ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবারের তালিকা সহ ভিটামিন ডি সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন। 

ভিটামিন-ডি-যুক্ত-খাবারের-তালিকা

ভিটামিন ডি এমন একটি উপাদান যেটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটি বিষয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে এর ফলে অটোইমিউন ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি সহ মাংসপেশী এবং হাড় দুর্বল হয়ে যায়। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে।

ভিটামিন ডি যুক্ত ১০ টি খাবারের তালিকা 

ভিটামিন ডি যুক্ত ১০ টি খাবারের তালিকা সম্পর্কে আপনাদের এখন জানাবো। ভিটামিন ডি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা মানব দেহের জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন গবেষণা করে দেখা গেছে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে অটোইমিউন  ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। সেই সাথে এই ভিটামিনের অভাবে আমাদের মাংসপেশী এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে আমাদের শরীরে কাজ করার শক্তি থাকে না।

ভিটামিন ডি এর সব থেকে ভালো এবং প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। দিনে অন্তত একবার ৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগালে ভিটামিন ডি এর চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হয়। কিন্তু অনেক সময় সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যার ফলে আমাদের শরীর নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেয়ে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে হয়। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে।

ভিটামিন ডি যুক্ত ১০ টি খাবারের তালিকা

  • চর্বিযুক্ত মাছ 
  • মাছের তেল 
  • ডিমের কুসুম 
  • টুনা 
  • মাশরুম
  • দুধ 
  • দই 
  • কমলা
  • সয়াবিনের দুধ
  • কেল 
  • বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার
  • গরুর কলিজা এবং লাল মাংসে 
  • চিজ অথবা পনির 
  • চিংড়ি মাছ
  • আভোকাডো 

চর্বিযুক্ত মাছ: বিভিন্ন ধরনের চর্বিযুক্ত মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যেমন স্যালমন, সার্ডিন, ম্যাক্রেল এই জাতীয় চর্বিযুক্ত মাছগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

মাছের তেল: কড জাতীয় মাছের তেলকে ভিটামিন ডি এর একটি চমৎকার উৎস হিসেবে নির্বাচন করা হয়। অনেকেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারা এই মাছের তেল খুব সহজেই সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করতে পারেন। এই মাছের তেল রিকেটস এবং সোরাইসিস এর মত রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

ডিমের কুসুম: একটি ডিমের কুসুম থেকে প্রায় ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটি করে ডিম রাখলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকটাই মিটে যাবে।

টুনা: সামুদ্রিক মাছ টুনা থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় বলে এটিকে ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মাছ থেকে প্রায় ২৬৯ আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে সরাসরি সুনাম মাছ পাওয়া যায় না বলে অনেকেই ক্যান জাতীয় টুনা মাছ নিজেদের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে থাকেন।

মাশরুম: মাশরুমে থাকা ভিটামিন ডি২ আমাদের রক্তে ভিটামিন ডি এর উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যে সকল মাশরুম চাষ করা হয় সে সকল মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও দুধে রয়েছে আরো ছয়টি উপাদান তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম যা শিশুদের পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিশুদের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।

দই: আপনি যদি খুব সহজে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে চান তাহলে আপনার ডায়েটে নিয়মিত দই রাখুন। কারণ দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি। এটি আমাদের পেটে সুরক্ষায় এবং গরম থেকে মুক্তি দিতে খুব ভালো কাজ করে। এটি শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী।

কমলা: আপনি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন একটি করে কমলা খেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করবে তা কিন্তু নয়, এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা পুরনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সয়াবিনের দুধ: সয়াবিনের দুধকে ভিটামিন ডি এর একটি ভান্ডার হিসেবে তুলনা করা হয়। কারণ সয়াবিনের তেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এই তেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন যা শিশুদের হাড়ের শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি আপনার শিশুর খাদ্য তালিকায় নিয়মিত সয়াবিনের দুধ পানীয়টি রাখতে পারেন।

কেল: কেল মূলত ক্রুসিফেরাস গোত্রের একটি সবজির নাম। এটি বিদেশিদের সবজি হলেও বর্তমানে বিভিন্ন সুপারশপে এটি কিনতে পাওয়া যায়। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি যা আমাদের হাড় মজবুত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার: বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার রাখুন। এতে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে।

গরুর কলিজা এবং লাল মাংসে: গরুর কলিজাতে এবং লাল মাংসের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই আপনি গরুর কলিজা এবং লাল মাংস খেলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে।

চিজ অথবা পনির: নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পেতে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় চিজ অথবা পনির রাখতে পারেন।

চিংড়ি মাছ: চিংড়ি মাছেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে চিংড়ি মাছ খেতে পারেন।

আভোকাডো: অত্যাধিক পুষ্টিগুণ্যের সমৃদ্ধ এই আভোকাডো আমাদের শরীরে নানা ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তবে আমরা বাঙালিরা এই ফলের পুষ্টিগুণের কথা জানিনা বলে অনেকেই খাননা। যার ফলে অনেক পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। শুধু তাই নয় এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয় তা আপনি জানেন কি। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এক কথায় এটি আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর চাহিদা পুরো না হলে আমাদের শরীরের নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত সুস্থ থাকতে এবং আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে অবশ্যই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। 

ভিটামিন-ডি-এর-অভাবে-কি-হয়

সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করা না গেলে অবশ্যই খাদ্য থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক খাবার আছে যেগুলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলো বাছাই করে এগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয় সেটি সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নিই।

  • ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পড়ে যায়। অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়ে গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে। 
  • হাড় এবং পেশী অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় অস্থিসন্ধির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে পিঠে ব্যথা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে।
  • আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে গেলে মানুষে চাপ এবং উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে ঘন ঘন মুড সুইং এর মত সমস্যা দেখা দেয়। 
  • শরীর ঠিক রাখতে অনেক সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরেও এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়ার পরেও যদি দেখেন আপনার শরীরে অলসতা বা ক্লান্তিবোধ হচ্ছে তাহলে বুঝবেন এটি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে হচ্ছে। 
  • অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শরীর হঠাৎ করে অনেক বেশি মোটা হয়ে যায় আবার অনেক সময় অনেক বেশি চিকন হয়ে যায় এটি মূলত হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা ওজন কমে যাওয়া এটি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে একটি বড় লক্ষণ।
  • আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। 
  • ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে অনেক সময় আমাদের শরীরের কোন জায়গায় ঘা হলে বা কেটে গেলে এটি শুকাতে অনেক সময় লেগে যায়।
  • অনেক সময় অকারণেই ক্লান্তিবোধ, ঝিমুনি বা শুয়ে বসে থেকেও কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। এরকম হলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। 
  • ভিটামিন ডি এর অভাব হলে অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা, পিঠে অথবা মেরুদন্ডে ব্যথা এমনকি অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়া এরকম সমস্যা দেখা যায়। 
  • শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে অনেক সময় পায়ের হাড় ধনুকের মতো বেকে যায় এবং গেঁটে বাত বা বৃদ্ধ বয়সে বাতের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ভিটামিন ডি এর আরো কিছু বড় রোগ হচ্ছে শিশুদের রিকেট রোগ, বড়দের অস্টিওমিলেশিয়া এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকের হাড় ক্ষয় জনিত রোগে ভুক্ত দেখা যায়।

ভিটামিন ডি এর কাজ কি

ভিটামিন ডি এর কাজ কি এটি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এ ভিটামিন আমাদের শরীরে নানা ধরনের উপকার করার পাশাপাশি নানা রোগের প্রতিরোধ করে থাকে। ভিটামিন ডি এর কাজ কি এটি সম্পর্কে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। চলুন জেনে নিই ভিটামিনের কাজ কি সেটি সম্পর্কে। 

ভিটামিন ডি এর কাজ 

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে 
  • ডিপ্রেশন কমাই 
  • রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে 
  • ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে। 
  • খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে 
  • দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ডি ৩ খাওয়া উচিত 

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ডি ৩ খাওয়া উচিত এটি সম্পর্কে চিকিৎসকরা কি বলেন চলুন জেনে নিই। ১২ মাস বয়সী একজন শিশুকে দৈনিক ৪০০ আন্তর্জাতিক ইউনিট (IU), ১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের কে ৬০০ (IU) এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ৮০০ (IU) ভিটামিন ডি খাওয়ানো উচিত।

রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার উপায় 

রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। সূর্য হচ্ছে ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক সর্বোচ্চ উৎস। সূর্যের আলো থেকে যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেটি শরীরের জন্য সবথেকে নিরাপদ। আর এই ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন সঠিক নিয়মে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা প্রত্যেকের উচিত। সূর্য থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার জন্য একজন সুস্থ ব্যক্তিকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলো গায়ে মাখিয়ে বসে থাকতে হবে।

আরো পড়ুন: গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার ২২ টি উপকারিতা

গাঢ় ত্বকের ব্যক্তিদের জন্য এর থেকে আরও একটু বেশি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এটি নির্ভর করবে সূর্যলোক কতটা আপনার ত্বকের জন্য সংবেদনশীল তার ওপর। সকাল ১০ টার পর থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই সময় সূর্যের ভিটামিন ডি এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সকাল ১০ টার পর থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেকোনো সময়ে ২০-৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে বসে থাকা। তাহলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে।

ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয় কি 

ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয় কি সেটি সম্পর্কে অনেকের সঠিকভাবে না জানার কারণে অনেক সময় অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আপনি চাইলে খুব সহজেই এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয় কি সেটি সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নিই।

একজন মানুষের শরীরে ভিটামিন দিয়ে যদি খুব বেশি কমে যায় তাহলে সপ্তাহে ৪০ হাজার ওয়েট এবং পরের মাসে আরো একটি ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেয়ে নিলেই ঘাটতি পূরণ হবে। আর ঘাটতি যদি কম হয় তাহলে ৩০ হাজার ওয়েট ক্যাপসুলি যথেষ্ট। তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কম থাকলেও অবশ্যই সূর্যের তাপে নিয়মিত ৩০ মিনিট করে বসতে হবে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হোক বা না হোক সব ক্ষেত্রেই সূর্যের তাপ গায়ে লাগাতে হবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ কি কি

ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ কি কি এটি সম্পর্কে আপনার না জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ চিনতে পারবেন এবং খেতে পারবেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ সম্পর্কে জানাবো। বিশেষ করে চর্বি যুক্ত সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, সার্ডিন, ম্যাক্রেল ইত্যাদি জাতীয় মাছের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত এ সকল মাছগুলো রাখতে পারে। 

দ্রুত ভিটামিন ডি বাড়ানোর উপায়

দ্রুত ভিটামিন ডি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে সকলের জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো খেলে খুব দ্রুত ভিটামিন ডি বাড়ানো সম্ভব। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের দ্রুত ভিটামিন ডি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনিও খুব দ্রুত ভিটামিন ডি বাড়াতে পারবেন।

আরো পড়ুন: মাছের ডিমের ১৫ টি উপকারিতা ও ৬ টি অপকারিতা

চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ যেমন হেরিং, স্যামন, ম্যাকেরাল, ট্রাউট, টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। এগুলোকে ভিটামিন ডি এর উৎস বলা হয়। এই মাছগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা সহ অন্যান্য পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হবে। এছাড়াও ঝিনুক এবং চিংড়ি মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এই সকল খাবার রাখলে দ্রুত ভিটামিন ডি এর চাহিদা বাড়ানো সম্ভব।

সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনটি 

সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনটি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিই। ভিটামিন ডি এর সর্বোত্তম মাধ্যম হলো স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন সহ অন্যান্য চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ। এছাড়াও ডিমের কুসুম, লাল মাংস, কলিজা, দুধ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পেতে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় এ সকল খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন।

ভিটামিন ডি কমে গেলে কি খেতে হয় 

ভিটামিন ডি কমে গেলে কি খেতে হয় সেটি সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান। তাহলে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ভিটামিন ডি কমে গেলে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় দই রাখতে পারেন। কারণ ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস। এছাড়াও গরম দুধ, বাদাম, ওট, সয়া দুধ, কমলার রস ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই যদি আপনার ভিটামিন ডি কমে যায় তাহলে এই খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন। ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি 

ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি সেটি সম্পর্কে চলুন আপনাদেরকে বিস্তারিত জানায়। চর্বিযুক্ত মাছ সামুদ্রিক মাছ, লাল মাংস এই খাবারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এগুলোতে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ডি থাকে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোতে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য গরুর দুধ এবং উদ্ভিদভিত্তিক দুধের বিকল্প হিসেবে ভিটামিন ডি এর পূর্ণাঙ্গ চাহিদা পূরণ করে থাকে। 

ভিটামিন-ডি-এর-সবচেয়ে-ভালো-উৎস-কি

তাই এগুলোকে ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, ঝিমুনি এবং ক্লান্তি বোধ হয়। যার ফলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই আপনি আপনার শরীরে পরিপূর্ণভাবে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়াতে উপরোক্ত এই খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন।

কি কি খাবার খেলে ভিটামিন ডি বাড়ে

কি কি খাবার খেলে ভিটামিন ডি বাড়ে সেটি সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার ভিটামিন ডি এর চাহিদা কখনোই কম হবে না। সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি নেওয়া সব থেকে উত্তম। তবে কোন কারনে এটি থেকে নিতে ব্যর্থ হলে অবশ্যই নিয়মিত চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা, সাডিন, ইত্যাদি, দুধ অথবা দুধের খাবার, ডিমের কুসুম, দই, কমলা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে এই সকল খাবারগুলো খেতে পারেন।

শেষ কিছু কথা 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা সহ ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগ ভিটামিন ডি অভাব এর লক্ষণ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সহ আরো বিভিন্ন অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল আবিদা ওয়েবসাইটির সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url