মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের ১৬ টি উপকারিতা

মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের বিশেষ কিছু উপকারিতা সহ আরো বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।

মহিলাদের-জন্য-কুমড়ো-বীজের-উপকারিতা

বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাক সবজির মধ্যে কুমড়ো অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং জনপ্রিয় একটি সবজি। আপনি জানলে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র কুমড়ো নয় এতে থাকা বীজেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেই মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।

মহিলাদের জন্য কুমড়া বীজের ১৬ টি উপকারিতা

মহিলাদের জন্য কুমড়া বীজের ১৬ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলের এই অংশে। কুমড়োর উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানলেও এতে থাকা বীজের উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানিনা। যার ফলে কুমড়ো রান্না করার সময় আমরা এর বীজ ফেলে দিই। আপনি জানলে অবাক হবেন যে কুমড়োতে থাকা বীজ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।

আরো পড়ুন: কুমড়ো ফুলের ১৭ টি উপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান

কুমোর বীজকে ভিটামিনের খুব ভালো একটি উৎস বলা যায়। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত। এই পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির যোগান দেয় এবং রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। তাই অনেকেই এই কুমড়ার বীজকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। চলুন জেনে নিই মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা সম্পর্কে

মহিলাদের জন্য কুমড়া বীজের ১৬ টি উপকারিতা

  • মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখে 
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় 
  • ‌ আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য 
  • হার্ট ফাংশন সমর্থন করে 
  • ঘুম ভালো করে 
  • ক্যান্সার প্রতিরোধক 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 
  • হাড়ের গঠন ঠিক রাখে 
  • পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখে 
  • চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী 
  • দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমায় 
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে 
  • হজম ভালো হয় 
  • মাংসপেশি নরম করে 
  • ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে 

মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখে: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভালো মানের জিংক যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য অনেক উপকারী। এটি গর্ভবতী মহিলাদের দস্তা রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে গর্ভে থাকা শিশুর সুস্থভাবে বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে কুমড়ো বীজের জুড়ি মেলা ভার। তাই গর্ভাবস্থায় মহিলারা যদি কুমড়োর বীজের মতো পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। এছাড়াও নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে এটি মেনোপজকালীন  মহিলাদের অস্ট্রিওপরোসিস এর মত কষ্টকর রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয় এবং ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও কুমড়ো বীজ ডায়াবেটিস মেলিটাস পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যার ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার বয়ে আনে।

আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন কোষ গুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হওয়ায় যকৃৎ, মুত্রাশয়, অন্ত্র সহ যেকোনো জয়েন্টের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হার্ট ফাংশন সমর্থন করে: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ো ভিজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় যা হার্টের জন্য অনেক উপকারী। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং ট্রাই গ্লিসারাইড এর মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকরী।

ঘুম ভালো করে: মূলত কুমড়ো বীজকে বিভিন্ন পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউজ যেমন ট্রিপটোফান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা অ্যামিনো এসিড আমাদের ভালো ঘুমের প্রসার করে এছাড়াও এতে উপস্থিত থাকা তামা, জিংক এবং সেলেনিয়াম ঘুমের মান উন্নত করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে থাকা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং প্রোটিন। তাই প্রতিদিন যদি অল্প একটু বীজ খায় তাহলে এটি আমাদেরকে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে। যার ফলে সারাদিন আমাদের ক্ষুধা কম লাগবে এবং খাবার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে আমাদের ক্যালরির পরিমাণ কমে যায় যার ফলে ওজনের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই এবং জিংক যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের শরীরকে পুষ্টির চাহিদা যোগান দিতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতিকারক হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিভাইরাল উপাদান আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী।

হাড়ের গঠন ঠিক রাখে: কুমড়ার বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ আমাদের শরীরে খনিজ সরবরাহ করে এবং হাড়ের ঘনত্ব ও হাড় মজবুত, শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যার ফলে হাড়ের কোনরকম ফ্যাকচার বা অস্টিওপেরোসিস এর মত অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখে: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ছেলেদের প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পুরুষদের অন্যান্য অনেক অসুখের জন্য বেশ উপকারী যেমন মুত্রনালী সংক্রমণ, রোগ এবং ব্যাধি প্রতিরোধ, শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে, টেস্টিস্টোরনের  মাত্রা বৃদ্ধি করে, শুক্রাণুর গুণগতমান বৃদ্ধি করে এবং সেই সথে পুরুষদের উর্বরতা ঘটায়।

চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে এটি চুলকে মসৃণ এবং মজবুত করে। যার ফলে চুল হয়ে ওঠে অনেক বেশি ঝলমলে। এছাড়াও এটি আমাদের ত্বকের কোমল ভাব ফিরিয়ে আনে এবং বলিরেখা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা এন্টিনফ্লামেটরি উপাদান মেয়েদের ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণর হাত থেকে রক্ষা করে।

দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমায়: কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম যা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মনকে শান্ত করে এবং বিষন্নতার লক্ষণগুলো কমিয়ে মনকে প্রফুল্ল করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে দেখা গেছে নিয়মিত খেলে এটি আমাদের রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা দূরে থাকে।

হজম ভালো হয়: কুমড়ো বীজকে ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজ লবণের একটি ভালো উৎস হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এর কারণে নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে ভালোমতো হজম হয় এবং এটি আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারে।

মাংসপেশি নরম করে: কুমড়ো বীজকে ওমেগা ৩ খুব ভালো একটি উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার ফলে নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে এটি আমাদের মাংসপেশীর নরম করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে এতে থাকা জিংক এবং ফসফরাস আমাদের হাড় মজবুত করে এবং অস্থি সন্ধির ব্যথা কমায়।

ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে: যেহেতু কুমড়া বীজে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে সেহেতু এটি আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইট এর ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমায়।

কুমড়ো বীজের পুষ্টি উপাদান 

কুমড়ো বীজের পুষ্টি উপাদান অন্যান্য বীজের তুলনায় অনেক বেশি। তাই কুমড়ো বীজকে অধিক পুষ্টিগুনে ঠাসা একটি উপাদান বলা হয়। এতে প্রায় সকল পুষ্টি উপাদান থাকায় এটিকে অনেকেই পুষ্টিগুণের পাওয়ার হাউস হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের কুমড়ো বীজের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নেই কুমড়ো বীজে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা সম্পর্কে।

কুমড়ো-বীজের-পুষ্টি-উপাদান

কুমড়ো বীজের পুষ্টি উপাদান সমূহ 

  • খনিজ 
  • পটাশিয়াম 
  • জিংক 
  • ম্যাঙ্গানিজ 
  • ভিটামিন কে 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট 
  • ফসফরাস 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • আয়রন 
  • পটাশিয়াম 
  • তামা 
  • ফাইটকেমিক্যালস

এছাড়াও এই বীজের প্রতি প্রতিবেশনে উপস্থিত পুষ্টির তথ্য সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।

ক্যালোরি: কুমড়ো বীজে ১৮০ কিলোক্যালোরি রয়েছে যা এক চতুর্থাংশ কাপে শুকনো কুমড়ো বীজ পরিবেশন করা হয়।

প্রোটিন: কুমড়ো বীজে থাকা প্রতি পরিবেশনে প্রায় ১০ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন থাকে। 

ফ্যাট: কুমড়ো বীজে প্রতি পরিবেশনে প্রায় ১৬ গ্রাম পরিমাণ চর্বি সরবরাহ করে থাকে। 

শর্করা: কুমড়ো বীজের প্রতি পরিবেশনে প্রায় তিন গ্রাম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে। 

ফাইবার: কুমড়ো বীজে প্রতি পরিবেশনে প্রায় ২ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার থাকে।

কুমড়ো বীজের ৫ টি অপকারিতা

কুমড়ো বীজের ৫ টি অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে। যেকোনো জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অবশ্যই তার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আমরা উপকারিতা জানার পাশাপাশি অবশ্যই উপকারিতা সম্পর্কেও জেনে নিব। তাহলে ক্ষতি হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা থাকবে না। 

আরো পড়ুন: মেহগনি গাছের বীজের ১৫ টি উপকারিতা

কুমড়ো বীজ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এ কথা আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা আলোচনা করেছি। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বলে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন তা কিন্তু নয়। পরিমিত মাত্রায় খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলেও এটি অতিরিক্ত মাথা রেখে খেলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা।‌ চলুন জেনে নিই কুমড়ো বীজের ৫ টি অপকারিতা সম্পর্কে। 

কুমড়ো বীজের ৫ টি অপকারিতা

  • এলার্জি সমস্যা 
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা 
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা 
  • অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বেড়ে যেতে পারে 
  • রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি

এলার্জি সমস্যা: যাদের অ্যালর্জির সমস্যা রয়েছে তারা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কুমড়োর বীজ খান তাহলে চুলকানি, ফুসকুড়ি এমনকি মাথা ব্যথার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: অতিরিক্ত মাত্রায় কুমড়োর বীজ খেলে অনেক সময় আমাদের পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পেট ফুলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা: কুমড়ো বীজ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে এটি পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। তাই কখনোই এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বেড়ে যেতে পারে: কুমড়ো বীজ আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এই কথা যেমন সত্য ঠিক তেমনি এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি: আপনাদের যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া সমস্যা রয়েছে তারা এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে দেখা দিতে পারেন নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা। তাই কুমড়ো বীজ অবশ্যই অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম 

কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর এই বীজ খাওয়া উচিত। কারণ নিয়ম সম্পর্কে না জেনে কোন কিছু খেলে এটি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। তাই খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। 

পুষ্টিবিদরা মনে করেন কুমড়ো বীজ খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সকালে খাবার নাস্তার সাথে। এছাড়াও এটি আপনি বিভিন্ন সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। এই বীজ আপনি বিকেলের যে কোন স্বাস্থ্যকর নাস্তার উপর ছিটিয়ে খেতে পারেন অথবা এটি আপনি রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বীজগুলো আগে বেটে নিবেন। এটি কাঁচা অবস্থায় বা হালকা একটু সেকে খাওয়া যায়। এভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

প্রতিদিন কয়টি কুমড়ো বীজ খাওয়া উচিত

প্রতিদিন কয়টি কুমড়ো বীজ খাওয়া উচিত এটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। যার ফলে অধিক পরিমাণ কুমড়ো বীজ খেয়ে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হন। মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়লে আপনি খুব সহজেই প্রতিদিন কয়টি কুমড়ো বীজ খাওয়া উচিত সেটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণে ঠাসা এই এই বীজ আপনি বিভিন্ন নাস্তার সাথে খেতে পারেন। 

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্যকর ডায়েটের একটি গবেষণার হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন এক চতুর্থাংশ কাপ অর্থাৎ ৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ একজন ব্যক্তি খেতে পারেন। প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে কুমড়ো বীজ খাওয়া এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এইভাবে কুমড়ো বীজ খেলে আপনি এটা থাকা পুষ্টি উপাদান থেকে উপকৃত হবেন। তাই সুস্থ থাকতে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ৩০ গ্রাম করে কুমড়ো বীজ রাখতে পারেন।

প্রতিদিন কুমড়ো বীজ খেলে কি হয়

প্রতিদিন কুমড়ো বীজ খেলে কি হয় চলুন জেনে আসি। কুমড়ো বীজ এবং কুমড়ো বীজ থেকে তৈরি হওয়া তেল আমাদের জন্য আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারী এবং পেতে থাকা খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আমাদের হৃদপিণ্ড, হাড় এবং শরীরের অন্যান্য ফাংশন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। যা প্রতিদিন অল্প পরিমাণ খেলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

কুমড়ো বীজ কয়দিন খাওয়া উচিত

কুমড়ো বীজ কয়দিন খাওয়া উচিত সিটি জেনে থাকা প্রয়োজন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর স্বাস্থ্যকর একটি ডায়েট সেটে উল্লেখ করা আছে যে দৈনিক এক চতুর্থাংশ কাপ অর্থাৎ প্রায় ৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ প্রতিদিন খাওয়া যাবে। এতে থাকা প্রোটিন ফাইবার স্বাস্থ্যকর চর্বি সেলের নিয়ম জিংক ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনি চাইলে এই বীজ প্রতিদিন খেতে পারেন। তবে অবশ্যই এটি একদিনে ৩০ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

কুমড়ো বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয়

কুমড়ো বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয় এটি আপনি জানেন কি। না জেনে থাকলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু করে চলুন জেনে নিই। কুমড়ো বীজ সাধারণত মূত্রবদ্ধ প্রভাবের কারণে এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপকারিতার কারণে ঘন ঘন প্রসব হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এর বীজ এড়িয়ে চলাই উত্তম।

পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কুমড়ো বীজ কিভাবে খাওয়া যায় 

পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কুমড়ো বীজ কিভাবে খাওয়া যায় এটি সম্পর্কে ভালো মত জেনে খাওয়ালে অবশ্যই উপকার বেশি পাওয়া যাবে। কারণ এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ছেলেদের শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এবং শুক্রাণুর মান উন্নয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এতে থাকা স্বাস্থ্যকর জিংক এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান ছেলেদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রার ভারসাম্যপূর্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই পুরুষদের উর্বরতা উর্বরতা বৃদ্ধি করতে কুমড়ো বীজ কাঁচা বা ভাজা খাওয়া উত্তম।

কুমড়ো বীজ খেলে কি ওজন বাড়ে 

কুমড়ো বীজ খেলে কি ওজন বাড়ে সম্পর্কে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে। কারণ কুমড়ো বীজ এবং কুমড়ো বীজের তৈরি তেল আমাদের শরীরকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন কুমড়ো বীজ অতিরিক্ত মাত্রায় ফেলে এটি ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। 

আরো পড়ুন: চুইঝালের যত পুষ্টি উপকারিতা খাওয়া এবং সংরক্ষণের নিয়ম

তবে আপনি যদি এটি পরিমিত মাত্রায় দৈনন্দিন আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া শুরু করবেন। আর মনে রাখবেন আপনি যদি কোন জটিল অংশকে ভুগে থাকেন আর সেই জন্য ওষুধ খান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর কুমড়ো বীজ খাওয়া শুরু করবেন। তাহলে ঝুঁকি কম থাকবে।

কুমড়ো বীজ কাঁচা খাওয়া যাবে কি 

কুমড়ো বীজ কাঁচা খাওয়া যাবে কি এটি সম্পর্কে চিকিৎসকরা কি বলে চলুন জেনে নিই। চিকিৎসকরা বলেন কুমড়ো বীজ কাঁচা অবস্থায় খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আপনি যদি কাঁচা অবস্থায় খেতে পছন্দ করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন থেকে চাই যে এগুলো খোসা সহ খেতে চান নাকি খোসা ছাড়া। আপনি জানলে অবাক হবেন যে খোসা ছাড়ানো কুমড়ো বীজ খোসা ছাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ফাইবার ‍থাকে। তাই এই খোসা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়।। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা অবস্থায় খাওয়া অনেক বেশি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

ভাজা কুমড়ো বীজ খাওয়া কি ক্ষতিকর

ভাজা কুমড়ো বীজ খাওয়া কি ক্ষতিকর এটি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শুনুন কুমড়ো বীজ খাওয়ার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হচ্ছে একটি আস্ত কুমড়ো থেকে বীজগুলো নিজেই ভেজে খাওয়া। কারণ কুমড়ো বীজ থেকে যে কুমড়ো পাওয়া যায় সেগুলোতে সোডিয়াম কম থাকে বাজার থেকে কিনে আনা ভিজে খনিজের পরিমাণ অনেক কমে যায়। তাই সে ক্ষেত্রে দল বাজারের কুমড়ো বীজ ভাজা না খাওয়াই উত্তম। এটি আপনি নিজে নিজেই বাছাই ভেজে খাবেন। তাহলে এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। কিন্তু ভাজা কুমড়ো বীজ বাজার থেকে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

কিডনি রোগীর কি কুমড়ো বীজ খাওয়া যাবে 

কিডনি রোগীর কি কুমড়ো বীজ খাওয়া যাবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। অনেক জিনিস আছে যেটি কিডনি রোগীরা খেতে পারেন না। কিডনি রোগীদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তাই তারা ভয় করে অনেক সময় চাইলেও অনেক কিছু খেতে পারেন না। যার ফলে তারা কুমড়ো বীজ খেতে পাবেন কিনা সেটি নিয়েও চিকিৎসকদের প্রশ্ন করে থাকেন। 

কুমড়ো বীজে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, আয়রন অসম্পৃক্ত চর্বি এবং পটাশিয়াম থাকে। এই সকল পুষ্টি উপাদান গুলো কিডনি বান্ধব খাদ্যের জন্য একটি দারুণ অংশ হতে পারে। যার ফলে কুমড়ো বীজ কিডনি রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন CKD এর সাথে বীজের উপভোগ করার ক্ষেত্রে অংশের আকারটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একা আউন্স কুমড়ো বীজে সাধারণত প্রায় ৯ গ্রাম প্রোটিন এবং ২২৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এটি লক্ষ্য রেখে পরিমাণ মতো কুমড়ো বীজ খাওয়াতে হবে

পুরুষদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা 

পুরুষদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন। কুমড়ো বীজ যে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয়। পুরুষদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। মহিলাদের জন্য কুমড়ো নিজের উপকারিতা আর্টিকেলে রয়েছে আমরা আপনাদের পুরুষদের জন্য কুমড়ো বীজের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।

কুমড়ো বীজ পুরুষদের জন্য যে উপকার করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মূত্রনালীর সংক্রমণ, রোগ এবং ব্যাধি প্রতিরোধ করে এবং চিকিৎসা করে। সেই সাথে এটি ছেলেদের শুক্রাণুর গুণগতমান উন্নত করে। ছেলেদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মান বৃদ্ধি করে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি এবং উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চুল গজাতে কুমড়ো বীজ কিভাবে খাবেন

চুল গজাতে কুমড়ো বীজ কিভাবে খাবেন এটি জেনে থাকা প্রত্যেকের অনেক প্রয়োজন। কারণ চুল মানুষের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটি অংশ। তাই চুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এই চুল অনেক সময় বিভিন্ন কারণে উঠে যায়। যে তুলনায় চুল ওঠে সেই তুলনায় নতুন চুল গজায় না। যার ফলে টাক পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের চুল গজাতে কুমড়ো বীজ কিভাবে খাবেন সেটি সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নিই।

চুল-গজাতে-কুমড়ো-বীজ-কিভাবে-খাবেন

কুমড়ো বীজ চুলের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের নতুন চুল গজাতে এবং চুল বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুমড়ো বীজকে সাধারণত চুলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের গোড়া মজবুত করে চুল অনেক বেশি উজ্জ্বল করে চুল ঘন করে চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চুলের উপকারিতায় ভাজা কুমড়ো বীজ পুষ্টিকর। কুমড়ো বীজ হালকা একটু ভেজে সেটিকে গুঁড়ো করে আপনি বিভিন্ন সালাদ বা দই এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারে। এতে চুল ভালো থাকবে।

কুমড়ো বীজের দাম 

কুমড়ো বীজের দাম সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার বাজারে যে কিনতে সুবিধা হবে। মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাকে কুমড়ো বীজের দাম সম্পর্কে জানাবো। প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ো বীজ বাজারে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সময়ের সাথে সাথে এই দাম উঠানামা করতে পারে। আবার অনেক সময় জায়গা ভেদে এ দামের কমবেশি হতে দেখা যায়।

শেষ কিছু কথা

মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের উপকারিতা আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মহিলাদের জন্য কুমড়ো বীজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, পুষ্টি উপাদান এছাড়াও পূরবী সম্পর্কিত আরো অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে এটি সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল আবিদা ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url