আকাশমনি গাছের ১০টি ক্ষতিকর দিক
আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আকাশমনি গাছের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক সহ আকাশমনি গাছের আরো অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
আকাশমনি গাছটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দ্রুত বর্ধনশীল এবং লাগানোর পদ্ধতি সহজ বলে এই গাছ কাঠ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মানুষের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে এই গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। চলুন জেনে নিই আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
আকাশমনি গাছের ১০ টি ক্ষতিকর দিক
আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক থাকার কারণে এই গাছটি বর্তমানে আমাদের পরিবেশের জন্য কিছুটা ক্ষতিকারক। যদিও আকাশমনি গাছের অনেক সুবিধা রয়েছে এরপরেও এর কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আকাশমনি গাছের তৈরি আসবাবপত্র অনেক বেশি জনপ্রিয়। দামে কম এবং মজবুত হওয়ায় এই গাছ এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাণিজ্য বাজারে এই কাঠের সম্ভাবনা অনেক ভালো।
আরো পড়ুন: মেহগনি গাছের বীজের ১৫ টি উপকারিতা
এই গাছ কাঠ উৎপাদনের জন্য ভালো হলেও এটি আমাদের পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। তাই কৃষিবিদরা আকাশমনি গাছের বদলে অন্য গাছের চারা রোপণের জন্য কৃষকদের এবং জনগণদেরকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। আকাশমনি ছাড়াও আরো অনেক গাছ আছে যেগুলো থেকে ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায় তাই কৃষিবিদরা ঐসকল গাছ লাগানোর প্রতি বেশি উদ্বুদ্ধ করছে। চলুন জেনে নিই আকাশমনি গাছের কয়েকটি ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে
আকাশমনি গাছের ১০ টি ক্ষতিকর দিক
- এই গাছটি রাত-দিন ২৪ ঘন্টা মাটি থেকে পানি শোষণ করে এবং বাতাসে ছেড়ে দেয় এর ফলে মাটিতে পানির ঘাটতি দেখা দেয় বলে জানা যায়।
- আকাশমনি গাছের আশেপাশে অন্য কোন প্রজাতির গাছ জন্মগ্রহণ করতে পারেনা। কারণ এই গাছের পাতায় প্রচুর পরিমাণ টক্সিন থাকে যা গাছের গোড়ায় পড়ে গোড়ার আশেপাশের মাটিকে অনেক বেশি বিষাক্ত করে তোলে।
- আকাশমনি গাছের পাতা খুব সহজে পচে যায় না যার ফলে এটি গাছের গোড়ার মাটি বিষাক্ত করে তোলে।
- এই গাছ দ্রুত বর্ধনশীল এবং ঘন হওয়ায় অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।
- এই গাছে পোকামাকড় আক্রমণের প্রবণতা অনেক বেশি।
- আকাশমনি গাছের মূল থেকে নির্গত কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মাটির গুনাগুনকে নষ্ট করে দেয়।
- আকাশমনি গাছের পাশে হয়ে থাকা অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এই গাছ।
- আকাশমনি গাছের ফুলের রেনু শ্বাসকষ্ট জনিত বা হাঁপানি রোগীদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- এ গাছের ফুলের রেনু শিশু এবং প্রবীনদের জন্য এতই বেশি ক্ষতিকারক যে এই গাছের পাশে গেলে মাক্স ইউজ করা কে মাস্ট বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা।
- আকাশমনি গাছের ফুলের রেনু থেকে এলার্জির প্রবণতা বেড়ে যায়।
আকাশমনি গাছের বৈশিষ্ট্য
আকাশমনি গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুক। আকাশমনি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Acacia auriculiformis. এই গাছটি খুব দ্রুত বেড়ে যায় তাই একে দ্রুত বর্ধনশীল গাছ বলা হয়। গাছটি ১৫-৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতর হতে পারে। গাছটির কান্ড অনেক বেশি মোটা এবং শক্তিশালী হওয়ায় এই গাছের কাঠ ব্যবহারের জন্য অনেক উপযোগী।
আকাশমণি গাছের পাতা অনেকটা সরু ও লম্বা। যার ফলে এটি গাছটিকে একটি বিশেষ আকৃতি প্রদান করে থাকে। এ গাছের ফুলগুলো হলুদ রঙের হয়। ছোট ছোট পুষ্প মঞ্জুরিত সংগঠিত আকারে সাজানো থাকে। আকাশমনি গাছের একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি যে কোন নিম্নমানের মাটিতেও খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে এবং প্রচন্ড খরা সহনশীল। যার ফলে আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই গাছটি খুব সহজেই চাষাবাদ করা সহজ হয়।
আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস কি একই গাছ
আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস কি একই গাছ এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেন না বলে আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস গাছকে একই গাছ মনে করে। আকাশমনি গাছ এবং ইউক্যালিপটাস গাছ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা গাছ। আকাশমনি গাছের তেমন কোন ক্ষতিকারক দিক না থাকলেও ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ইউক্যালিপটাস গাছটি না লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন পরিবেশবিদরা।
আকাশমণি কাঠ কি ভালো
আকাশমণি কাঠ কি ভালো এটি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। বিশেষ করে কোন ফার্নিচার বানানোর পূর্বে কোন কাজটি ভালো এই সম্পর্কে সকলেই জানতে চান। আকাশমনি গাছের কাঠ অনেক ভালো। ওজনের হালকা সুন্দর টেকসই মজবুত এবং পোকামাকড় বিরোধী কোন কাঠ দিয়ে যদি আসবাবপত্র তৈরি করতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে আকাশমনি কাঠ অনেক ভালো হবে।
আপনি কোন ফার্নিচার তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই ভালো অভিজ্ঞ একজন কাঠের ব্যবসায়ীর সাথে পরামর্শ করে নিয়ে তারপর কাঠ নির্বাচন করুন। একজন ভালো মানের অভিজ্ঞ কাঠের ব্যবসায়ী আপনাকে আপনার বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী সবচেয়ে সেরা কাঠটি নির্বাচন করতে সহায়তা করবে। আর সেই কাঠ দিয়ে ফার্নিচার বানালে এটি অনেক টেকসই এবং মজবুত হবে। আপনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।
আকাশমনি গাছের দাম
আকাশমনি গাছের দাম সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা থাকলে এটি আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের আকাশমনি গাছের দাম সম্পর্কে জানাবো। বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে আকাশমনি গাছের দাম ২০২৪ সালে নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ছোট আকারের আকাশমনি গাছের দাম অর্থাৎ প্রায় দুই থেকে তিন বছর বয়সী গাছের দাম প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
এই গাছগুলো সাধারণত বনায়ন করার জন্য অথবা কেউ কেউ ব্যক্তিগত বাগানের জন্য কিনে থাকে। একটি মাঝারি আকারের গাছ যেমন ধরুন চার-পাঁচ বছর বয়সী গাছের দাম ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়। একটি বড় আকারের গাছ যেমন প্রায় ছয় বছর বয়সী বা তার থেকে বেশি বয়সের গাছ ২০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত দাম হয়ে থাকে। আসবাবপত্র নির্মাণের কাজে এই কাজগুলো প্রচুর ব্যবহার করা হয়। আকাশমনি গাছের কাঠ বেশ জনপ্রিয় হয় এটি বাণিজ্যিক আকারে প্রধান কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন বাজারে আকাশমনি গাছের দাম
বিভিন্ন বাজারে আকাশমনি গাছের দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে। কারণ একেক অঞ্চলে এর খরচের পরিমাণ একেক রকম। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় এই শহরে অঞ্চল গুলোতে এই গাছের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশের ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এই গাছের চাহিদা অনেক বেশি। সেই তুলনায় তুলনামূলকভাবে গ্রামাঞ্চলের দিকে এই কাঠের দাম অনেকটা কম হতে পারে।
আরো পড়ুন: আম গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
যেমন ধরুন ঢাকার বাজারে ছয় বছর অথবা এর চেয়ে বড় বয়সী আকাশমনি গাছের দাম প্রায় ৫০০০ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে এই গাছের দাম দেখা যাবে ৩-৪ হাজার টাকা হতে পারে। এই গাছ আসবাবপত্র তৈরির জন্য উপযোগী বলে দিন দিন এই কাঠের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের সৌখিন মানুষজন বাড়ির আসবাবপত্র তৈরির জন্য আকাশমনি গাছের কাঠ ব্যবহার করে বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছে
আকাশমনি গাছের ব্যবহার
আকাশমনি গাছের ব্যবহার সেই বহু কাল ধরে আসছে। আকাশমণি গাছের কাঠ তুলনামূলকভাবে অনেক শক্ত এবং টেকসই হওয়ায় এই কাঠের আসবাবপত্র নির্মাণের মানুষ বেশি আগ্রহী। বিভিন্ন সৌখিন মানুষজন কারুশিল্পে এই কাঠের ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও আকাশমনি গাছের পাতা এবং ফুল আমাদের কৃষিজমিতে স্যার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই গাছের ছাল ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এই গাছের ছাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি উপাদান তৈরি করে থাকে যা রোগ নিরাময়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই গাছের বীজ থেকে তেল উৎপাদন করে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায় এই গাছের ব্যবহার সেই আদিমকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেক বেড়েছে।
আকাশমনি গাছের ঔষধি গুনাগুন
আকাশমনি গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ঔষধি গুণাবলী সম্পূর্ণ এই আকাশমনি গাছ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সেই বহু কাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই গাছের ছাল এবং পাতা থেকে পাওয়া নির্যাস ঔষধি গুণাবলীতে ভরপুর। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়ে আসছে।
ঠিক আছে পাতা এলে ফুল বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা ব্যবহার করে। আকাশমনি গাছের ছালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ জাতীয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক থাকলেও এর উপকারিতা কিছু কিছু রয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আকাশমনি গাছ লাগানোর নিয়ম
আকাশমনি গাছ লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর এই গাছ লাগাতে হবে তাহলে গাছের মান ভালো হবে। আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের গাছ লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। আকাশমনি গাছ লাগানোর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ভালো মানের চারা সংগ্রহ করতে হবে। তারা সংগ্রহের পর সূর্যের আলো পড়ে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করে সঠিক স্থানে গাছ রোপন করতে হবে। আকাশমনি গাছের চারা রোপনের সবচেয়ে উপযোগী সময় হচ্ছে বর্ষাকাল।
তাই বর্ষাকালে আকাশমনি গাছের চারা লাগিয়ে ভালো মতো যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে। নিয়মিত পানি দিতে হবে মাঝে মাঝে গাছের গোড়া খুঁড়ে দিতে হবে। কিছুদিন পর পর প্রয়োজনীয় স্যার দিতে হবে। যেহেতু আকাশমনি গাছ দ্রুত বর্ধনশীল গাছ যেহেতু এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বড় আকার ধারণ করে এবং গাছ শক্তিশালী হয়। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি সঠিকভাবে সারা নির্বাচন করতে না পারেন এবং ভালোভাবে যত্ন না নেন তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন না।
আকাশমনি গাছের বাণিজ্যিক মূল্যায়ন
আকাশমনি গাছের বাণিজ্যিক মূল্যায়ন অনেক বেশি। বর্তমানে আকাশমনি গাছ অনেক লাভজনক হওয়ায় এ গাছের চাষাবাদ বাণিজ্যিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকাশমনি গাছের চাহিদা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরিতে এছাড়া কারুশিল্পেও এটি প্রচুর পরিমাণ ব্যবহৃত হচ্ছে। যেহেতু এই গাছ অনেক বেশি দ্রুত বর্ধনশীল এবং কাঠ অনেক শক্তিশালী এবং মজবুত হওয়ায় কৃষকদের এই কাজ অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই গাছ অল্প যত্ন নিলেই এবং অত্যন্ত গ্রীষ্ম সহনশীল হওয়ায় আমাদের দেশে এই গাছ খুব সহজেই চাষাবাদ করা যাচ্ছে। যার ফলে এটি বাণিজ্যিক আকারে চাষাবাদ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হচ্ছে। এই গাছকে আন্তর্জাতিক বাজারে একটি সম্ভাবনাময় গাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই গাছে তৈরি আসবাবপত্রে ঘুন ধরে না এবং খুব সহজে নষ্ট হয় না। তাই সকলেই এই গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্র বানাতে বেশি আগ্রহী হয়।
আকাশমনি গাছের যত্ন করার নিয়ম
আকাশমনি গাছের যত্ন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর এই গাছের যত্ন নিলে আপনি আপনার কাঙ্খিত মানের কাঠ পাবেন। আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের আকাশমনি গাছের যত্ন নেওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়লে আপনারা খুব সহজেই এই গাছের যত্ন নিতে পারবেন এবং ভালো মানের কাঠ পাবেন।আকাশমনি গাছ ভালো রোদ যুক্ত জায়গা দেখে রোপন করতে হবে। তারপর এই গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
কিছুদিন পরপর গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স যখন কম থাকবে তখন স্যার অল্প পরিমাণ দিতে হবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই গাছের যত্নের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে। গাছের চারা রোপনের পর এটি গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বেড়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। গাছ কোন ক্ষতিকর পোকামাকড়ের দ্বারা আক্রমণ হচ্ছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে এবং স্প্রে করতে হবে। গাছের বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হচ্ছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
আকাশমনি গাছের ভবিষ্যৎ
আকাশমনি গাছের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে। আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক থাকলেও এটি কাঠের জন্য বিখ্যাত। দ্রুত বর্ধনশীল এবং এটি থেকে শক্ত মজবুত টেকসই কাঠ পাওয়ার কারণে বর্তমানে আকাশমনি গাছের চাহিদা এবং মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গাছ চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় এই গাছের চাষাবাদ এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকেরা এই কাঠ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
আরো পড়ুন: কাসাভার উপকারিতা ও চাষ পদ্ধতি
আকাশমনি গাছের চাষাবাদের ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে সেই সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু বর্তমানে এই কাঠের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু আমাদের দেশে বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণা মাধ্যমে উন্নত মানের আকাশমনি গাছের নতুন প্রজাতি চাষাবাদের জন্য উদ্বোধন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই কাঠকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
শেষ কিছু কথা
আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলে আমরা আপনাদের আকাশমনি গাছের নানা ধরনের ক্ষতিকারক দিক থেকে শুরু করে এই গাছ এর ঔষধি গুনাগুন, লাগানোর পদ্ধতি, আকাশমনি গাছের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি, আকাশমনি গাছের বাণিজ্যিক মূল্যায়ন থেকে শুরু করে আকাশমনি গাছের আরো নানা ধরনের অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি এই গাছের নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল আবিদা ওয়েবসাইটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url