ঠোটের কালো দাগ দূর করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান? অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কি আপনার ঠোঁটে কালো দাগ পড়েছে? সেই কালো দাগ নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? আপনি কি ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ঠোঁটের-কালো-দাগ-দূর-করার-১৫-টি-ঘরোয়া-উপায়

শীতে ঠোঁট ফেটে বা অতিরিক্ত সূর্যের রোশনিতেও ঠোঁট পুড়ে কালো হয়ে যায়। অনেকের ধূমপান জনিত কারণেও ঠোঁট কালো হয়। আবার অতিরিক্ত চা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও ঠোঁটে কালচে দাগ পরে। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা আপনাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানাবো।

    ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় 

    মেয়েরা লিপস্টিক পরতে ভালোবাসে কিন্তু তাদের মধ্যে ভয় কাজ করে লিপস্টিক পড়লেই ঠোঁট কালো হয়ে যাবে। কিন্তু এটা ঠিক নয় শুধু লিপস্টিকের কারণে ঠোট কালো হয় না, সেই সাথে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, ধূমপান জনিত কারণ, এমনকি অতিরিক্ত চা কফি পানির অভ্যাস থাকলেও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। যার ফলে সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ঠোঁট কালো হয়ে গেলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় নিয়ে সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। 

    আরোও পড়ুন: পেয়ারা পাতার ১৬ টি বিশেষ উপকারিতা-চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা

    ঠোটের এই কালো দাগ দূর করার জন্য অনেক দামের নানা কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও অনেক সময় ফল পাওয়া যায় না। তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার হাতের কাছে খুব অল্প সামান্য টুকিটাকি ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে আপনি আপনার ঠোঁটের এই কালো দাগ দূর করতে পারবেন। আর্টিকেলের এই অংশে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। 

    • চিনি 
    • মধু 
    • লেবুর রস 
    • বরফ
    • দুধের সর 
    • লেবুর খোসা 
    • গ্লিসারিন 
    • হলুদ 
    • বাদামের তেল বা আমন্ড অয়েল
    • ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার 
    • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা 
    • এফসিএফ যুক্ত লিপ বাম 
    • ধূমপান বন্ধ করা
    • টুথপেস্ট 
    • শসার রস

    চিনি: ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে চিনির স্কাব বেশ কার্যকরী। একটুকরা লেবুর ওপর অল্প একটু চিনি ছিটিয়ে সেটি ঠোঁটের উপর হালকা করে ঘষুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে দেখবেন ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

    মধু: ত্বকের কালো দাগ দূর করতে মধু অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। এটি শুধু ত্বকের উপর কাজ করে এমনটি নয় এটি ঠোঁটের উপরেও বেশ ভালো কাজ করে। এটি শুধু ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে এমনটি নয় ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতে মধু বেশ দুর্দান্ত কাজ করে। এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে মধু ঠোঁটে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালে উঠে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। অল্প কিছুদিন ব্যবহার করলেই দেখবেন ঠোঁটের কালো দাগ উঠে গেছে।

    লেবুর রস: ঠোঁটের জন্য লেবুর রস খুব ভালোই মানের একটি ব্লিচিং। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে ঠোঁট ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।

    বরফ: যেকোনো কালচে দাগ দূর করতে বরফ বেশ কার্যকরী। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য ঠোঁটের উপর আলতোভাবে বড় ঘষুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

    দুধের সর: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে দুধের সর বেশ কার্যকরী। ভালো ফল পেতে দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

    লেবুর খোসা: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে লেবুর খোসা অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর খোসা ঠোঁটে আলতোভাবে কিছুক্ষণ ঘষলে এটি মেলানিন ইনহিবিটারের মত কাজ করে। পরের দিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত একটানা একমাস ব্যবহার করলে যে ঠোঁটের কালো দাগ কমে গেছে।

    গ্লিসারিন: গ্লিসারিন ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে পারেন। সেই জন্য আপনাকে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস মধু এবং গ্লিসারিন একসাথে মিশিয়ে এটি ঠোঁটের উপর পাঁচ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।

    হলুদ: ঠোঁটের জন্য হলুদ একটি দারুন মেলানিন ইনহিবিটার। এক চামচ দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং সেই পেস্টটি আলতোভাবে ঠোটের ওপর লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। পাঁচ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে একটি মশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফল পাবেন।

    বাদামের তেল বা আমন্ড অয়েল: বাদামে তেল এবং আমন্ড অয়েল ঠোঁটের জন্য দারুন মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঠোঁটে আমন্ড তেল ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয় এবং ঠোঁট নরম ও মসৃণ হয়।

    ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: আপনি জেনে অবাক হবেন যে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত সুষম খাবার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার খাবারের তালিকা নিয়মিত ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

    পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা: পানির অভাবে ঠোঁটের আদ্রতা হারায় যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায় এবং পরবর্তীতে এটি কালো হয়ে যায়। তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন। সেই সাথে ভালো মানের লিপ বাম বা ক্রিম ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের আদ্রতা ঠিক থাকে।

    এফসিএফ যুক্ত লিপ বাম: ঠোঁটে এফসিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। এফ সি এফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন কমে যায়।

    ধূমপান বন্ধ করা: দীর্ঘদিন ধূমপান করার ফলে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। এই কালচে দাগ দূর করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ধূমপান বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।

    টুথপেস্ট: প্রতিদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই দাঁত ব্রাশ করেন। দাঁত ব্রাশ করার আগে কিছুটা টুথপেস্ট ঠোঁটের উপর সুন্দরভাবে লাগিয়ে নিন। এবার দাঁত ব্রাশ করতে থাকুন। পাঁচ মিনিট হয়ে গেলে ব্রাশ দিয়ে ঠোটের উপর হালকা ভাবে ব্রাশ করুন। সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন ব্রাশটি অবশ্যই যেন নরম হয়। এভাবে ঠোঁট ব্রাশ করলে ঠোঁটের মৃত কোষগুলো উঠে আসবে এবং ঠোঁট সতেজ হবে।

    শসার রস: শসার রস চটকে গোলাপি করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সেই ক্ষেত্রে শসার রস প্রতিদিন নিয়মিত পাঁচ মিনিট ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। অল্প কিছুদিন এরকমভাবে ঠোঁটে শসার রস ম্যাসাজ করলেই দেখবেন ঠোটের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

    ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ 

    ঠোঁট বিভিন্ন কারণে কালো হতে পারে তবে এতে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। অন্যান্য অংশের ত্বকের মতো ঠোঁটের কোন গ্রন্থি নেই। তাই ঠোট শুকিয়ে যায় এবং আঠালো ভাব হয়। এমনকি অনেক সময় এর ফলে ঠোঁটে কালকে দাগ পড়ে যায়। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ঠোঁট কালো হওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জানাবো। আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়লে আপনি ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন জেনে নিই ঠোঁট কালো হওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে। 

    ঠোঁট-কালো-হওয়ার-কারণ

     

  • ওরাল মেলানোমা 
  • প্রসাধনীর এলার্জির প্রতিক্রিয়া 
  • হাইপারপিগমেন্টেইশন
  • হোমাক্রোমাইটোসিস বা অতিরিক্ত লৌহ 
  • পানি শূন্যতা 
  • ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি 
  • রোদের ছাপ 
  • ওষুধ 
  • ধূমপান 
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা 
  • মেলানোটিক ম্যাকুয়্যল
  • ওরাল মেলানোমা: ত্বকের ক্যান্সার বা ওরাল মেলানোমা ক্যান্সারের ফলে অনেক সময় ছোট কালো বা বাদামী রঙের দাগ হিসেবে দেখা দেয়। যা ঠোঁটের আকার আকৃতি এবং রঙের পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়।

    প্রসাধনীর এলার্জির প্রতিক্রিয়া: অনেক সময় কোন প্রসাধনীর এলার্জিজনিত কারণের ফলে ঠোঁটের উপর কালো দাগ দেখা যায়। এটি বিভিন্ন প্রসাধনীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জনিত কারণে হতে পারে। এ অবস্থাকে এলার্জিক কন্টাক্ট চাইলাইটিস বা পিগ্মেন্টেড কন্টাক্ট চাইলাইটিস বলা হয়।

    হাইপারপিগমেন্টেইশন: এই সমস্যাটি ঠোঁটসহ ত্বকে যে কোন স্থানেই দেখা দিতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেইশন এর নানা কারণ জনিত কারণে এটি হয়ে থাকে। যেমন গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন, ক্ষত, পোকার কামর, কঠিন প্রসাধনী, ব্রণ ইত্যাদি জনিত কারণে।

    হোমাক্রোমাইটোসিস বা অতিরিক্ত লৌহ: শরীরে অতিরিক্ত আয়রন বা লৌহ সঞ্চয় করলে ত্বকের কালো দাগ, ক্লান্তির ছাপ, যকৃতের সমস্যা বা ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। সাধারণত এই সমস্যাগুলো কমাতে হলে অবশ্যই আয়রন গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেও লৌহ এবং আয়রনের পরিমাণ কমানো যায়।

    পানি শূন্যতা: পানি শূন্য তার ফলে ঠোট শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট বারবার জিহবা দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া হয় বা কামড়ানো হয়। এর ফলে প্রদাহ বাড়ে ও হাইপারপিগমেন্টেইশন দেখা যায়। ফলে ঠোঁট গাঢ় ও কালচে রঙের হয়।

    ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি: ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির ফলে  ত্বক কালো হয়ে যায়। এটি বিশেষত অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। এছাড়াও মুখে আলসার বা ক্ষত, অস্বস্তি বোধ, জিহবা লাল, ব্যথা এবং ত্বকের হলুদ দাগ দেখা যায়। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অবশ্যই মাল্টিভিটামিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। অবস্থা আরো গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনজেকশন গ্রহণ করতে হবে।

    রোদের ছাপ: অ্যাস্টিনিক কেরাটোসিস এমন এক ধরনের দাগ যা সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নির কারনে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। হিমায়িত অথবা কেমিক্যাল পিলের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যা সমাধান করে থাকেন।

    ওষুধ: বিভিন্ন ধরনের ঔষধ যেমন ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ওষুধ, ব্যথা নাশক, মাইক্রোবিয়াল বিরোধী ওষুধ ইত্যাদির কারণে ঠোঁটে কালো দাগ পরে।

    ধূমপান: অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান সেবনের ফলে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। এই সমস্যা আর একমাত্র সমাধান হচ্ছে ধূমপান বাদ দেওয়া।

    হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: থাইরয়েড বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের উপর দাগ পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    মেলানোটিক ম্যাকুয়্যল: এটি এক ধরনের ক্যান্সার হাইপার পিগমেন্টেশন। এটি হলে ত্বকে মেলানিনের অতিরিক্ত উৎপাদন দেখা দেয়। এ রোগের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে সূর্যলোক থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা।

    কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট কালো হয়

    ঠোঁট কালো হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবজনিত কারণে ঠোঁট কালো হওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ঠোঁট বিভিন্ন কারণে কালো হতে পারে তবে অনেক সময় ভিটামিনের অভাবেও ঠোঁট কালো হয়। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিই ভিটামিন বি ১২ এর অভাবজনিত কারণে কিভাবে ঠোঁট কালো হয়। 

    আরোও পড়ুন: কাপড়ের কঠিন দাগ তোলার ২০ টি উপায়-কাপড়ের রং ঠিক রাখার উপায় ও সতর্কতা

    ভিটামিন আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিনের অভাবে অনেক অসুখ দেখা দেয়। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে ঠোটের উপর কালো দাগ পরে যা দেখতে অনেক খারাপ লাগে। ভিটামিন বি ১২ এর অভাবজনিত কারণে ঠোঁটে কালো দাগ পড়া বা প্যাঁচা কালো ঠোঁট দেখা যায়। তাই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে যদি দেখে ভিটামিন বি ১২ এর অংশজনিত কারণে আপনার ঠোঁট কালো হয়েছে তাহলে আপনাকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে বলেন। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার ইনজেকশনেরও প্রয়োজন হতে পারে।

    ধূমপানের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় 

    অনেক ছেলেরা অতিরিক্ত ধূমপান জনিত কারণে তাদের ঠোঁটের উপর কালো দাগ পরে। যা মুখে সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং দেখতে খারাপ লাগে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ধূমপানের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। ধূমপানের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

    ধূমপান অনেক খারাপ একটি অভ্যাস। এ অভ্যাসের কারণে অনেক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। শুধু তাই নয় ধূমপান করার ফলে ছেলেদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়। আপনি যদি আপনার ঠোটের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপান করলে কখনোই আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা সম্ভব নয়। 

    ধূমপান ত্যাগ করার পর নিয়মিত এক্সফোলিয়েট, ভিটামিন ই এবং মধুর মতো পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে আপনার ঠোঁটকে হাইড্রেট করুন। এছাড়াও SPF লিপ বাম বা চোরা কাটাযুক্ত টুপি দিয়ে আপনার ঠোঁটকে সূর্যের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে তবে ঠোঁটে কালো দাগ দূর হবে। ধূমপাননের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ থেকে পরিত্রাণ পেতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেয়ে বা ক্রিম ব্যবহার করে ঠোঁটের টিস্যু পুনর্বিকরণের প্রক্রিয়াকে দ্রুততার করতে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করে দেখবেন আপনার ঠোঁটের কালো দাগ আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে। ভালো ফল পেতে ঠোট স্কাব ব্যবহার করুন।

    ঠোঁটের উপরের কালো দাগ দূর করার উপায়

    অনেক সময় ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই ঠোঁটের উপর কালো দাগ পরে। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে ঠোটের উপর কালো দাগ পড়লে সেটি মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাই এটি দূর করার উপায় সবাই খোঁজে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিই ঠোঁটের উপরের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে।

    ঠোঁটের ওপর কালো দাগ পড়লে হাইড্রোকুইনোন, কোজিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, রেটিনয়েড এবং নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারের ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোটের উপরের কালো দাগ কিছুটা হালকা করা যায়। তবে রাসায়নিক খোসা, লেজার থেরাপি, মাইক্রোডার্মাব্লেসন, মাইক্রোনিডলিং এবং আইপিএল থেরাপির মতো পেশাদার চিকিৎসার ফলে ও ঠোটের উপরের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। এ পদ্ধতি গুলো বেশ কার্যকরী।

    মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম 

    মেয়েদের ঠোঁটে কালো দাগ হলে সেটি দেখতে অনেক খারাপ লাগে। এটি মুখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। ঠোঁটের কালো দাগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন অতিরিক্ত সূর্যের তাপে, ধূমপান জনিত কারণে, হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে, নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে, আবার কিছু কিছু ওষুধের কারণে। তবে ঠোঁট যে কারণেই কালো হোক না কেন বর্তমানে বাজারে ঠোঁটের ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনতে অনেক ধরনের ক্রিম বের হয়েছে।

    ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় এই আঁটিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার কয়েকটি ক্রিম সম্পর্কে বলবো। চলুন জেনে নিই মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার কার্যকরী কয়েকটি ক্রিমের নাম সম্পর্কে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে আপনিও খুব সুন্দর ফল পাবেন।

    ঠোঁটের ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিমের মধ্যে লিপ স্লিপিং মাস্ক, ক্লোভেট এবং লিপ স্ক্রু ক্রিম বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকরী ক্রিম গুলোর মধ্যে একটি। এগুলো ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রিমুভ হবে এবং ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজেশন করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই ক্রিমগুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ঠোঁটকে ব্রাইট করতে সাহায্য করে।

    চলুন জেনে নিই মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার আরো কয়েকটি কার্যকরী ক্রিম সম্পর্কে। 

    ইফেক্টিভ লিপ কেয়ার Scru লিপ ক্রিম 

    ব্র্যান্ডের নাম: VIBRANT glamour 

    ব্যবহার: ঠোঁটের উপর 

    বৈশিষ্ট্য: লিপ স্কাব  এক্সফোলিয়েটার

    উপাদান: হং জেল এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড 

    ওজন: ১২ গ্রাম 

    এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট গোলাপী রংয়ের হবে। 

    LAIKOU Sakura Lip Mask 8 gm

    Brand Name: Laikow

    Net: 8 gm

    Shelf life: 3 years

    Fragrance: Sakura

    লিপ কেয়ার সুইটহানি ফ্লেভার লং লাস্টিং ইউজ লিপ বাম 298

    প্রোডাক্ট টাইপ: লিপবাম 

    ওজন: ৪ মিলি 

    পরিমাণ: ১ পিস 

    লং লাস্টিং ইউজ 

    বেস্ট ফর রেগুলার ইউজ 

    এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করবে।

    ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম 

    ছেলেদের ঠোট কালো হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে সিগারেট খাওয়া। এছাড়াও রোদের পোড়া, হরমোনাল সমস্যা বা অন্যান্য নানা কারণে ছেলেদের ঠোঁট কালো হয়। এখন মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও তাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য উপায় খুঁজছেন। আপনি যেন অবাক হবেন যে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় এ আর্টিকেলের এই অংশের ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নিই ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে। 

    ছেলেরা তাদের ঠোঁট গোলাপি করতে চাইলে লিপ স্লিপিং মাস্ক, ক্লোভেট, স্ক্রু ক্রিম এবং ডেইলি রুটিনের ক্রিমগুলো অ্যাড করে নিতে পারেন। এই ক্রিম গুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রিমুভ হবে এবং ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ হতে সাহায্য করে। এই ক্রিমগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের ঠোঁটের জন্য উপকারী।

    ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম বেটনোভেট 

    Batnovate একটি steroid যার generic name beclomethason. এটি স্টেরয়েড যেকোনো ইনফ্লামেশন কম করতে সাহায্য করে। চামড়ার রং মেলানিন বলে এটি পিগমেন্টের জন্য হয় সুতরাং এটি কোনভাবেই মেলানিন কম করে না তাই বেটনোভেট ক্রিম ব্যবহারের ফলে ফর্সা হবে না। তবে কোন জায়গা যদি কোন কারণে লাল হয়ে যায় বা লাল থেকে কালো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এলার্জিজনিত কারণে এটি ব্যবহার করা হয়। তবে মনে রাখবেন বেটনোভেট ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ব্যবহার করবেন।

    ঠোঁটের পাশে কালো দাগ হয় কেন

    ঠোঁট মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ। কিন্তু সেই ঠোঁট কালো হলে দেখতে খুব খারাপ লাগে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ঠোঁটের পাশে কালো দাগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব। এই অংশটুকু পড়লে আপনি জানতে পারবেন ঠোঁটের পাশে কালো দাগ কেন হয় সে সম্পর্কে। 

    আরোও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও ৭ টি অপকারিতা

    ত্বকের গভীরে এপিডার্মিস নামক একটি স্তর থাকে যা মেলানিন উৎপন্ন করে। এই মেলানিন ত্বকের রং ধারণ করে। মেলানিন সূর্যের ক্ষতিকারক রোশনি ও রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যদি এই মেলানিনের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে ওই অংশে দাগছোপ পরে বলে জানা যায়। মূলত এই মেলানিন এর উৎপাদনজনিত কারণে ঠোঁটের পাশে কালো দাগ হয়।

    টুথপেস্ট কি ঠোটের কালো দাগ দূর করতে পারে 

    ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য টুথপেস্ট একটি সুন্দর সমাধান। ঠোঁটে নিয়মিত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে ঠোঁটকে গোলাপি এবং নরম করে তুলবে। প্রতিদিন নিয়মিত টুথপেস্ট হাতের আঙ্গুলে নিয়ে ঠোটের উপর আলতো ভাবে লাগাতে হবে, কিছুক্ষণ পর হালকাভাবে ঘষে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কয়েক দিন ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ উঠে ঠোঁটে গোলাপি আভা চলে এসেছে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে টুথপেস্ট এর ব্যবহার। এটি খুব সহজেই আপনি আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করে ঠোটের কালো দাগ দূর করতে পারেন।

    ঠোঁটের দুই পাশে কালো দাগ দূর করার উপায় 

    ঠোঁটের শুষ্কতা জনিত কারণে ঠোঁট ফেটে অনেক সময় ঠোঁটের দুই পাশে কালো দাগ পড়ে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে ঠোট আদ্র রাখা যায়। এছাড়াও লিখবাম বা ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁট আদ্র রাখা হয়। এক্সফলিয়েট আলতোভাবে মৃত কোষ দূর করে এবং ধীরে ধীরে দাগ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, কজিক অ্যাসিড এবং লিকোরিস নির্যাস ত্বকের কালচে দাগ দূর করে সেই সাথে ঠোঁটের দুই পাশের কালচে দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

    ঠোঁট গোলাপি করার ঘরোয়া উপায়

    গোলাপি ঠোঁট প্রতিটা মেয়ের একটি স্বপ্নের বিষয়। কারণ ঠোঁট গোলাপী হলে সৌন্দর্য এমনিতেই বেড়ে যায়। বর্তমানে শুধু মেয়েরাই নয় ছেলেরাও গোলাপি ঠোঁটের জন্য চেষ্টা করছে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ঠোঁট গোলাপি করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নি ঠোঁট গোলাপি করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। 

    ঠোঁট-গোলাপি-করার-ঘরোয়া-উপায়

    ঠোঁট গোলাপি করার সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া উপায় হচ্ছে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস এবং চিনি দিয়ে একটি স্কাব তৈরি করুন। স্কাবটি আপনার ঠোটের উপর লাগিয়ে আলতো ভাবে কিছুক্ষণ ঘষে নিন। এইভাবে সপ্তাহে তিনবার স্কাব টি দিয়ে ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ঠোঁটকে করে তুলবে গোলাপি।

    কালো ঠোঁটের চিকিৎসা কি 

    কালো ঠোঁটের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে লেজার ট্রিটমেন্ট। লেজার ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই কালো ঠোঁটকে হালকা গোলাপি করা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি প্রস্তাবিত চিকিৎসা। বিশেষ করে ডার্মাল ডিলার, পাতলা, শুষ্ক এবং ডিহাইড্রেট ঠোঁটের ফ্যাটের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। সেই কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁট লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে পুনরায় আগের মত করে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। 

    শেষ কিছু কথা 

    আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় সহ আরো অনেক অজানা বিষয় জানানোর চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে www.digitalabida.com এই ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url