জোর করে খাবার দেওয়া হয়। তাই তাদের খাবারে অনীহা দেখা দেয়।
বাচ্চারা খেতে না চাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। আজকের বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের রুচি বানানোর উপায় বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করব।
বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়
বাচ্চাদের দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা না লাগা বা দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা কোন কিছু খেতে চায় না এটা বাচ্চাদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চারা খেতে চায় না বলে বাবা মা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে যার ফলে তাদের খাবারের অরুচি দেখা দেয়। বাচ্চারা ছোট হওয়ায় তারা মুখে কিছু বলতে পারেনা তাই তারা কেন খেতে চাইছে না সেই ব্যাপারে বাবা-মাকেই সচেতন হতে হবে। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি তাদের কি কারণে খাবারে অরুচি হচ্ছে খুঁজে বের করুন।
আরোও পড়ুন: তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা
আজকের বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেই বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
- সকালের খাবার বাধ্যতামূলক করা
- খাবার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে পানি খাওয়ানো
- ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়ান
- মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়া
- খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করা
- জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো
- শিশুদের মাথা ও শরীর ঠান্ডা রাখা
- খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রতি উৎসাহিত করা
- বাচ্চাদের প্রিয় খাবার গুলো বোঝার চেষ্টা করা
- শিশুকে কোন খাবার দেওয়ার আগে সেটি নিজে খেয়ে দেখা
- আলু খাওয়ানোর অভ্যাস করা
- সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করা
- মিল শেক বানিয়ে খাওয়ানো
- মৌসুমী ফল খাওয়ানো
- ঘরে বানানো খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তোলা
- অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাব
- ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার খাওয়ানো
- লাইসিন অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করা
- ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দেওয়া
- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দেওয়া
- কৃমি সংক্রমণ
সকালের খাবার বাধ্যতামূলক করা: বাচ্চাকে সকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এটি শরীরকে সারাদিনের শক্তি সাহায্য করে এবং পচন প্রক্রিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালের খাবারটি বাচ্চার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার। বাচ্চাকে অবশ্যই সকালের খাবার দিয়ে তারপর অন্য কোন কাজ করতে হবে।
খাবার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে পানি খাওয়ানো: খাবার খাওয়ানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পানি খাওয়ালে পচন প্রক্রিয়া সক্রিয় হয় ফলে ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। খাবারের মধ্যখানে পানি না খাওয়ানোই ভালো। খাবারের আধা ঘন্টা আগে অথবা খাবারের আধা ঘন্টা পরে পানি খাওয়াতে হবে।
২ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়ান: একসাথে বেশি খাবার শিশুর খাদ্যযন্ত্রের জন্য উপযোগী নয়। তাই একসাথে বেশি খাবার না দিয়ে অল্প অল্প করে দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর খাবার দিলে তা হজমে সাহায্য করে এবং ক্ষুধার উদ্রেক করে।
মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়া: বাচ্চার রুচি বাড়ানোর জন্য ভারী খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত হালকা খাবার দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন বাজারের খোলা খাবার না হয়। বাড়িতে বানানো হালকা খাবার বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত।
খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করা: প্রতিদিন একই রকম খাবার খেলে বাচ্চার খাবারের প্রতি একঘেয়েমি লেগে যায়। তাই তারা খাবার খেতে চায় না। যেমন প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ না দিয়ে মাঝে মাঝে ডিমের তৈরি পুডিং বা স্যুপ তৈরি করে দিতে পারেন। শিশুদেরকে রঙিন জাতীয় শাকসবজি দিয়ে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। খাবারটা কে তাদের সামনে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরলে তারা খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে।
জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো: একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে খাবারের জিংকের অভাব ক্ষুধা মন্দা এবং বাচ্চাদের অরুচি জন্য দায়ী। তাই বাচ্চাকে নিয়মিত জিংক সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। জিংক সমৃদ্ধ খাবারগুলো হল কাঠবাদাম, কুমড়া, গম, যেকোনো বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
শিশুদের মাথা ও শরীর ঠান্ডা রাখা: অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত শীত কোনটাই বাচ্চারা সহ্য করতে পারে না। যার ফলে আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের ক্ষুদা মন্দা দেখা যায়। অতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়া বাচ্চাদের খিদে কমিয়ে দেওয়ার একটি বিশেষ কারণ। তাই বাচ্চাদের জন্য নির্মল এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে বাচ্চাদের মাথা ও শরীর যেন ঠান্ডা থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রতি উৎসাহিত করা: শারীরিক পরিশ্রম বাচ্চাদের ক্ষুধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে আজকাল বাচ্চারা টিভি এবং মোবাইলের আসক্তির কারণে শারীরিক খেলাধুলা করতে চায় না যার ফলে তাদের ক্ষুধামন্দা হয়। তাই বাচ্চাদের বেশি বেশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হবে এবং হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে খাবারের প্রস্তুতি রুচি আসবে।
বাচ্চাদের প্রিয় খাবার গুলো বোঝার চেষ্টা করা: বাচ্চারা কোনটি খেতে পছন্দ করছে এবং কোনটি খেতে পছন্দ করছে না সেই ব্যাপারে বাচ্চার মায়েদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে খাবার দিতে হবে। কোন কারনে জ্বর বা পেট খারাপ হলে তাদেরকে ঘনঘন পাতলা খাবার দিতে হবে এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে না।
শিশুকে কোন খাবার দেওয়ার আগে সেটি নিজে খেয়ে দেখা: শিশুকে কোন খাবার দেওয়ার আগে সেটি নিজেকে খেয়ে দেখতে হবে। বাবা মা খাবার টি যদি নিজে খেয়ে দেখান তাহলে শিশুটি ওই খাবারটি খেতে আগ্রহী প্রকাশ করবে এবং খাবারের টেস্ট ঠিক আছে কিনা সেটা বাচ্চার মা বুঝতে পারবে।
আলু খাওয়ানোর অভ্যাস করা: আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট যা বাচ্চার ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই বাচ্চাকে নিয়মিত আলু খাওয়াতে পারে। মাঝে মাঝে ভিন্ন স্বাদ আনতে আলুর পরোটা বানিয়েও দিতে পারেন।
সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করা: বাচ্চাদের জন্য সব ধরনের সবুজ শাকসবজি অনেক উপকারী একটি খাবার। তাই বাচ্চার মুখের রুচি ফেরাতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দিয়ে ফ্রাইড রাইস বা চিরের পোলাও বানিয়ে দিতে পারেন। এতে বাচ্চাদের সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
মিল্ক শেক বানিয়ে খাওয়ানো: প্রতিদিন একটানা দুধ খাওয়ালে বাচ্চারা সেটি খেতে চায় না। তাই প্রতিদিন দুধ না দিয়ে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, বিভিন্ন ফল এবং দুধ দিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে দিতে পারেন। এটি বাচ্চাদের জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার।
মৌসুমী ফল খাওয়ানো: প্রতিটা মৌসুমি ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপাদান দেওয়া থাকে। তাই বাচ্চাকে মৌসুমী ফল খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যে মৌসুমে যে ফল পাওয়া যায় সেই মৌসুমে সেই ফলটা খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
ঘরে বানানো খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তোলা: বাচ্চারা দোকানের মুখরোচক খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। বাজারের খাবারে প্রচন্ড পরিমাণ লবণ এবং চিনি থাকে যা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাচ্চাদেরকে ঘরে বানানো খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাব: আমরা যে খাবারগুলো খাই সেই খাবারগুলো শোষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অন্তরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া। উপকারী এই ব্যাকটেরিয়া গুলোকে প্রবায়োটিক বলে। প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের এই ব্যাকটেরিয়া গুলো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টক দই, পান্তা ভাত, গোল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রবায়োটিক আছে। এছাড়া প্রবায়োটিকের আরো একটি ভালো উৎস হচ্ছে গাজন প্রক্রিয়ায় তৈরি প্রায় সব ধরনের খাবার।
ভিটামিন বি-১২ জাতীয় খাবার খাওয়ানো: বাচ্চাদের অরুচির আরও একটি কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি। ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস হচ্ছে মাছ ডিম মাংস দুধ সহ প্রায় সব ধরনের রঙিন শাকসবজি। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার গুলো রাখতে হবে।
লাইসিন অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করা: খাবারের মাধ্যমে যে কয়টি অ্যামিনো এসিডে সরবরাহ নিশ্চিত করা হয় তার মধ্যে লাইসিন অ্যামিনো এসিড অন্যতম। লাইসিন ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। লাইসিন পাওয়া যায় সব ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে। এছাড়া লাইসিনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে চাল।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দেওয়া: ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ফলে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে হয়. এতে বাচ্চার খাবারের চাহিদা কমে যায়। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই শিশুকে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হলেও ১৫ মিনিট করে রোদে ধরতে হবে। এতে তাদের খাবারের রুচি বেড়ে যাবে।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দেওয়া: ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের অভাবে বাচ্চাদের ক্ষুধা মন্দা হয়। তাই বাচ্চাকে প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
কৃমি সংক্রমণ: বাচ্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কৃমির হাত থেকে রক্ষা করা। কারণ বাচ্চাদের কৃমি হলে খাওয়াই অরুচি লাগে ফলে তারা খেতে পারে না। তাই নিয়মিত বাচ্চার বয়স অনুযায়ী বাচ্চাকে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। অবশ্যই মনে রাখবেন বাচ্চার হাত পায়ের নখ কেটে দিতে হবে এবং বাথরুম থেকে আসার পরে হাত এবং পা ভালোভাবে ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সব ধরনের বাসি পচা খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে।
বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে
বাচ্চাদের খাওয়ানো নিয়ে বাচ্চাদের মায়ের যেন কোন শান্তি নেই। কারণ বাচ্চারা এটা খাবেনা সেটা খাবেনা বলে সব সময় বায়না করে কান্না করে। তাই বলে একেবারে না খেলে সেটি বাচ্চার পক্ষে অনেক খারাপ। তাদের দৈহিক এবং মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে তারা বুদ্ধিতেও পিছিয়ে পড়বে। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাদের বেড়ে উঠায় বাধাগ্রস্ত হবে। বাচ্চারা কোন কাজেই মনোযোগ পাবে না।
তাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য সঠিকভাবে খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ। কোন বাচ্চা খেতে না চাইলে বাচ্চার রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। সঠিক সময় সঠিক পুষ্টিকর খাবারটি দিয়ে তাদের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে অবগত হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন করতে হবে। চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে।
- বাচ্চাদের সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে অল্প একটু পানি দিন। এভাবে দুপুরবেলা এবং রাত্রিবেলাতেও খাবারের একঘন্টা বা তিরিশ মিনিট আগে পানি খাইয়ে দিবেন এর মধ্যে আর পানি দিবেন না।
- খাবারের রুচি ফেরানোর সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ালে বাচ্চাদের মুখে রুচি ফেরে। সেক্ষেত্রে আমলকি, পেয়ারা, লেবু, মালটা, কমলা, গাজর, ব্রকলি, টমেটো ইত্যাদি টক জাতীয় খাবার গুলো বাচ্চাদের খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে বাচ্চাদের মুখে রুচি ফিরে আসবে।
- খাবার খাওয়ানোর সময় তাদের কে জোড় করে মেরে বা বকে খাওয়াবেন না। ভালোভাবে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। একটি নির্দিষ্ট পরপর বাচ্চাকে খাবার দিলে তাদের পুষ্টির চাহিদা ঠিক থাকবে।
- একসাথে অনেক খাবার খাওয়াবেন না। অল্প অল্প করে দুই ঘন্টা পর পর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করো। এতে করে তাদের খাবারের অরুচি আসবেনা।
- এই আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সে সম্পর্কে। এভাবে বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের খাবারের রুচি আসবে তারা খেতে চাইবে। তাহলে বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে বাবা মাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
বাচ্চারা খেতে না চাইলে করণীয়
বাচ্চাদের খেতে চায় না এটি এখন বর্তমানে সব বাবা-মায়ের অভিযোগ। যার ফলে তারা সব সময় বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা সব সময় ভাবে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে। বাচ্চারা খেতে না চাইলে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করুন। তাহলে বাচ্চারা খেতে চাইবে। যার ফলে আর বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। চলুন জেনে নেই বাচ্চারা খেতে না চাইলে করণীয় সম্পর্কে।
- খাবারে বৈচিত্রতা নিয়ে আনুন।
- খাবারের ঘনত্ব ঠিক আছে কিনা খেয়াল করুন
- বুকের দুধের পর পর বাড়তি খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন
- বাচ্চাদের ঘনঘন খাবার দিন
- বাচ্চাদের পটি ঠিক মত হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন
- বাইরের খাবারগুলো বাদ দিন
- একই খাবার বারবার না দিয়ে স্বাদ পরিবর্তন করুন।
- বাচ্চাদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন।
শিশুর অরুচির কারণ
অনেক বাচ্চারাই অনেক সময় খেতে চায় না। তাই বাবা মা ভাবে তাদের মুখের রুচি কমে গেছে। তাই তারা বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। এমনকি অনেক সময় জোর করে বকে বা মেরে বাচ্চাদের খাওয়াতে চাই। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এতে তাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে খাওয়াতে হবে এবং তাদের অরুচির কারণটি খুঁজে বের করতে হবে।
আরোও পড়ুন: চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
অনেক সময় বাচ্চাদের গ্যাস, লিভারের সমস্যা, গালায় ইনফেকশন মানসিক চাপ ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি জনিত কারণে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়। বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে তাদের তলপেটে ব্যথা হয় এবং খাবারের প্রতি ইচ্ছা কমে যায়। তাই তারা খেতে চায় না। এটিকে চিকিৎসার ভাষায় 'এরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম' বলে মনে করা হয়। আবার অনেক সময় বাচ্চারা জ্বরে আক্রান্ত হলে বা কোন জটিল অসুখে ভুগলে তাদের মুখের রুচি কমে যায়। চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের খাবারের অরুচির আরো কিছু কারণ সম্পর্কে।
- বাচ্চাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাবে
- ভিটামিন বি১২ এর অভাবে
- জিংকের ঘাটতির ফলে
- ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে
- ভিটামিন সি এর অভাবে
- লাইসিন অ্যামিনো এসিডের ফলে
- কৃমির কারণে
- মন্দ অভ্যাস জনিত কারণে
উপরের এই কারণগুলোর কারণে অনেক সময় বাচ্চারা খেতে চায় না। তাই বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় জানার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের কারণ খুঁজে বের করুন আগে। আসলে কেন বাচ্চা খেতে চাইছে না এর কারণ খুঁজে বের করার পরে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে সচেতন হলেই এই সমস্যা সমাধান হবে।
রুচির সিরাপের নাম স্কয়ার
রুচি বাড়ানোর জন্য বাজারে অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। ওষুধ কোম্পানির মধ্যে স্কয়ার কোম্পানির ওষুধের জন্য অনেক সেরা একটি কোম্পানি। স্কয়ার কোম্পানিও রুচি বাড়ানোর ওষুধ তৈরি করেছেন। ক্ষুধা মন্দার সমস্যা সমাধানের জন্য স্কয়ার নিয়ে এলো 'লাইসিভিন' 'Lysivin' নামক সিরাপ যা রুচি বাড়াতে দারুন কার্যকরী।
বাচ্চাদের খাবারের রুচির ওষুধের নাম
বাচ্চার মায়েরা বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকে। কারণ বর্তমান সময়ের বাচ্চারা খেতে চায় না। তারা খাবার দেখলেই কান্নাকাটি করে এবং খাবার থেকে দূরে থাকে। তাই বাচ্চার মায়েরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে তা নিয়ে। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধের সাথে পরিচয় করাবো। যা খেলে বাচ্চাদের রুচি বাড়ে এবং তারা খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়।
বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর জন্য সাধারণত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর সিরাপ অন্যান্য সিরাপের তুলনায় ভালো কাজ করে। চলুন জেনে নেই কমপ্লেক্সের সিরাপ গুলোর মধ্যে কোন গুলো রুচি বাড়ানোর ওষুধ সেই সম্পর্কে।
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): এই ভিটামিন টি শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে সাহায্য করে এবং ক্ষিদে বাড়ায়।
ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্ল্যাভিন): এটি শরীরে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধির করে।
ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন): এটি শিশুদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেণিক অ্যাসিড): এটি খাদ্যকে শক্তিতে উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং খিদে বাড়ায়।
ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন): এটি প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট এর বিপাক প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।
ভিটামিন বি ১২ (কোবালামিন): এটি রক্ত এবং স্নায়ুর সুস্থতায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কয়েকটি জনপ্রিয় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সিরাপ এর নাম হল Becosules syrup, Neurobion Syrup, Becosule-Z syrup, Aptivate syrup.
মুখের রুচি বাড়ে এমন আরো কয়েকটি জনপ্রিয় সিরাপ হল: Aptivate syrup, Zincovit syrup, Becadexamin syrup.
শিশুদের রুচির হোমিওপ্যাথিক ওষুধ
অনেক অভিভাবক আছে যারা এলোপ্যাথি ওষুধের তুলনায় হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর একটু বেশি আস্থা রাখেন। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। তাদের মধ্যে একটাই চিন্তা কাজ করে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সে সম্পর্কে। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের সাথে শিশুদের রুচির হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেই বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে।
হোমিওপ্যাথিতে রোগের নয় রোগী চিকিৎসা করা হয়। রোগীর শারীরিক মানসিক লক্ষণের উপর ভিত্তি করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। ওষুধ নির্বাচন করার জন্য বেশ কয়েকটি রুবব্রিকস এর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
Children, Anorexia Nervosa
প্রথম সারির ওষুধ: আর্সেনিক অ্যালবাম, সালফার, চায়না।
দ্বিতীয় সারির ওষুধ: কারসিনোসিন, ইবনেসিয়া, নেট্রাম মিউর।
Appetite Diminished
প্রথম সারির ওষুধ: আলফালফা, অ্যালুমিনা।
Easy Satiety
প্রথম সারির ওষুধ: চায়না, লাইকোপোডিয়াম, প্লাটিনা।
দ্বিতীয় সারির ওষুধ: সালফার, কোস্টিকাম, কলচিকাম ফেরাম মেট, ইবনে সিয়া, নেট্রাম মেউর ওপিয়াম ফসফরাস ফডোফাইলাম, ডিজিটালিস, সিপিয়া, সাইলেসিয়া।
Wanting or Loss of Appetite
প্রথম সারির ওষুধ: আর্সেনিক অ্যালবাম, ক্যামোমিলা, চেলিডোনিয়াম, চায়না, ফেরামমেট, নেট্রাম মিউর, পালসেটিলা, ফসফরাস, সিপিয়া, সাইলেসিয়া, সালফার।
Avertion of food
প্রথম সারির ওষুধ: আর্নিকা মন্ট, বেলেডোনা, আর্সেনিক, ব্রায়োনিয়া, কলচিকাম, ককুলাস ইন্ডিকা, ফেরামমেট, ইপিকাক, নেট্রাম মিউর, নাক্স ভোম, পালসেটিলা, সিপিয়া।
উপরের এই ওষুধগুলো রোগীদেরকে রোগীর শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ অনুযায়ী দিতে হবে। তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বাচ্চা মুখে খাবার রাখলে কি করনীয়
প্রায় বাচ্চারা খাবার খেতে চায়না বলে অনেক সময় ধরে মুখের মধ্যে খাবার নিয়ে বসে থাকে। এটা অনেক বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে শিশু তাদের মুখে আরো বেশি খাবার না লাগাইছে সম্পর্কে। মুখে খাবার নিয়ে বসে থাকলে আপনাকে মধ্যাকর্ষণ ব্যবহার করতে হবে। সেই জন্য আপনার শিশুটিকে আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুকুন যাতে মধ্যাকর্ষণের হলে তাদের খাবার থুতু ফেলতে সাহায্য করতে পারে।
এক্ষেত্রে যদি আপনার শিশু আপনার বিরুদ্ধে পেছনদিকে ধাক্কা দেয় তাহলে তাদেরকে নিচের দিকে তাকাতে উৎসাহিত করার জন্য তাদের সামনে আপনিও হাঁটু গেড়ে বসুন, যেন আবার মুদ্ধ আকর্ষণ শক্তি তাদের খাবার থুতু ফেলতে সাহায্য করতে পারে। অনুসরণ করলে বাচ্চারা মুখের খাবার নিয়ে রাখবেনা। মুখে খাবার দেওয়ার সাথে সাথেই তারা খাবার গিলে ফেলবে। এভাবে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
কোন ভিটামিন খেলে মুখে রুচি হবে
বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের কোন ভিটামিন খেলে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে জানাবো। বাচ্চাদের খাবারের অরুচি যেন একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রায় সফল বাচ্চাদের একই সমস্যা। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে বাচ্চাদের বাবা-মারা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে। তারা সবসময় চিন্তা ভাবনায় থাকে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সেই সম্পর্কে। চলুন জেনে নিন কোন ভিটামিন খেলে মুখে রুচি হবে সেই সম্পর্কে।
মুখের রুচি ফেরানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন সি। বাচ্চাদের হোক বা বড় মানুষদের হোক মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখলে খাবারের রুচি বাড়ে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো হচ্ছে আমড়া, আমলকি, মাল্টা, কমলা, আনারস, লেবু, আঙ্গুর, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি টক জাতীয় খাবার গুলো। বাচ্চাদের রুচি ফেরানোর জন্য প্রতিদিন সকালে আমলকির জুস করে দিতে পারেন। এছাড়ায় প্রতিবেলায় লেবু চিপে বা টমেটো চাটনি বানিয়ে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে মুখের রুচি ফিরে আসে।
কি করলে খিদে বাড়বে
বাচ্চারা অনেক সময় খেতে চায় না। বাবা-মা তাই সব সময় বাচ্চাদের কি করলে খিদে বাড়বে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। তাই তারা বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের কি করলে খিদে বারে সেটা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের খিদে বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
আরোও পড়ুন: দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত। খালি পেটে কলা খেলে কি হয় জানুন
কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো খাওয়ালে বাচ্চাদের ক্ষিদে পারে। যেমন মৌরি, পুদিনা পাতা, কালো মরিচ, হরিতকি, ধনে, দারুচিনি, আমলকি, আদা, মালটা, লেবু ইত্যাদি। এই খাবারগুলো খাওয়ালে বাচ্চাদের মুখের রুচি বাড়ে। এছাড়াও কিছু কিছু ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি জনিত কারণেও খুদা কমিয়ে দেয়। ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণের জন্য জিংক, থায়ামিন, মাছের তেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়াতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের খিদে বাড়বে।
শেষ কিছু কথা
বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর উপায়-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি থেকে আপনারা অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে www.digitalabida.com এই ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url