ভিটামিন ডি যুক্ত ৯ টি ফলের নাম
ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত বিভিন্ন ধরনের ফলের নাম সহ ভিটামিন ডি এর আরো অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য একটি উপাদান। আর এই ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য লোক। কিন্তু শীতকালে অনেক সময় সূর্যের তেজ না থাকার কারণে বা আরও বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি গ্রহনে অসুবিধা হলে আপনি বিভিন্ন ফল থেকে এটি গ্রহণ করতে পারেন। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে।
ভিটামিন ডি যুক্ত ৯ টি ফলের নাম
ভিটামিন ডি যুক্ত ৯ টি ফলের নাম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো আজ। ভিটামিন ডি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ করে যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের আরও নানা ধরনের উপকার করে থাকে। তাই ভিটামিন ডি কে আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান বলে বিবেচনা করা হয়। এটি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান।
আরো পড়ুন: গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার ২২ টি উপকারিতা
এই ভিটামিন ডি গ্রহণের একটি প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যলোক। কিন্তু শীতকালে কড়া রোদ না থাকার কারণে অথবা কোন কারনে সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণে ব্যর্থ হলে কয়েকটি খাবার বা কিছু কিছু ফল থেকে আমরা এই ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারি। শুকনো ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও থাকে। তাই শুকনো ফলকে অনেক সময় সুষম খাবারের তালিকায় রাখা হয়। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে।
ভিটামিন ডি যুক্ত ৯ টি ফলের নাম
- শুকনা ডুমুর
- কিসমিস
- কাঠবাদাম
- শুকনা অ্যাপ্রিকটস বা খুবানি
- আলু বোখরা
- খেজুর
- ক্র্যানবেরিজ
- কমলা
- তরমুজ
শুকনা ডুমুর: প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো ডুমুর থেকে প্রায় তিন আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও শুকনো ডুমুর কে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো উৎস হিসেবে নির্বাচন করা হয়। যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
কিসমিস: প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিস থেকে প্রায় ৮২ আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই ফল থেকে আঁশ এবং খনিজ উপাদান যেমন লৌহ পাওয়া যায়। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য।
কাঠবাদাম: কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া অনেক উপকারী। এতে করে দৈনিক চাহিদার প্রায় নয় শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, প্রোটিন ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
শুকনা অ্যাপ্রিকটস বা খুবানি: প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনা অ্যাপ্রিকটস বা খুবানি থেকে প্রায় দেড় আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও খনিজ উপাদান লৌহ এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা বলেন প্রতিদিন একটি করে খুবানি খেলে বয়স কালে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার মতো জটিল সমস্যায় ভুগতে হবে না।
আলু বোখরা: আলু বোখারায় প্রায় ৩.৭ মিলি গ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে আরো রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কার্যকরী।
খেজুর: খেজুর কে ভিটামিন ডি এর জন্য খুব ভালো একটি উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ এতে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, প্রোটিন, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শুকনো খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। ভিটামিন ডি সঠিক পরিমাণ পেতে চাইলে এক গ্লাস দুধের সাথে দুটো শুকনো খেজুর ফুটিয়ে খেতে পারেন। তাহলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে সেই সাথে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য রক্তস্বল্পতা এবং বিভিন্ন খনিজের অভাবজনিত সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।
ক্র্যানবেরিজ: ক্র্যানবেরিজকে মূলত ভিটামিন সি এর জন্য খুব ভালো একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এটি খেলে শুধুমাত্র ভিটামিন সি পাওয়া যায় এমনটি কিন্তু নয়। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও পাওয়া যায়। যার ফলে এই ফলটি খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কমলা: কমলা ফলে শুধুমাত্র ভিটামিন সি পাওয়া যায় এমনটি কিন্তু নয় এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও পাওয়। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরে আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত একটি করে কমলা রাখতে পারব।
তরমুজ: তরমুজ অনেক রসালো এবং সুস্বাদু একটি ফল। এই ফলকে ভিটামিন ডি এর একটি অনেক বড় উৎস বলা হয়। নিয়মিত তরমুজ খেলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে।
ভিটামিন ডি এর অপর নাম কি
ভিটামিন ডি এর অপর নাম কি এটি আপনি জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশটুকু শুধুমাত্র আপনার জন্য। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি এর অপর নাম সম্পর্কে। ভিটামিন ডি কে ক্যালসিফেরল নামেও ডাকা হয়। এটি সাধারণত একটি চর্বি দ্রবণীয় সেকো-স্টেরল গুলোর একটি গ্রুপ নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
ভিটামিন ডি বাড়ায় কোন খাবার
ভিটামিন ডি বাড়ায় কোন খাবার এটি সম্পর্কে জানতে হলে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এটি আমরা জানলেও কোন খাবারগুলো ফেলে ভিটামিন ডি বাড়ায় তা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। যার ফলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকে যায়। কিন্তু আপনি যদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো কোনগুলো তা সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে না।
ভিটামিন ডি এর সর্বোত্তম উৎস হচ্ছে স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন জাতীয় সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ। এছাড়াও ডিমের কুসুম, লাল মাংস, গরুর কলিজা, কড রিভার অয়েল, দুধ, দই ইত্যাদি খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো খেলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে। তাই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে এই খাবারগুলো আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
কোন সবজিতে ভিটামিন ডি বেশি থাকে
কোন সবজিতে ভিটামিন ডি বেশি থাকে সম্পর্কে চলুন জেনে নিই। শুধুমাত্র সূর্যের আলো বা বিভিন্ন ধরনের ফল থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এমনটি কিন্তু নয়। কয়েকটি সবজি রয়েছে যেগুলো থেকেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি যুক্ত সবজিগুলোর নাম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নেই কোন সবজিতে ভিটামিন ডি বেশি থাকে সেটি সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: ত্রিফলার ২৫ টি উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত প্রাণিজ জাতীয় উৎস থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যেমন ছত্রাক, পালং শাক, মাশরুম এবং যে সবজিগুলোতে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি এসে পরে সেগুলোই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। নিরামিষ উৎস গুলোর মধ্যে গরুর দুধ এবং সয়া দুধেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শস্য থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি সবজি থেকে ভিটামিন ডি সংরক্ষণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মাসরুম এবং পালং শাক রাখুন।
অতিরিক্ত শুকনো ফল গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত শুকনো ফল গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে তারপর ভিটামিন ডি যুক্ত শুকনো ফল খাওয়া উচিত। কারণ আমরা সকলেই জানি প্রতিটা জিনিসের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই অবশ্যই কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে তারপর খাওয়া উচিত। তাহলে ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। না জেনে খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হয়। ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিন অতিরিক্ত শুকনো ফল গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
চিকিৎসকরা পরিমিত মাত্রায় শুকনো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তারা বলেন প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ধরনের শুকনো ফল খেলেই শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। ভিটামিন ডি এর চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে হাইপার্ক ক্যালসিয়ামিয়া (রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়া) উল্লেখযোগ্য। আর এর ফলে অনেক সময় বমি বমি ভাব, দুর্বলতা এমনকি বৃক্কের জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল থেকেও সম্পূরক হিসেবে গ্রহণ করা যায়। তবে সম্পূরক হিসেবে ভিটামিন ডি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর গ্রহণ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য কখনোই সম্পূর্ণভাবে শুধুমাত্র শুকনো ফলের উপর নির্ভর করবেন না। বিভিন্ন ধরনের সুষম খাবার বা চর্বিযুক্ত মাছ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।
ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত
ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত তা নিচে উল্লেখ করা হলো। শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেক সময় ভিটামিন ডি টেস্ট করতে হতে পারে। বিশেষ করে যদি শরীর অনেক বেশি দুর্বল মনে হয় বা হাড়ে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় বিছানা থেকে উঠতে না পারে তাহলে এই অবস্থায় চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি টেস্ট করতে দিতে পারে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিক গুলোতে এই টেস্ট খুব সহজেই করা যায়।
ভিটামিন ডি এর টেস্টের খরচ কত পড়বে সেই সম্পর্কে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোর কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই আপনাকে জানিয়ে দিতে পারবে। তাই এ বিষয়ে টেনশন করার কোন কারণ নেই। একে ক্লিনিক এর খরচের পরিমাণ একই রকম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি ক্লিনিক এর সাথে বা কয়েকটি হাসপাতাল এর সাথে যোগাযোগ করে খরচের পরিমাণ জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট কি খাওয়া উচিত
ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট কি খাওয়া উচিত এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত কিনা এটি সম্পর্কে চিকিৎসকরা কি বলে চলুন জেনে নিই। এন্ডোক্রাইন সোসাইটি সাধারণত ১-১৪ বছর বয়সী শিশুদের বা কিশোর কিশোরীদের কে নিয়মিত ভিটামিন ডি এর সম্পূরক হিসেবে সুপারিশ করে থাকে।
তবে যারা গর্ভবতী বা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত এবং ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন এটি কিন্তু ১৯ থেকে ৭৪ বছর বয়সী সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কখনোই হওয়া উচিত নয়। তাই ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন। না হলে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
ভিটামিন ডি ওষুধের নাম
ভিটামিন ডি ওষুধের নাম সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভিটামিন ডি হলে আপনি এ সকল ওষুধগুলো খেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ওষুধের নাম জেনে থাকা সকলের উচিত। চলুন জেনে নিই যে সকল ওষুধ দ্বারা ভিটামিন ডি এর শোষণ ও বিপাক ক্ষমতাকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে দেহে ভিটামিনট যেমন, ম্যাগনেসিয়াম সম্বলিত অ্যান্টাসিড, থায়াজাইড, ডিজোক্সিন, ফিনাইটোয়িন, ডাইইউরেটিক্স, কোলেস্টাইরামিন, কলেষ্টিপল, অরলিস্ট্যাট, ফেলোবারবিটল এবং মিনারেল অয়েল।
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট এর নাম
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট এর নাম অনেকেই জানতে চান। কারণ অনেক সময় সূর্য থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার না গেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে দেখা যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে ভিটামিন ডি যুক্ত ট্যাবলেট খেয়ে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে হয়। ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের সেরা কার্যকারী কয়েকটি ভিটামিন ডি ট্যাবলেটের নাম তুলে ধরা হলো। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে।
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট এর নাম
- Aristo D3 Capsule
- D-1000 Tablet
- D-Best Capsule
- D-gain Capsule
- D-Cap Capsule
- D-Revive Capsule
- D-Star Capsule
- D-Shine Capsule
- Osteo-D Dispersible Tablet
- Colecalciferol [Vitamin D3]
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট কিভাবে খেতে হয়
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট কিভাবে খেতে হয় এটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান এই কথা আমরা অনেকেই জানি। তাই সূর্য থেকে বা সম্পূরক খাবার থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করার সম্ভব না হলে অবশ্যই চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এটি খাওয়ার সময় অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে। চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি ট্যাবলেট কিভাবে খেতে হয় সেটি সম্পর্কে।
ভিটামিন ডি ট্যাবলেট সাধারণত খাবার গ্রহণের পর খেতে হয়। কারণ ভারী খাবার গ্রহণের পর ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেলে এটি আমাদের শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভিটামিন ডি ট্যাবলেট কখনোই খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বা খাবার খাওয়ার পূর্বে খাওয়া উচিত নয়। আলফাকালসিডল সব সময় খাবার খাওয়ার সাথে সাথে গ্রহণ করা হয়। যে কোন ওষুধ খাওয়ার পূর্বে এর নির্দেশনা বলি অনুসরণ করে তারপর খাওয়া উচিত।
পন্য প্যাকেজের গায়ে অথবা এর সাথে একটি নির্দেশনাবলি দেওয়া থাকে। তাই ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ওই নির্দেশনাবলি দেখে তারপর খেতে হবে। তবে সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে যে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ভিটামিন ডি ট্যাবলেট গ্রহণ করা। তাহলে আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর আপনার চিকিৎসক সমাধান করে দিবে। এতে ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয় কি
ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয় কি এটি সম্পর্কে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলের এই অংশে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে দেখা যায়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আমাদের শরীরে খুব বেশি হলে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ওট সপ্তাহে এবং পরের মাসে সর্বোচ্চ একটি করে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেতে হবে।
আরো পড়ুন: শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের ১০টি উপকারিতা ও ৬ টি অপকারিতা
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কম হলে সর্বোচ্চ বিশ হাজার ওট ক্যাপসুল খেলেই যথেষ্ট। তবে মনে রাখবেন আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হোক বা না হোক সব ক্ষেত্রেই প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করা উচিত। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট সকাল দশটার পর থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে যেকোনো সময় সূর্যের আলোতে বসলে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে।
শেষ কিছু কথা
ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম আর্টিকেলে আমরা আপনাদের ভিটামিন ডি যুক্ত বেশ কয়েকটি ফলের নাম, ভিটামিন ডি বাড়াই কোন খাবারে, ভিটামিন ডি কমে গেলে করণীয়, ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার উপায়, ভিটামিন ডি ট্যাবলেটের নাম সহ আরো অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে ভিটামিন ডি সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন যা আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল আবিদা ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url