তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা
তুলসী পাতার অসাধারণ গুণাবলীর কারণে হাজার বছর ধরে এটি ঔষধের তালিকায় ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুনের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একটি করে তুলসী গাছ দেখা যায়। তুলসী পাতার উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি।
তুলসী পাতার গুণাবলী সম্পর্কে অনেক মানুষের অজানা। এতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মারাত্মক সব রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আজকে এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা
তুলসী পাতার গুনাগুন অনেক। এই পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া উচিত। প্রতিটি বাড়িতে বারান্দায় বা বাসার ছাদে আলো বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় একটি করে তুলসী পাতার গাছ লাগিয়ে রাখা উচিত। এতে করে নানা অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসী পাতা এমন একটি উপাদান যার গুনাগুন সম্পর্কে কমবেশি আমরা অনেকেই জানি।
আরোও পড়ুন: প্রতিদিন কত লিটার পানি পান করা উচিত
তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেই তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে।
- সর্দি কাশি দূর করে
- গলা ব্যথা দূর করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- ডায়াবেটিস দূরে রাখে
- ওজন কমায়
- শরীরের বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে
- হার্ট ভালো রাখে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে
- আলসার দূর করে
- হজম শক্তি বাড়ায়
- স্ট্রেস কমায়
- শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য উপশম করে
- প্রদাহ কমায়
- মুখের সংক্রমণ দূর করে
- দাঁতের মাড়ি মজবুত করে
- গায়ের রং উজ্জ্বল করে
- তুলসী গাছ পোকামাকড় তাড়ায়
সর্দি কাশি দূর করে: সেই প্রাচীনকাল থেকে তুলসী সর্দি কাশির মহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত সেরে যায়। বুকে কফ জমে গেলে প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা, আদা, গোলমরিচ, এলাচ ও দারুচিনি ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
গলা ব্যথা দূর করে: গলা ব্যথা দূর করতে তুলসি পাতার জুড়ি মেলা ভার। গলা ব্যথা সমস্যায় ভুগে থাকলে তুলসী পাতা চা খেলে গলা ব্যথা সেরে যায়। এছাড়াও কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে সেটি দিয়ে গার্গল করা গলা ব্যথার জন্য বেশ কার্যকরী। এক কথায় গলা ব্যথার জন্য তুলসী পাতা অসাধারণ কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তুলসী পাতা অ্যাজমা ফুসফুসের সমস্যা ব্রংকাইটিস ইত্যাদি মোকাবেলায় খুব ভালো কাজ করে। তুলসী পাতা এলাচ দারচিনি একত্রে পানি দিয়ে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেলে নানা রকম রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসী পাতা জ্বর সারাতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে: শরীরের যেকোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতার ব্যবহার অনেক উপকারী। যেকোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং উপশম লাভ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ক্যান্সারের মতো কঠিন অসুখ দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অনেক। তুলসী পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল, রোসমারিনিক এসিড, লিউটিউলিন, মাইরেটিনাল, এবং এপিজেনিন এ সকল উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা রেডিওপ্রটেক্টিভ উপাদান টিউমারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। অগ্নাশয় এর যে কোন টিউমারের কোষ সারাতে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। সেই সাথে এটি বেস্ট ক্যান্সার দূর করতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে: নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে ডায়াবেটিস ভালো হয়। তুলসী পাতা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে। তুলসী পাতায় থাকা এন্টি ডায়াবেটিক উপাদান ওষুধের মত কাজ করে। এছাড়াও সাইপোনিন, ত্রিতারপিনিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়: নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা দুটোই কমে যায়। যার ফলে খুব সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় তুলসী পাতা খেয়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল নিয়মিত খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
শরীরের বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে: তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের শরীর থেকে নানা রকম বিষাক্ত বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে আনতে সাহায্য করে। যার ফলে ড্রিহাইড্রেশন কমে যায় এবং কিডনির কার্যকারিতা সচল থাকে।
হার্ট ভালো রাখে: তুলসী পাতায় থাকা ঔষধিও উপাদান আমাদের শরীরের হাইপারটেনশন উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক এর মত কঠিন অসুখ দূরে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে রক্তে জমাট বাধার সমস্যা দূর হয় ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। হাটের অন্যান্য যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য তুলসী পাতা খুব কার্যকরী একটি উপাদান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকে। এক কথায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতা ব্যাপক কার্যকরী একটি ঔষধ।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে: গবেষণায় দেখা গেছে পেটের সমস্যায় তুলসী পাতা একটি মহা ঔষধ। এটি আমাদের পেট ব্যথা অম্বল এমনকি গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি দেয়। এমনকি তুলসী পাতা হাইপার এসিডিটির সমস্যা ও দূর করতে পারে।
আলসার দূর করে: পেটের সমস্যা দূর করে পেটের যেকোনো আলসারের বিরুদ্ধে তুলসী পাতা খুব ভালো কাজ করে। কোন কারনে পেট ব্যথা হলে এক গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে পানি অর্ধেক হয়ে আসলে সেই পানি পান করলে পেটে যে কোন সমস্যা এবং পেট ব্যথা দূর হয়।
হজম শক্তি বাড়ায়: তুলসী পাতায় থাকা কারমিনেটিভ উপাদান আমাদের হজম শক্তি উন্নয়নের সাহায্য করে। যার ফলে পেটের গ্যাস এবং ফোলা ভাব দ্রুত সেরে যায়। তুলসী পাতা চা নিয়মিত খেলে পাচনতন্ত্র প্রশমিত হয় এবং হজমে সহায়তা করে। হজমের যেকোনো ধরনের ব্যাধি দূরে রাখতে তুলসী পাতা ব্যাপক কার্যকরী।
স্ট্রেস কমায়: তুলসী পাতার চা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলসী পাতাকে একটি অভিযোজনীয় ভেষজ হিসেবে বিবেচনা করেছেন গবেষকরা। এসব উপাদান শরীরকে সাথে সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং শান্ত শিথিল ভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য উপশম করে: তুলসী পাতার শক্তিশালী কফের ওষুধ এবং এন্টিটিউসিভ উপাদান কফের উপসর্গ জ্বালাপোড়া এবং সর্দি-কাশির লক্ষণ গুলোকে একেবারে গভীর মূল থেকে দূর করতে সাহায্য করে। সেই প্রাচীনকাল থেকে সর্দি কাশি এবং হাঁপানির মত শ্বাসকষ্ট জনিত কষ্ট দূর করতে তুলসী পাতা ব্যবহার হয়েছে। তুলসী পাতা শ্বাস যন্ত্রের ওপর প্রশান্তি দেই এবং শ্বাস যন্ত্রের অস্বস্তিকর কষ্ট থেকে মুক্তি দেই।
প্রদাহ কমায়: তুলসী পাতায় থাকা অপরিহার্য তেলগুলো প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। আমাদের শরীরে যে কোন প্রদাহ বা প্রদাহ সম্পর্কিত উপসর্গ গুলো কমাতে তুলসী পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
মুখের সংক্রমণ দূর করে: তুলসী পাতায় থাকা এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মুখের যে কোন সমস্যা দূর করে মুখে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে মাড়ি শক্ত হয় এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়।
দাঁতের মাড়ি মজবুত করে: দাঁতের মাড়ির শক্ত ও মজবুত করতে তুলসী পাতা সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী পাতার রস পানিতে ফুটিয়ে গার্গল করলে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়।
গায়ের রং উজ্জ্বল করে: তুলসী পাতায় থাকা ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং এসেনশিয়াল অয়েল গুলো আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে যার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা বেটে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়। ত্বকের কোন অংশ পুড়ে গেলে তুলসী পাতার রসের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পোড়া জায়গায় লাগালে জ্বালাপোড়া ভাব কমে এবং দাগ দূর হয়।
তুলসী গাছ পোকামাকড় তাড়ায়: বাড়িতে একটি তুলসী গাছ থাকলে পোকামাকড় তাড়াতে চমৎকার ভূমিকা পালন করে। তুলসী পাতায় থাকা তেল নির্যাস লারভিসসাইডাল বৈশিষ্ট্য মশা হওয়ার আগেই মশার লার্ভকে মেরে ফেলে। এছাড়াও যে কোন পোকামাকড় দূর করে একটি মনোরম সুবাস ছাড়তে তুলসী পাতা অনেক উপকারী। এছাড়া আলমারিতে দীর্ঘদিন কাপড় রাখার সময় শুকনো তুলসী পাতা রাখলে কাপড় চোপড়কে ক্ষতিকর পোকার হাত থেকে রক্ষা করে।
তুলসী পাতার ১১ টি অপকারিতা
আমরা সকলেই জানি তুলসী পাতা ঔষধি গুণাবলীতে ভরপুর একটি গাছ। তুলসী পাতার অনেক উপকারের কথা আমরা ইতিমধ্যে এই আর্টিকেল এর উপরের অংশে জেনেছি। তুলসী গাছের সুমিষ্ট গন্ধের পাশাপাশি এতে রয়েছে নানা ধরনের ঔষধি গুন যা আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। তবে মনে রাখবেন তুলসী পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মারাত্মক জীবন নাশকের কারণ হতে পারে। তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের এখন ১১ টি অপকারিতা কথা জানাবো। চলুন জেনে নিই তুলসী পাতার ১১ টি অপকারিতা সম্পর্কে।
- অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা খেলে আপনার শ্বাসকষ্ট এবং সেই সাথে মূত্র ও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা খেলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসী পাতা খেলে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যায় যার ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
- যাদের হার্ট এবং হাটের ভাল্বের সমস্যায় রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান তারা তুলসী পাতা সেবন করার ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- কাঁচা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতে কালচে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ গবেষণা করে দেখা গেছে তুলসী পাতায় থাকা লৌহ চেবানোর ফলে দাঁতের উপর দাগ ফেলতে পারে। তাই তুলসী পাতা চিবিয়ে নয় বরং গিলে খাওয়ায় উত্তম।
- অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা খেলে আমাদের শরীরের রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত জমাট হওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি কোন সার্জারি করাতে চাইলে সে ক্ষেত্রে সার্জারি দুই সপ্তাহ আগে থেকে তুলসী পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিবেন।
- তুলসী পাতায় থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম এর ফলে আমাদের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই কারো নিম্ন রক্তচাপে সমস্যা থাকলে তুলসী পাতা না খাওয়াই উত্তম।
- অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নারীদের বন্ধ্যাত্বের একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাই নারীরা অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- স্তন্যদানকারী কোন মা অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে এ সময় নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই স্তন্যদান করার সময় তুলসী পাতা না খাওয়াই উত্তম।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত ব্যথার ওষুধ খান সেক্ষেত্রে তুলসী পাতা না খাওয়ায় উত্তম। কারণ এতে যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্ভাবনা থাকে। তুলসী পাতা এবং ব্যথার ওষুধ দুটোই ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে। তাই এই দুটো একসাথে খেলে যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হয় বলে মনে করেন তারা।
- অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা খেলে নারী-পুরুষের উর্বরতার কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে তুলসী পাতা শুক্রাণু সংখ্যা কমায়, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, প্রোস্টেট, জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। যার ফলে বংশ বৃদ্ধিকারী হরমোন এর কার্যকারিতা কমে উর্বরতা কমে যায়।
তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
আমরা জানি তুলসী পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এতে থাকা নানা ধরনের ঔষধি গুনাগুন আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে। তবে তুলসী পাতা খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একেক সমস্যার জন্য তুলসী পাতা এক এক রকম ভাবে খেতে হয়। তুলসী পাতা নিয়ম মেনে খেলে অসুখ দূর হয়। চলুন জেনে নিই তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আরোও পড়ুন: পেয়ারা পাতার ১৬ টি বিশেষ উপকারিতা-চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা
- এক কাপ পানিতে দশটি তুলসী পাতা, আদা কুচি এবং লবঙ্গ মিশিয়ে একসাথে পানি দিয়ে ফুটিয়ে খেলে গলার খুসখুসে কাশি দূর হয়।
- সরাসরি গাছ থেকে তুলে কয়েকটি তুলসী পাতা একসাথে চিবিয়ে খেলে সর্দি জনিত যে কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শিশুদের জন্য তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ালে সর্দি জ্বর এবং কাশির উপশম হয়।
- তুলসী গাছের বীজ বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভোগা কাশি থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার বীজ গুঁড়ো করে তার সাথে দারুচিনি এবং লবঙ্গ গুড়া এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ফুটাতে হবে। পানি ফুটাতে ফুটাতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে আসলে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দীর্ঘদিনের পুরাতন কাশি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
তুলসী পাতার ব্যবহার
অসম্ভব গুণাবলীর কারণে তুলসী পাতা সেই আদি যুগ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। আজকে তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নেই তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
সেই প্রাচীনকাল থেকে তুলসী পাতা ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সমস্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। ঠান্ডা জাতীয় যেকোনো সমস্যায় তুলসী পাতার রস মধু মিশিয়ে একসাথে খেলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। শুধু ঠান্ডার জন্যই নয় এই গাছের রস কৃমি এবং বায়ুনাশক হিসেবেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এই গাছের রস, পাতা, বীজ সবকিছু ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। হাজার হাজার বছর ধরে ঘরোয়া উপায়ে তুলসী পাতা দিয়ে নানা ধরনের রোগ দূর করা হয়। মধু ও তুলসী পাতা পেট কামড়ানো, কাশি, বাচ্চাদের পেট কামড়ানো বা মোচড় ভাব, ঠান্ডা ও লিভারের যে কোন সমস্যায় সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী পাতা ও এর শিকড়ের অংশ ম্যালেরিয়া জ্বরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ম্যালেরিয়ার প্রতিশোধক হিসেবে গবেষকরা প্রতিদিন সকালে গোলমরিচের সাথে তুলসী পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। তুলসী পাতা এবং মধুতে থাকা এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান জ্বালাপোড়া এবং হাটে ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এই আর্টিকেলের এই অংশে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। আপনি জেনে অবাক হবেন যে প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসী পাতা খালি পেটে খেলে এটি আপনার শরীর থেকে অনেক অসুখ দূর করতে সাহায্য করে। শরীরকে কর্মঠ ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে এটি মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়া তুলসী পাতায় থাকা এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানের ফলে সকালে তুলসী পাতা খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত ও মাড়ি শক্তিশালী হয়, শরীরে নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
কিডনি পাথরে তুলসী পাতার ব্যবহার
বর্তমান সময়ে খাদ্যে ভেজাল এবং নানা রকম কারণে প্রায় প্রতিটা মানুষের কিডনি পাথর হচ্ছে। কিডনি পাথর হলে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে অপারেশন করে এ পাথর বের করতে হয়। এই কিডনি পাথর হওয়া থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন। নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে কিডনি পাথর হওয়া সম্ভাবনা কমে যায়। এমনকি কিডনিতে পাথর হলে প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতার রস খেলে কিডনি পাথর গলে যায়।
পাকস্থলীর পাথরের তুলসী পাতার ব্যবহার
পাকস্থলীর পাথর গলাতে তুলসী পাতা ব্যাপক কার্যকরী। কোনরকম অপারেশন ছাড়া নিয়মিত তুলসী পাতা রস খেলে পাকস্থলীর পাথর দূর করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস হালকা গরম করে কিছুদিন নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে জমে থাকা পাথর খুব সহজে গলে যাবে এবং আপনি এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। এতে আপনার শরীর সুস্থ হবে এবং অতিরিক্ত টাকা পয়সা খরচ হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।
রাতকানা রোগ দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা
রাতকানা রোগের চিকিৎসায় সেই প্রাচীনকাল থেকে তুলসী পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। ভিটামিন এর অভাব জনিত কারণে রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে রাতকানা রোগ থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেতে পারেন। তুলসী পাতার রস খেলে রাতকানা রোগ হওয়া সম্ভবনা অনেক কমে যায়।
তুলসী পাতা চা এর উপকারিতা
বর্তমানে তুলসী পাতার উপকারিতার জন্য তুলসী পাতার চা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই সব শ্রেণীর মানুষ এই তুলসী পাতার চা নিয়মিত সেবন করছে। কারণ তুলসী পাতার চা আমাদের শরীরে নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। চলুন জেনে নিই তুলসী পাতার চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে।
- তুলসী পাতা চা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ তুলসী পাতা চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর কাজ করার শক্তি পায়।
- তুলসী পাতার চা বর্তমানে এত বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এটি বাণিজ্যিক হিসেবে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বর্তমানে তুলসী পাতার চা টি ব্যাগেও পাওয়া যাচ্ছে। তুলসী পাতার চা নিয়মিত খেলে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- তুলসী পাতার চায়ের সাথে কয়েক টুকরো আদা এবং দারুচিনি ও এলাচ গুড়া মিশিয়ে একটি শক্তিশালী পানীয় তৈরি হয় যা আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং শরীর এনার্জিটিক অনুভব করে।
- তুলসী পাতার চা নিয়মিত সেবনে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের বিপাকে খুব সহজে সাহায্য করে।
কাশির জন্য তুলসী পাতা কিভাবে খেতে হয়
কাশির জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার সেই আদিম যুগ থেকে ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত যেকোনো বয়সের মানুষের সর্দি এবং কাশির জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার অতুলনীয়। ঋতু পরিবর্তন জনিত কারণেই হোক বা বৃষ্টিতে ভিজেই হোক যে কোনো কারণে সর্দি বা কাশি হলেই হাতের কাছে থাকা তুলসী পাতা খুব সহজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
শিশুদের সর্দি জনিত সমস্যায় তুলসী পাতার রসের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ালে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। শুধু সর্দি জাতীয় সমস্যাতেই নয় বুকে কফ বসে থাকলে সে ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে। বুকে কফ জমে থাকলে তুলসী পাতার রসের সঙ্গে আদা লবঙ্গ এবং গোলমরিচ একসাথে ভালোভাবে ফুটিয়ে কয়েক দিন খেলে বুকে জমে থাকা কফ গুলো বেরিয়ে আসে।
তুলসী পাতা খেলে কি কি রোগ ভালো হয়
তুলসী গাছ অনেক উপকারী একটি গাছ। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে তুলসী গাছ থাকলে এটি অনেক রোগ বালাই থেকে রক্ষা করে। তুলসী পাতায় রয়েছে নানা ঔষধি গুনাগুন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তুলসী পাতায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, কাশি এবং সর্দি থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও এটি ক্যান্সার ডায়াবেটিস হৃদরোগের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। তুলসী পাতার এই অসাধারণ গুণাবলীর কারণে হাজার বছর ধরে এটিকে ওষুধের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন তুলসী পাতা রাখার চেষ্টা করুন। তুলসী পাতা চা হিসেবে আবার এর পাতা ভেজে যে কোনো খাবারের সাথে যুক্ত করে খাওয়া যায়। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করে।
চুলের যত্নে তুলসী পাতা
শুধু ঔষধি গুনাগুন নয় এটি চুলের যত্নেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা চুলের যত্নে তুলসী পাতা সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নিই চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
- আপনি জেনে অবাক হবেন যে তুলসী পাতায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল আমাদের মাথার ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
- তুলসী পাতার রস চুলের ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মাথার খুশকি দূর করতে তুলসী পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- যুগ যুগ ধরে চুল পরিষ্কার করতে তুলসী পাতার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে।
- চুল পড়া বন্ধ করতে নারিকেল তেলের সাথে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করলে খুব দ্রুত চুল পড়া বন্ধ হয়। নারিকেল তেলের সাথে তুলসী পাতা সিদ্ধ করে এই তেলটি তৈরি করা হয়।
ত্বকের যত্নে তুলসী পাতা
সেই প্রাচীন যুগ হতে নানা রকম ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ সারাতে তুলসী পাতা ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন। কিন্তু তুলসী পাতা আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী সেই সম্পর্কে জানেন কী? সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে রূপচর্চায় যুক্ত করুন তুলসী পাতা। তুলসী পাতা ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এই আর্টিকেলের এই অংশে ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নিই ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে।
- ব্রণের সমস্যা দূর করে
- ত্বকের দাগ দূর করে
- ত্বকে লালচে ও জ্বালাপোড়া ভাব কমায়
- ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে
ব্রণের সমস্যা দূর করে: তুলসী পাতায় থাকা এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ২০১৪ সালের J-AIM এর গবেষণা থেকে জানা যায় ব্রণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। চিকিৎসকরা বলেন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে আমাদের ত্বকে রক্ষা করতে তুলসী পাতা ব্যাপক কার্যকরী। যে কারণে তুলসী পাতা ব্যবহার করে ব্রণ দূর করতে সময় লাগে না।
ত্বকের দাগ দূর করে: তুলসী পাতায় থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও নিয়মিত তুলসী পাতা বেটে মুখে ব্যবহার করলে এটি মুখের কালো দাগ ঝোপ দাগ উঠাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত তুলসী পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে লালচে ও জ্বালাপোড়া ভাব কমায়: নানা রকম ধুলোবালি এবং দূষণের কারণে আমাদের ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে যার ফলে চুলকানির মতো সমস্যা বেড়ে যায়। এসব থেকে রক্ষা করতে তুলসী পাতার ব্যবহার অনেক কার্যকরী। তুলসী পাতায় থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে তুলসী পাতা জুড়ি ভার।
আরোও পড়ুন: ড্রাগন ফলের কার্যকরী ২০ টি উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে: ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে তুলসী পাতা ব্যাপক কার্যকরী উপাদান। তুলসী পাতার বাটা পেস্ট এর সাথে কিছুটা টক দই এবং গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত এই পেস্ট ত্বকের ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।
শেষ কিছু কথা
আজকে তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা সহ তুলসী পাতার আরো অনেক অজানা তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে তুলসী পাতার ২০ টি উপকারিতা ও ১১ টি অপকারিতা সহ তুলসী পাতার আরো অনেক গুন সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন যা আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে www.digitalabida.com এই ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url