নাপা শাকের ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
নাপা শাকের অসাধারণ পুষ্টি উপকারিতা কথা আপনাদের অনেকের অজানা। নাপা শাকের কিছু অপকারিতা থাকলেও এ রয়েছে অসাধারন উপকারিতা। আপনি যদি নাপা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
নাপা শাক খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এটি অনেক স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। নাপা শাকের নানা ধরনের উপকারিতার কথা বিবেচনা করে আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এর চাষাবাদ হয়। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর মজাদার একটি খাবার। চলুন জেনে নিই নাপা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
নাপা শাকের ১০ টি উপকারিতা
নাপা শাকের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। নাপা শাক আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বলে বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নাপা শাকের গাছ দ্রুত বাড়ে বলে অনেক অঞ্চলে এই শাক লাফা শাক নামেও পরিচিত। শুধু বাংলাদেশেই নয় নাপা শাক এর অসংখ্য উপকারিতার কথা বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মানুষেরই জানা। আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিই নাপা শাকের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে।
আরোও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যাভোকাডোর ১৬ টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা
- শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ নিরাময় করে
- ত্বকের সমস্যা ও পেটের পীড়ায়
- শুষ্ক কাশি নিরাময়ে
- ডায়রিয়ার উপশমে
- বয়স্ক গর্ভবতীদের জন্য
- হুপিং কাশি নিরাময়
- রক্তের জন্য কার্যকরী
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
- সবুজ, হলুদ ও ঘিয়া রং তৈরিতে
শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ নিরাময় করে: আপনি যদি শ্বাসকষ্ট জনিত কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নাপা শাকটি আপনার জন্য বেশ কার্যকরী। নিয়মিত নাপা শাক খেলে শ্বাস জনিত রোগ সেরে যায়।
ত্বকের সমস্যা ও পেটের পীড়ায়: ত্বকের যেকোনো সমস্যায় যেমন ত্বকের ব্যথা বা ফোলা ভাব কমাতে নাপা শাক অনেক উপকারী। নাপা শাকের পাতায় এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে যা অনেকটা ঢেঁড়স পাতার মতো। এই পাতা ত্বকের যেকোনো অসুখে বেটে লাগালে তবে সমস্যা দূর হয়। ঠিক তেমনি অপরদিকে এটি পেটের পীড়া নিরাময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শুষ্ক কাশি নিরাময়ে: আমরা যারা শুষ্ক কাশিতে ভুগি তারা জানি এর কষ্ট কতটা যন্ত্রণাদায়ক। এই শুষ্ক কাশি নিরাময়ে নাপা শাক ব্যবহার হয়। নাপা শাকের পাতা দিয়ে চা বানিয়ে নিয়মিত খেলে শুষ্ক কাশি দূর হয়।
ডায়রিয়ার উপশমে: ডায়রিয়ার সমস্যা উপশমে নাপা শাক বেশ কার্যকরী। পায়ুপথের যেকোনো গড়বড় জনিত কারণে এই শাক অনেক উপকারী। এমনকি যাদের ঘনঘন তৃষ্ণা লাগে তারা এই শাক নিয়মিত খেলে পিপাসা জনিত সমস্যা দূর হয়। এটি পানির অভাব পূরণ করে।
বয়স্ক গর্ভবতীদের জন্য: অনেক সময় দেখা যায় নারীরা বয়স্ক অবস্থায় গর্ভবতী হয়। বেশি বয়সে কোন নারী গর্ভবতী হলে তার যেকোনো সমস্যায় পরিমাণ মতো নিয়মিত নাপা শাক খাওয়ালে গর্ভকালীন সমস্যা দূর হয়।
হুপিং কাশি নিরাময়: হুপিং কাশি নিরাময়ে নাপা গাছের শিকড়ের রস সেই আদিম কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি হুপিং কাশি নিরাময়ে বেশ কার্যকরী।
রক্তের জন্য কার্যকরী: নাপা শাকের বীজে থাকা পলিস্যাকারাইড আমাদের রক্তে শ্বেত কণিকা গঠনে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে: আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত নাপা শাক আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: মরণব্যাধি ক্যান্সারের কোষ গঠন হওয়া থেকে প্রতিহত করতে নাপা শাক এবং এর বীজের ভূমিকা অনেক। এটি আমাদের শরীরকে ক্যান্সার হওয়া থেকে বিরত।
সবুজ, হলুদ ও ঘিয়া রং তৈরিতে: আপনি জেনে অবাক হবেন যে নাপা শাকের গাছ এবং এর বীজ থেকে সবুজ হলুদ ও ঘিয়া রং তৈরি হয়। এই রং এর মান অনেক ভালো।
নাপা শাকের অপকারিতা
নাপা শাক এমন একটি উপকারী খাবার যার তেমন কোন অপকারিতা নেই। তবে আমরা জানি যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার কিন্তু বেশি পরিমাণ খেলে সেটি আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। তাই নাপা শাক নিয়মিত পরিমাণ মতো খেতে হবে। এছাড়া নাপা শাকের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
মনে রাখবেন যদি নাপা শাক চাষ করার জন্য এতে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রোজেন জাতীয় স্যার যেমন ইউরিয়া জমিতে বেশি পরিমাণ প্রয়োগ করে তাহলে এর পাতায় নাইট্রোজেন জমা হয় এবং নাইট্রেট এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে এই শাক আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ইউরিয়া সার দিয়ে নাপা শাক চাষ করলে সেটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর তবে জৈব সার দিয়ে এই চাষ চাষ করা হলে এর গুনাগুন অতুলনীয় হয়ে যায়। জৈব সার দিয়ে নাপা শাক চাষ করলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন ভয় থাকে না।
নাপা শাকের গাছের বর্ণনা
নাপা শাকের গাছের কান্ড ও পাতা নরম প্রকৃতির গুল্ম জাতীয় একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। দেখবেন এই গাছ সাধারণত ১ থেকে ১.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। নাপা শাক গাছের পাতার আকৃতি অনেকটা ঢেঁড়স পাতার মতো বা তুলার মত করতোলাকার, পাতার উপর তিন থেকে পাঁচটি গভীর খাঁজ যুক্ত অবস্থায় থাকে এবং ওপরের চেয়ে এই পাতার নিজের পিঠ অপেক্ষাকৃত বেশি রোশন প্রকৃতির হয়। এই গাছের কান্ড গোলাকার এবং মসৃণ হয়ে থাকে।
আরোও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও ৭ টি অপকারিতা
নাপা শাক গাছে সাধারণত কান্ড থেকে বিপরীত মুখে নতুন পাতা গজায়। এই গাছের ফুল ছোট সাদা বা হালকা বেগুনি রংয়ের মাইকের চোঙের মতো দেখায়। এই গাছের ফুল পাতার কক্ষে গুচ্ছাকারে ফোটে। এটি বংশবিস্তার করে বীজ দ্বারা। এই গাছ বর্ষজীবী বলে একবার বীজ থেকে চারা উৎপাদন করার পর গাছটির শুধুমাত্র মুড়োর অংশটা রেখে গাছের গোড়া থেকে কেটে নিয়ে জমিতে রেখে দিলে পরবর্তী বছর ওই মুড়ি গাছের গোড়ার কাঁটা অংশ থেকে নতুন গাছ জন্ম নেই।
নাপা শাক কোথায় পাওয়া যায়
নাপা শাক হল মালভা গণের মালভেসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা শাক এবং ডগা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সঠিকভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় নাপা শাকের উৎপত্তি স্থান- পূর্ব এশিয়া বা চীনে। চীনে এই ফসলটি আবাদকরণের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ বছর ধরে চাষাবাদ হয়ে আসছে।
নাপা শাকের উপকারিতার কথা বিবেচনা করে এই শাক উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, কোরিয়া পাকিস্তান ভারত সহ বর্তমানে বাংলাদেশেও এর চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে এ শাকের চাষাবাদ অনেক বেড়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এই গাছের চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং এই শাকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
নাপা শাক খাওয়ার নিয়ম
নাপা শাকের উপকারিতার কথা বিবেচনা করে বর্তমানে এই শাকটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের গ্রামগঞ্জে এই শাকটি অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। আমাদের দেশের মানুষ এই শাক বিভিন্ন উপায়ে খেয়ে থাকে। নাপা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের নাপা শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নিই নাপা শাক খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে।
- নাপা গাছের পাতা শাক হিসেবে এবং এই গাছের কচি ডগা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
- এই শাক ভাজি করে কিংবা মাছের সাথে রান্না করেও অনেক অঞ্চলের মানুষ খেতে পছন্দ করে।
- নাপা শাকের পাতা চা বানিয়ে খাওয়া হয়।
- এই গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে টমেটো, গাজর, শসা কিংবা বিভিন্ন সালাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- এই গাছের শুধু পাতা বা ডগায় নয় এর বীজও অনেক জনপ্রিয়। এই গাছের বীজ এর ঘ্রাণ কিছুটা বাদামের মত তাই এই বীজ ভেজে খাওয়া হয়।
- আমাদের দেশে অনেক অঞ্চলে এই শাকের পাতা ও কান্ড ঝোল করে রান্না করে খাওয়া হয়।
- উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক খাবার হিসেবে নাপাশাক প্যালকা বা শোলকা হিসেবে খাওয়া হয়।
নাপা শাক গাছের ফসল সংগ্রহ
নাপা শাকের বীজ থেকে গাছ উৎপাদন করা হয়। এই শাকের বীজ বপন করার প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর শাক তোলা শুরু করতে পারবেন। গাছ ছোট অবস্থায় এই শাকের কচি কচি ডগা এবং পাতা তুলতে পারবেন। গাছ একটু বড় হলে তখন পাতা তুলতে পারবেন এবং গাছের শাখা-প্রশাখা গুলো ছোট ছোট করে কেটে সবজি হিসেবে খেতে পারবেন। গাছের ছোট ছোট শাখা প্রশাখা গুলো কাটলে গাছে গোড়া থেকে আবার নতুন কথা গজানো শুরু হয় এবং পরবর্তীতে সেই পাতা শাক হিসেবে খেতে পারবেন।
এভাবে গাছ অনেক বড় হয় এবং এর শাখা প্রশাখা অনেক বৃদ্ধি পায়। এভাবে পুরো মৌসুমে শাক তুলে খাওয়া যায়। গাছের বয়স হয়ে গেলে সেই গাছের গোড়ার অংশটুকু রেখে বাকি উপরের অংশ পুরোটাই কেটে দিবেন তাহলে পরবর্তী বছর সেখান থেকে আবার নতুন গাছের জন্ম নেই। বীজ বনের শুরুর পর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই শাক খেতে পারবেন। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে এই গাছে ফুল আসে এবং এপ্রিল মাসে এর ফল পাকে। মনে রাখবেন নাপা গাছের ফুল বেশ স্বপরাগী তবে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকার মাধ্যমেও এর পরাগায়ন ঘটে থাকে।
মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে এই গাছের বীজ শুকিয়ে যায়। বীজ শুকিয়ে যাওয়ার পর এটি সংগ্রহ করা হয়। নাপা গাছের একটি ফল থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি বীজ দানা পাওয়া যায়। বীজ ভালোভাবে সংরক্ষণ করার জন্য এটি ভালোভাবে করার রোদে শুকিয়ে কাচের বয়মে ভরে মুখ আটকে রেখে দিলে বীজ অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। বেশ ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখলে সেই বীজ দিয়ে পরবর্তী বছর আবার নাপা শাকের গাছের চাষ করা যায়। নাপা শাকের গাছে ফুল আসার আগ পর্যন্ত এর শাক খাওয়া যায়। ফুল আসার পরে এই শাকের স্বাদ কমে যায় বলে তখন এটি খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে যায়।
নীলফামারীর জনপ্রিয় খাবার নাপা শাকের পেলকা
নীলফামারী জেলার জনপ্রিয় একটি খাবার হচ্ছে নাপা শাকের পেলকা। এই শাক দিয়ে তৈরি পেলকা যে শুধু নীলফামারী জেলা জনপ্রিয় খাবার তা নয় এটি রংপুর গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দাদেরও অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। এই শাক শীতকালে পাওয়া যায়। শীতের শুরু হলেই নাপা শাকের পেলকা ছাড়া যেন অন্য কোন খাবারে সেই চাঁদ মেলেনা। শীতকালে এই খাবারের সাথে মানুষের অনেক আনন্দ জড়িয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই নীলফামারীর জনপ্রিয় খাবার নাপা শাকের পেলকা তৈরির রেসিপি।
আরোও পড়ুন: পেয়ারা পাতার ১৬ টি বিশেষ উপকারিতা-চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা
উপকরণ:
- নাপা শাক
- বথুয়া শাক
- কাঁচা মরিচ
- লবণ
- রসুন
- তেল
রান্নার পদ্ধতি
নাপা শাকের পেলকা অনেক সহজ একটি পদ্ধতি এবং এটি তৈরিতে সময় ও খুব কম লাগে। প্রথমে ফুটন্ত তেলে পরিমাণ মতো লবণ, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, কয়েকটা কাঁচামরিচ ও পরিমান মত পানি দিয়ে চুলায় হালকা আছে বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি ফুটে গেলে সেই পানিতে নাপা শাক দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শাক কিছুটা সিদ্ধ হয়ে আসলে সেই সাথে বধুয়া শাক মিশিয়ে পিচ্ছিল পেলকা তৈরি করা হয়। নাপা শাকের পেলকা তৈরি করার পর পানির উপর নাপা শাকের পাতা ভেসে থাকে এবং খেতে পিচ্ছিল জাতীয় একটি খাবার এটি। নীলফামারী জেলা সহ অন্যান্য আশেপাশের জেলায় বাসায় মেহমান আসলে নাপা শাকের বেলকা ছাড়া তৃপ্তি হয় না।
শেষ কিছু কথা
নাপা শাকের বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতার জন্য এবং এটি খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ায় এটি উত্তর অঞ্চলের জনগনের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের নাপা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরো নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সঠিক তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে www digitalabida.com এই ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url